জামপাতা — সঞ্জয় বোস

ঠিক তখনি , গরু টা গাছ থেকে নেমে , পুকুর পারের কচি ঘাস এ মুখ দিল। যেন কিচ্ছু হয়নি , শুধু ব্যাপারটা লক্ষ্য করেছিল টিয়া পাখি টা, তবে তখন সূয্যি পশ্চিমে ঢলে পরেছে।
পুরনো জামা -কাপড়ের বদলে বাসন বিক্রি করে বেড়ায়, যেই লোকটা, তার নাকি দুটো ছেলে। একজন সকালে আসে, আর একজন বিকেলে। জমজ। চিনে বোঝার উপায় নাই। পুকুর পারের বড় জাম গাছটার নিচে তারা রোজ দুপুরে ঝিমোয়, রুটি খায়, গুড়, কখনো আচার।

শুধু গন্ডগোল বাধায় টিয়া গুলো, ঝাঁক বেঁধে এসে, সারাক্ষণ “ট্যা …ট্যা “। ঘুমোবার, থুড়ি ঝিমোবার যো নেই। পুরনো শাড়ি বা চাদর মাথায় মুড়ি দিয়ে এল তাকে আড়াল করেই, এক মুহুর্তের জন্য, মনে পরে যায়, গরু টা রোজই গাছ থেকে নেমে ঘাস খায়। সবজে সবজে রং, শিং দুটো লাল, মুখটা হাবাগোবা।

কখন একটা হবে , কাজে ফাঁকি দিয়ে চলে আসে।

ফিক করে হেসে, আড় চোখে দেখে নেই। টিয়া দের ঝাঁক এবারে পাড়ি লাগালো বলে। জাম পাতার ঝিলমিল এ অন্যরকম একটা রোদ। এই আছে, এই নেই। গুঁড়ি বেয়ে কাঠ -পিঁপড়েরা মিছিল করে চলেছে। ওরা কি বলে ?……”পাখা কৈ, পাখা কৈ”। আর কিছুদিন পর, ঝপঝপে জলে, ওদের পাখা গজাবে, সকাল বেলায়, ঘাসের উপরে অনেক অনেক পাখা।

তখন গরুটা এই দিকে আসবেই না।

“এই ওঠ ওঠ বেলা যে বয়ে গেল, অনেক দূর যেতে হবে যে ….”

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!