
গোপাল এক মুদি দোকান থেকে ধারে প্রায়ই মাল নিত, কিন্তু টাকা শোধ করতে চাইত না। লোকটি খুব সরল প্রকৃতির ছিল। গোপাল রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পেয়ারের লোক বলে দোকানিও টাকা চাইতে সাহস পেত না যদি রাজা রাগ করেন তাহলে গেছি।
একদিন দোকানির ভীষণ টাকার দরকার, বাড়িতে অসুখ। গোপাল মাল নিতে এলে দোকানি বললেন, ‘ধারে তো রোজই মাল নিয়ে যাচ্ছেন, টাকাটা আমার আজ দরকার আছে, দেবেন?’
দোকানির কথা শুনে গোপাল মুচকি হেসে বলল, ‘আপনার কাজ মাল দেওয়া ড়িয়ে যান, আমার কাজ মাল নেওয়া, টাকা যে দেবার সেই দেবে ভাই।’
দোকানি বলল, ‘সেকথা বললে কি চলে দাদা? টাকা কে দেবে, তাই বলে মাল নিলে ভাল হয়। আমাকে আর ভাবতে হয় না।’
গোপাল তখন মাথা চুলকে বললেন, ‘টাকা আবার দেবে কে? টাকা দেবে গৌরী সেনে।’
গৌরী সেনের নাম দোকানি কখনও শোনেনি, সে তাই বললেন তিনি আবার কে? দোকানী মনে করল হয়ত গৌরী সেন মহারাজের কোষাগারে কোনও লোক বা কেটা।
গোপাল বললেন, ‘তাজ্জব ব্যাপার। সবাই যাকে চেনে, তুমি তাকে চেনো না? মালটা দিয়ে দাও তো বাপু। তারপর যাকে জিজ্ঞেস করবে, সেই তোমায় গৌরী সেনের ঠিকানা বাতলে দেবে। তার কাছে গিয়ে আমার নাম বললেই টাকা সঙ্গে সঙ্গেই পাবে।’
দোকানী গৌরী সেনের মত লোকের কথা না জানার জন্য লজ্জা পেল ও ঝটপট যা যা মাল বলল সে মাল দিল।