বাবা। অংক টা পারছি না।
দেখি মা। হুম, এত সোজা। শুধু যোগ-বিয়োগের অংক, সরল অংক।
হুম, কথা গুলো বলেই সালাম সাহেব থমকে যায়। সত্যই কি সহজ এই সরল অংক। পেরেছি কি এই অংকের সমাধান করতে। এই তো সে দিন যোগ-বিয়োগের সমাধান করতে গিয়ে থেমে গিয়েছিল। জীবনের হিসাবে বড় ভুল হয়ে গেছে। যোগের হিসাবেই তো বড় গন্ডগল হয়ে গেছে। সত্য কি তার সরল অংকের হিসাব মিলেছে? নাকি ভুল উত্তর নিয়ে বসে আছে?
বাবা
হুম।
দেখ, হয়ে গেছে।
হুম
বাবা, কি হল! দেখ হয়েছে।
না, কিছু না, কই দেখি?
খাতা টা দিয়ে প্রান্তিকা চলে যায় খেলতে। সালাম সাহেব খাতা নিয়ে বসে হিসাব মেলাতে। সরল অংক। জীবনের সরল অংক। শুধু যোগ আর বিয়োগের অংক। মেলাতে থাকে জীবনের ফল। পেরেছে কি মিলাতে এই সরল অংক? নাকি জীবনের খাতায় ভুল উত্তর নিয়ে চলে যাচ্ছে, শুন্যতা নিয়ে। পেরেছে কি জীবনের পরিক্ষায় ফুল মার্ক পেতে? নাকি অংকের খাতায় লাল কালিতে দেয়া শুন্য নিয়েই পার করছে?
এই শুনছ?
হ্য, বল।
বাজার নেই। বাজার আনতে হবে।
আচ্ছা, ব্যাগ দাও আনিছি।
হুম, পেরেছে হিসাব মেলাতে। সালাম সাহেব সরল অংকের প্রথম বন্ধনীর হিসাব করেছে মাত্র। সালাম সাহেব বসে ছিল সেই প্রথম বন্ধনির উত্তর নিয়ে। বসেছিল অসমাপ্ত উত্তর নিয়ে। তৃতীয় বন্ধনির হিসাব যে এখন আসে নাই। এক্ষনো তো চলছে দ্বিতীয় বন্ধনির হিসাব। না, এখনও শেষ হয় নাই সরল অংক! শেষ হয় নাই জীবনের অংক। এখনও আছে বাকি জীবনের হিসাব।
যৌবনের প্রথম বন্ধনের হিসাবে ছিল না পাওয়ার হিসাব, ছিল বিয়োগের আধিক্য। শেষ হয় নি, বাকি আছে এখনো জীবনের হিসাব! বাকি আছে দ্বিতীয়, তৃতীয় বন্ধনীর হিসাব। সালাম সাহেব বেরিয়ে পরে ব্যাগ হাতে বাজারের দিকে। বাকি হিসাব শেষ করতে। দ্বিতীয়, তৃতীয় বন্ধনীর হিসাব।