এক ঘোড়ার মালিকের পোষা ঘোড়াটি বুড়ো হয়ে যাওয়ার জন্যই হোক বা অন্য কোন কারণেই হোক, কিছুতেই চলতে চায় না। ঢিমিয়ে ঢিমিয়ে টুকুস টুকুস করে চলে। ওই যাকে বেতো ঘোড়া বলে তাই আর কি।
অবশেষে একদিন ঘোড়ার মালিক ঘোড়াকে নিয়ে গেল পশুচিকিৎসকের কাছে। পশুচিকিৎসক জানতে চাইলেন, ‘এর হয়েছেটা কি?’ ঘোড়ার মালিক বলল, ‘তা আমি বলতে পারছি না। একটু বয়েস হয়েছে বটে, কিন্তু তা ছাড়া আর-কিছু অসুখ তো দেখতে পাচ্ছি না।
পশুচিকিৎসক বললেন, ‘ঠিক আছে, কোনও চিন্তা করবেন না, আমি দেখছি। আমি একটা স্পেশাল টনিক বানিয়েছি, সেটা এক চামচে খাওয়ালেই ভাল হয়ে যাবে।’
যে কথা সেই কাজ। দশ সেকেন্ডের মধ্যে এক চামচ স্পেশাল টনিক মুখে পড়ামাত্র ঘোড়াটা চিঁহিহি হ্রেষাধ্বনি করে বিদ্যুৎবেগে ছুট লাগাল। সে তার যৌবনেও কোনওদিন এত জোরে ছোটেনি।
ঘোড়ার মালিক সেই দৃশ্য দেখে চমৎকৃত হয়ে পশুচিকিৎসককে বলল, ‘আপনার ওষুধের দাম কত?’
পশুচিকিৎসক বললেন, ‘এক চামচে টনিক দশ টাকা লাগবে।’
ঘোড়ার মালিক পকেট থেকে তিরিশ টাকা বার করে পশুচিকিৎসককে দিয়ে বলল, ‘আর দু’চামচ আপনার ওই স্পেশাল টনিক আমাকে দিন, আমাকে যে এখন ছুটে গিয়ে ঘোড়াটা ধরতে হবে। এর মধ্যে সেটা কতদুর চলে গেল কে জানে। ওর ডবল জোরে দৌড়তে হবে।’
[রম্যরচনা ৩৬৫ – তারাপদ রায়]
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।