জুলুম করে এক গরিবের মাছ কেড়ে নেয়া এক অফিসারের মর্মান্তিক পরিণাম

ইমাম গাযযালী (রহঃ) বণী ইস্রাইলের এক ব্যক্তির একটি কাহিনী লিখছেন। গরিব এক জেলের একটি মাছ এক অফিসার জোর করে কেড়ে নিয়ে যায়। গরিব ছেলে আকাশের দিকে মুখ তুলে বলেছিল, হে আল্লাহ! আমি রোজ কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারব না। আমার উপর যে জুলুম করা হয়েছে আমি তার শাস্তি চাই। অত্যাচারী অফিসারের ঘরে মাছ কেটে রান্না করা হলো।

খেতে বসলে রান্না করা মাছ অফিসারের আঙ্গুলে কামড় বসিয়ে দিল। শুরু হল তীব্র যন্ত্রণা। পানাহারের চিন্তা বাদ দিয়ে ছুটে গেল ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার বলল, আপনার এ যন্ত্রণা লাঘবের উপায় হচ্ছে আপনার আঙ্গুল কেটে বাদ দিতে হবে। লোকটি রাজি হলো। আঙ্গুল কাটার পর যন্ত্রণা  কমলো না। অবশেষে সেই হাত কেটে ফেলল।

এতেও কোন লাভ হল না। অস্থির হয়ে লোকটি শহরের বাইরে ছুটে গিয়ে চিৎকার করে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে লাগলো। অদৃশ্য ঘোষক তাকে বলল, তুমি যার উপর জুলুম করেছ তাকে খুঁজে বের কর। তার ক্ষমা না করা পর্যন্ত তোমার যন্ত্রণা কমবে না। জেলেকে বহু কষ্টে খুঁজে বের করে অফিসার জেলের পায়ে পড়ে কাঁদতে লাগলো।  এবং মাছের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিলো।

জেলে তাকে ক্ষমা করতে রাজি হল না। বহু লোকের অনুরোধে জেলে এক সময় তাকে ক্ষমা করলো। ক্ষমা করার সাথে সাথে তার যন্ত্রণা দূর হয়ে গেল। মূছা (আঃ) এর কাছে আল্লাহ ওহী পাঠালেন, হে মূছা! সেই জেলে যদি জালিমকে ক্ষমা না করতো আমি তার দেহের যন্ত্রণা  কিছুতেই লাঘব করতাম না। ( নুজহাতুল বাছাতিন) 

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!