ছোট সত্য ঘটনা

ঘটনা:
আজকে আপনাদের সাথে ছোট কিন্তু সত্য একটা ঘটনা শেয়ার করবো। আমাদের গ্রামের বাড়ি নড়াইলে। বাস থেকে নেমে ১৫ মিনিট মেঠো পথ দিয়ে হেঁটে যেতে হয়। আমি প্রতি ১৫ দিনে একবার করে যেতাম বাড়িতে। এখন দেশের বাইরে থাকি, তাই যাওয়া হয় না। আপনাদের সাথে যেদিনের কথা শেয়ার করবো, তখন আমি ইন্টারে পড়তাম। ঢাকা কলেজে। কলেজ হটাত একদিন বিকালের দিকে বন্ধ দিলো কিছু রাজনৈতিক কারণে। ভাবলাম বাসায় চলে যাবো। মাকে ফোন করে জানালাম। কিন্তু সেদিন বাসায় আমাকে আনতে যাবার মতো কেউ ছিল না। তাই মা বললেন আসিস না। আমি তবু জিদ করে গেলাম। বাস থেকে নেমে হাঁটা ধরলাম বাড়ির দিকে।

রাস্তা পরিষ্কার। তখন শীতের শুরু। তাই মানুষজন একদমই নেই। রাস্তায় কিছুদূর যাবার পর একটা ডোবা পড়ে। তার পাশেই এক বিশাল তাল গাছ। এখানে নাকি অনেকেই খারাপ জিনিস দেখেছে। যদিও আমার সাথে কখনো এমন কিছু ঘটে নি। এবার অনেকদিন পরে বাসায় যাচ্ছি, তাই আনন্দিত ছিলাম। ঠিক ডোবার পাশে আসার সাথে সাথে হঠাৎ পানিতে কি যেন ঝাঁপিয়ে পড়ার আওয়াজ পেলাম। আকাশে চাঁদ ছিল। মোটামুটি ভালোই দেখা যাচ্ছিলো। সেই আলোয় দেখলাম পানিতে একটা মানব দেহ ভাসছে। সাদা কাপড় পড়া। মানে কিভাবে বুঝাব বুঝতেছি না। আসলে সেটা এক মেয়ের দেহ। শরীরে শাড়ি পড়া, কিন্তু পুরো শরীর ঢাকা না। মনে হলো কেউ মেরে হয়তো ফেলে দিয়েছে।

সারা শরীরে ভয়ের একটা স্রোত বয়ে গেলো। আগেই বলেছি, আমার ভুতের ভয় নেই, তবে এসব ব্যাপার এড়িয়ে চলি আমি। চারপাশে তাকিয়ে দেখলাম কেউ আছে কিনা। যেহেতু আমি এই মাত্র পানিতে এটা ফেলার আওয়াজ শুনেছি, তাহলে অবশ্যই যে ফেলেছে সে আছে আশেপাশে। ডোবার পুরোটা দেখা যায় রাস্তা থেকে। অবাক হয়ে দেখলাম আশেপাশে কেউ নেই। কি করবো ভাবতেছি, এমন সময় হঠাৎ দেখলাম সেই দেহটা টুপ করে পানিতে ডুবে গেলো। কেউ যেন নিচ থেকে টেনে নিয়ে গেলো। দেহটা ডুবল খাড়া হয়ে। যারা কুঁচ দিয়ে মাছ শিকার করেছেন তারা বুঝবেন আমি কি বুঝাতে চাচ্ছি। কুঁচ মারার পর তা যেমন সোজা পানিতে ডুবে যায় তেমন।

দেহটা ভাসতে ভাসতে হঠাৎ পানির উপর প্রায় দাঁড়িয়ে পড়লো। এরপর আস্তে আস্তে ডুবে গেলো। আমার মাথা ঘুরাচ্ছিল। আল্লাহর নাম নিয়ে চিৎকার করতে করতে এক দৌড়ে বাসার দিকে যেতে লাগলাম। জানি না সেদিন কিভাবে বাসায় পৌঁছে ছিলাম। আধুনিক ছেলে হয়ে এমন অদ্ভুত ব্যাপার বিশ্বাস করার কিছু নেই। কিন্তু এরপরেও আমার সাথে খুব ভয়ানক কিছু ব্যাপার ঘটে। যাতে আমি বিশ্বাস করতে বাধ্য হই যে এরা আছে। অবশ্যই আছে।

দাদী -ভূত

সিন্দাবাদের ঈগল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *