জ্বিন একটি কিশোরী মেয়েকে উঠিয়ে নেয়ার পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল

ইমাম শাআবি নজর হারেছ থেকে বর্ণিনা করেছেন। নজর বলেন, জাহেলী যুগে আমাদের ঘর থেকে খানিকটা দূরে একটি কূয়া ছিল। এক সন্ধ্যায় আমি আমার কিশোরী মেয়েকে একটি পাত্র নিয়ে সেই কুয়ায় পানি আনতে পাঠিয়েছিলাম। সেখান থেকে একটি জ্বিন মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায়। বহু খোঁজাখুঁজির করেও মেয়টিকে ফিরে পাইনি। বেশ কয়েক দিক পর এক রাতে ঘরের ছাদে বসে আছি হঠাৎ খানিকটা দূরে একটি ছায়া দেখতে পেলাম।

ছায়াটি কাছে এলে দেখি সেতো আমার মেয়ে। আমি তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললাম মা তুই কোথায় চলে গিয়েছিলি। মেয়ের গায়ের রং চেহারা সব কালো হয়ে গিয়েছিল। মেয়ে জানালো জ্বিন আমাকে তুলে নেয়ার পর অন্য জ্বিন্দের সাথে এ জ্বিনের সংঘর্ষ শুরু হলো। জ্বিন আমাকে বলল, যদি আমি এ সংঘর্ষে জয়ী হতে পারি, তবে তোমাকে ফিরিয়ে দিয়ে আসবো। তারপর সে জয়ী হলো এবং আমাকে ফিরিয়ে দিলো।

বেশ কিছুদিন পুষ্টিকর খাবার পেয়ে মেয়টি স্বাস্থ্য স্বাভাবিক হলো। এক সময় তার চাচাতো ভাই তাকে বিয়ে করতে চাইলে মেয়েটি তার সাথে বিয়ে দেওয়া হলো। কিন্তু জ্বিন তাকে পুরোপুরি ছেড়ে যায় নি। এটা ছিল জাহেলী যুগের কথা। পরর্তীকালে ইসলামের আবির্ভাব হলো এবং আমরা মুসলমান হলাম। জ্বিন মেয়েটির কাছে এসে তাকে ইশারা করতো। মেয়ের স্বামী এটা বুঝতে পারতো। একদিন ক্ষেপে গিয়ে স্বামী সেই মেয়েকে বললো তুমি জ্বিন শয়তান তুমি তো মানুষ নও।

একথা শুনে জ্বিন বলল তুমি যদি ওর কাছে যাও তাহলে আমি তোমার দুই চোখ অন্ধ করে দেব। জাহেলী যুগে আমি তাকে পাহারা দিয়ে রেখেছি এখনো আমি তার পাহারায় আছি। এ কথা শুনে মেয়েটির স্বামী বলল, তুমি সামনে আসোনা কেন তোমাকে দেখতে পাইনা কেন। জ্বিন বলল, আমাকে তুমি দেখতে পাবে না। আমাদের দাদা আমাদের জন্য ৩টি আবেদন করেছিলেন। সে আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।

(১) আমরা অন্যদের দেখতে পাবো, কিন্তু মানুষ আমাদের দেখতে পাবে না,

(২) লবণনাক্ত জমিনের উপর আমরা বসাবাস করবো।

(৩) আমরা বুড়ো হওয়ার পরে আবার জোয়ান হতে পারবো।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।