
বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। ব্যবসা বানিজ্য, অফিস আদালতে সব জায়গায়ই লেগেছে এখন প্রযুক্তির ছোঁয়া।প্রযুক্তির বদৌলতে মানুষের কর্মক্ষেত্রেও চলে এসেছে নানারকম বৈচিত্র্য। ঘরে বসেও আয় করা হয়ে উঠেছে সহজলভ্য। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রাজত্ব করছে সারাবিশ্বে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখে আপনি ঘরে বসে আয় করতে পারবেন অনায়াসে। তাই আজকে আপনাদেরকে দিবো গুরুত্বপূর্ণ ৭ টি টিপ্স। এগুলো আপনাদেরকে ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে কাজ করতে সাহায্য করবে।
১.অনেক প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইন সেলার তাদের ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করতে চায়।বিভিন্ন জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম থেকে তারা স্কিল্ড ডেভেলপার খুঁজে কাজ করিয়ে নেয়।আপনি চাইলে এসব প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট খুলে কাজের জন্য গিগ আপডেট করতে থাকুন। আপনার পোর্টফলিও দেখে তারা আপনাকে হায়ার করবে। উল্লেখযোগ্য ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মের মধ্যে অন্যতম হলো:
- Upwork (https://www.upwork.com/)
- Fiverr (https://www.fiverr.com/)
- Freelancer.com (https://www.freelancer.com/)
২.রেডিমেড টেমপ্লেট এবং থিমের চাহিদা এখন ব্যাপক। তাড়াতাড়ি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য অনেকেই রেডিমেড থিম ব্যবহার করে।তাই আপনি যদি ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে স্কিল অর্জন করেন,তাহলে এইচটিএমএল,সিএসস,জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে রেডিমেড থিম বানিয়ে ওয়ার্ল্ডওয়াইড বিক্রি করতে পারেন।এগুলো বিক্রির জন্য সবথেকে জনপ্রিয় দুইটি প্ল্যাটফর্ম হলো:
- ThemeForest (https://themeforest.net/)
- Envanto Elements (https://elements.envato.com/)
তবে এক্ষেত্রে একটি ট্রিক হলো: গতানুগতিক ডিজাইন বাদ দিয়ে আধুনিক এবং ফাস্ট থিম তৈরি করলে,সেটা সহজেই চোখে পড়বে এবং আপনার থিমটি বেশি সেল পাবে।
৩. কাস্টম প্লাগইন এবং এক্সটেনশন তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। অনেক সময় দেখা যায়,আপনার ওয়েবসাইটের জন্য হয়তো কোন একটি বিশেষ ফিচার দরকার,কিন্তু সাধারণ থিম বা টেমপ্লেটের মধ্যে সবসময় এগুলো থাকেনা।সেক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুয়ায়ী প্লাগইন এবং এক্সটেনশন তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। বর্তমান যুগে যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং ট্রেন্ডিং এ আছে,সেহেতু আপনি যদি এসইও(SEO) অপটিমাইজেশন অথবা পেমেন্ট গেটওয়ে ইন্টিগ্রেশন প্লাগইন তৈরি করেন, তাহলে ভালোরকমের একটা আর্নিং আপনার এই সোর্স থেকে আসতে পারে। বিক্রির জন্য পপুলার কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম হলো:
- CodeCanyon (https://codecanyon.net/)
- Shopify Web Store(https://www.shopify.com/)
- Chrome WebStore(http://chromewebstore.google.com)
৪.ওয়েবসাইট মেইন্টেনেন্স আপনার জন্য হতে পারে একটি গুড চয়েজ।অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইট বিল্ডিং এর পাশাপাশি মেইন্টেনেন্সের জন্যও সার্ভিস খুঁজে।আপনি যদি দুইটি বিষয়েই পারদর্শীতা অর্জন করতে পারেন,তাহলে আপনাকেই খুঁজছে তারা। বিভিন্ন সার্ভিস :
- সাইটের স্পিড এবং পারফরম্যান্স অপটিমাইজেশন
- বাগ ফিক্স করা যেমন ওয়ার্ডপ্রেসের বাগ ফিক্স করা
- সিকিউরিটি আপডেট
- ওয়েবসাইট ব্যাকাপ এবং মান্থলি মেইন্টেনেন্স সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজ
৫. আপনি বিভিন্ন SaaS তৈরি করতে পারেন।বর্তমান SaaS (সফ্টওয়্যার অ্যাজ আ সার্ভিস) খুবই জনপ্রিয়।আপনি যদি কয়েকটা SaaS তৈরি করে মান্থলি সাবস্ক্রিপশন চালু করে দেন,সারাজীবন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে পারবেন। অনলাইন সেলারদের জন্য তৈরি করতে পারেন Invoice Generator (https://invoice-generator.com/) এছাড়া বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট,চেইনশপ,এবং ভিজিটিং কার্ড স্ক্যানের জন্য তৈরি করতে পারেন QR Code Generator ( https://qr-code.io/ ) বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি করতে পারেন সবথেকে জনপ্রিয় PSD to HTML ( https://products.groupdocs.app/ )।ইমেজ রিশেপিং এর জন্য তৈরি করতে পারেন Image Resize (https://imageresizer.com/)এর মতো টুল।
৬. আপনি যদি এক্সপার্টাইজ হন,তাহলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখিয়ে টাকাপয়সা রোজগার করা আপনার জন্য জাস্ট বা হাতের খেল! কোচিং ক্লাস অথবা রেকর্ডেড টিউটরিয়াল অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন।
- Udemy ( https://www.udemy.com/ ), Coursera (https://www.coursera.org) তে অনেক কোর্স এভাবে প্যাকেজ আকারে সেল করা হয়।
- YouTube ( https://www.youtube.com/) এ সেশন চালু করে স্পনসরশিপ নিতে পারেন।
৭. আমার মতো ব্লগ লিখে ইনকাম করতে পারেন।গুগল অ্যাডসেন্স,অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্লগ লিখেও আজকাল টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তু সবক্ষেত্রে একটাই শর্ত: কনসিসটেন্সি ধরে রাখতে হবেই। পুরানো ওয়েবসাইট কিনে নতুন করে আপডেট করে,কন্টেন্ট, ডিজাইন আর SEO ইম্প্রুভ করে ১০গুণ বেশি দামে বিক্রি করুন।একটু বুদ্ধি না খাটালে জীবনে চলা মুশকিল!