হযরত আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ফজল (রঃ) – শেষ পর্ব

তিনি বলেনঃ

১. মনের পবিত্রতা দ্বারা সর্বোচ্চ বিশ্বাস সৃষ্টি হয়, তারপর জন্মে দৃঢ় বিশ্বাস, তারপর আসে চাক্ষুস দৃঢ় বিশ্বাস ।

২. যিনি পার্থিব বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত এবং যিনি কোন পার্থিব দান গ্রহন করেনা, তিনিই প্রকৃতই সুফী ।

৩. রিপুর তাড়না থেকে মুক্ত হওয়ার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত শান্তি ।

৪. সাধক যখন দুনিয়াকে অন্তরে স্থান দান করে, তখন তুমি তার দিকে দৃষ্টি দিও না ।

৫. ইসলাম লোকদের থেকে চারটি কারনে পৃথক হয় । জথাঃ (ক) জানা মতো আমল না করা, (খ) যে বিষয়ে জ্ঞান নেই তার মত আমল করা, (গ) অতি জরুরী বস্তুর অনুসারন না করা ও (ঘ) মানুষকে জ্ঞান তত্তবকথা হাসিল করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা ।

৬. এলম-এ তিনটি অক্ষর আছে । যথা- ‘আইন’- এর অর্থ এলম, ‘লাম’-এর অর্থ আমল । তারপর ‘মীম’, মীম-এর অর্থ মোখলেস অর্থাৎ এলম বিসুদ্ধ হওয়া ।

৭. যিনি শরীয়তের নির্দেশ পালন করেন, সুন্নতের অনুসরন করেন ও সেটি অধিক অনুশীলনে যত্নবান, সেই ব্যক্তিই সাধনাক্ষেত্রে বেশী উন্নত ।

৮. আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিজেকে বিলীন করে দেওয়াকে প্রেম বলেন । প্রেম চার ভাবে হয় । জথাঃ (ক) সর্বদা অন্তরে আল্লাহর যিকির করা, (খ) আল্লাহর যিকিরের প্রতি গভীর অনুরাগ সৃষ্টি করা ও (গ) আল্লাহ ছাড়া যা কিছু রয়েছে সেসবের তুলনায় এমনকি নিজের প্রাণের চেয়েও আল্লাহকে অধিক প্রিয় এবং আপন বলে মনে করা । সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ফজল (রঃ) – প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

হযরত আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ফজল (রঃ) – শেষ পর্ব

তিনি বলেনঃ

১. মনের পবিত্রতা দ্বারা সর্বোচ্চ বিশ্বাস সৃষ্টি হয়, তারপর জন্মে দৃঢ় বিশ্বাস, তারপর আসে চাক্ষুস দৃঢ় বিশ্বাস ।

২. যিনি পার্থিব বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত এবং যিনি কোন পার্থিব দান গ্রহন করেনা, তিনিই প্রকৃতই সুফী ।

৩. রিপুর তাড়না থেকে মুক্ত হওয়ার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত শান্তি ।

৪. সাধক যখন দুনিয়াকে অন্তরে স্থান দান করে, তখন তুমি তার দিকে দৃষ্টি দিও না ।

৫. ইসলাম লোকদের থেকে চারটি কারনে পৃথক হয় । জথাঃ (ক) জানা মতো আমল না করা, (খ) যে বিষয়ে জ্ঞান নেই তার মত আমল করা, (গ) অতি জরুরী বস্তুর অনুসারন না করা ও (ঘ) মানুষকে জ্ঞান তত্তবকথা হাসিল করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা ।

৬. এলম-এ তিনটি অক্ষর আছে । যথা- ‘আইন’- এর অর্থ এলম, ‘লাম’-এর অর্থ আমল । তারপর ‘মীম’, মীম-এর অর্থ মোখলেস অর্থাৎ এলম বিসুদ্ধ হওয়া ।

৭. যিনি শরীয়তের নির্দেশ পালন করেন, সুন্নতের অনুসরন করেন ও সেটি অধিক অনুশীলনে যত্নবান, সেই ব্যক্তিই সাধনাক্ষেত্রে বেশী উন্নত ।

৮. আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিজেকে বিলীন করে দেওয়াকে প্রেম বলেন । প্রেম চার ভাবে হয় । জথাঃ (ক) সর্বদা অন্তরে আল্লাহর যিকির করা, (খ) আল্লাহর যিকিরের প্রতি গভীর অনুরাগ সৃষ্টি করা ও (গ) আল্লাহ ছাড়া যা কিছু রয়েছে সেসবের তুলনায় এমনকি নিজের প্রাণের চেয়েও আল্লাহকে অধিক প্রিয় এবং আপন বলে মনে করা । সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ফজল (রঃ) – প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

আরো পড়তে পারেন...

খৃষ্টান মহিলার প্রেমে পাগল হওয়ার ঘটনা

বুজুর্গ ব্যক্তি বললেন, একদা আমি হযরত হাসান বসরী (রহঃ) এর দরবারে বসেছিলাম। এমন সময় আমাদের…

এক বুজুর্গের কসমের উছিলায়

হযরত আবূ আব্দুল্লাহ কাররাশী (রাঃ) বলেন, একবার মুশরিক সৈন্যরা স্পেন শহরে প্রবেশ করে বিনা যুদ্ধে…

স্বপ্ন যোগে রাসূলের দিদার।

ইমাম কাফেলায় হাবীবের ঈমানী চেতনার প্রকাশ্য শক্তি যেন কয়েকগুণ বাড়াল। ইমাম হোসাইন (রাঃ) গভীর রাতে…