জামা-কাপড় দিয়ে কী হবে?-মোল্লা নাসির উদ্দিন

নাসিরুদ্দীন হোজ্জা খুব যত্ন করে একটা খাসি পুষতেন। নাদুস-নুদুস সেই খাসিটার ওপর পড়শিদের একবার বদনজর পড়ে। একদিন, কয়েকজন মিলে হোজ্জার বাড়িতে গিয়ে হাজির হলো। হোজ্জাকে ডেকে বলল, “ও মোল্লা সাহেব, বড়ই দুঃসংবাদ! আগামীকাল নাকি এ দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে। হায়! এত সাধের ঘরবাড়ি, সহায়সম্পদ, এমনকি আপনার ওই প্রিয় খাসিটাও থাকবে না!” হোজ্জা বুঝলেন তাদের মতলব কী। কিন্তু এতগুলো লোকের বদনজর থেকে খাসিটাকে রক্ষা করা সহজ ছিল না। তাই তিনি মুচকি হেসে পড়শিদের বললেন, “তাহলে, দুনিয়া ধ্বংসের আগে খাসিটা জবাই করে খেয়ে ফেলাই ঠিক কাজ হবে। তোমরা কী বলো?” মতলববাজ পড়শিরা তো এ সুযোগের অপেক্ষায়ই ছিল। তাই তারা মোল্লার প্রস্তাবে খুশি হয়ে খাসিটা জবাই করে মহা ধুমধামে পেট পুরে খেল। তারপর গায়ের জামা খুলে হোজ্জার বৈঠকখানায় সবাই ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুম থেকে উঠে তারা দেখল তাদের জামা উধাও! সারা ঘর তন্নতন্ন করে জামা খুঁজতে লাগল তারা। হোজ্জা তখন বললেন, “ভাইয়েরা! দুনিয়াই যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে জামা-কাপড় দিয়ে কী হবে? তাই আমি সবার জামা আগুনে পুড়িয়ে ফেলেছি!” হা! হা…হাহা!!
–সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়তে পারেন...

৫০০ বছর পর -আবুল কালাম আজাদ

কয়টা বাজে জানার জন্য আব্দুল্লাহ ঞরসব বলে শব্দ করে। সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের মধ্যে রেড সিগন্যালে…

গরীবের খানা_মোহাম্মদ লিয়াকত আলী

একাধিক কন্যা সন্তান লালন পালন করে বিয়ে দানকারী পিতা-মাতার জান্নাতের খোশ খবর দিয়েছেন আল্লাহর নবী…

গাধার সংগীতচর্চা

এক গাঁয়ে এক ধোপার ছিল একটা গাধা। তার নাম অদ্ভূত। দিনভর গাধা ধোপার কাপড়ের বোঝা…

জামা-কাপড় দিয়ে কী হবে?-মোল্লা নাসির উদ্দিন

নাসিরুদ্দীন হোজ্জা খুব যত্ন করে একটা খাসি পুষতেন। নাদুস-নুদুস সেই খাসিটার ওপর পড়শিদের একবার বদনজর পড়ে। একদিন, কয়েকজন মিলে হোজ্জার বাড়িতে গিয়ে হাজির হলো। হোজ্জাকে ডেকে বলল, “ও মোল্লা সাহেব, বড়ই দুঃসংবাদ! আগামীকাল নাকি এ দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে। হায়! এত সাধের ঘরবাড়ি, সহায়সম্পদ, এমনকি আপনার ওই প্রিয় খাসিটাও থাকবে না!” হোজ্জা বুঝলেন তাদের মতলব কী। কিন্তু এতগুলো লোকের বদনজর থেকে খাসিটাকে রক্ষা করা সহজ ছিল না। তাই তিনি মুচকি হেসে পড়শিদের বললেন, “তাহলে, দুনিয়া ধ্বংসের আগে খাসিটা জবাই করে খেয়ে ফেলাই ঠিক কাজ হবে। তোমরা কী বলো?” মতলববাজ পড়শিরা তো এ সুযোগের অপেক্ষায়ই ছিল। তাই তারা মোল্লার প্রস্তাবে খুশি হয়ে খাসিটা জবাই করে মহা ধুমধামে পেট পুরে খেল। তারপর গায়ের জামা খুলে হোজ্জার বৈঠকখানায় সবাই ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুম থেকে উঠে তারা দেখল তাদের জামা উধাও! সারা ঘর তন্নতন্ন করে জামা খুঁজতে লাগল তারা। হোজ্জা তখন বললেন, “ভাইয়েরা! দুনিয়াই যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে জামা-কাপড় দিয়ে কী হবে? তাই আমি সবার জামা আগুনে পুড়িয়ে ফেলেছি!” হা! হা…হাহা!!
–সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়তে পারেন...

বেড়াল ও মোল্লা

মোল্লার মাংস খাওয়ার ইচ্ছা হওয়ায় বাজার থেকে এক সের খাসির মাংস কিনে বাড়িতে এনে বললেন,…

আলখাল্লার পরিবর্তে জোব্বা-মোল্লা নাসির উদ্দিন

একদা মোল্লা নাসিরউদ্দিন নিজের জন্য একটা জোব্বা কিনতে গেল একটি দোকানে। তো পছন্দ করার পর…

বেড়ালটা গেল কোথায়?-মোল্লা নাসির উদ্দিন

মোল্লা নাসিরউদ্দিন একবার বাজার থেকে খাসির গোশত কিনে আনলেন। স্ত্রীর হাতে দিয়ে বললেন,”অনেকদিন গোশত খাইনি।…