ছুর পর্বতের গুহার মুখে কবুতর ও মাকড়শার বাসা তৈরী
তাবরানী বায়হাকী, আবূ নোয়াইম এবং ইবনে ছায়াদ এবং জায়েদ ইবনে আকরাম (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যে রাতে হিজরতের উদ্দেশ্য হযরত আবূ বকর ছিদ্দিক (রাঃ) এর সাথে রওয়ানা হয়ে ছুর পর্বতের গুহায় আশ্রয় নেন, ঐ রাতে আল্লাহ্ পাকের নির্দেশ একটি বৃক্ষ তাঁকে আড়াল করে রাখল। কোথা থেকে একটি কবুতর এসে গুহার মুখে বাসা তৈরী করে তৎক্ষণাৎ ডিম পাড়লো এবং গুহার প্রবেশ পথেই জাল বণলো মাকড়শা।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে অন্বেষণকারী কোরাইশ দল ঐ গুহার মুখে এসে বলতে লাগলেন, মুহাম্মাদ এবং তাঁর সাথী এ গুহায় প্রবেশ করলে গুহার প্রবেশপথে কবুতর ও মাকড়শার বাসা এভাবে অক্ষত থাকতে পারত না। কাফেররা তাদের এত নিকটবর্তী হয়েছিল যে, গুহাভ্যন্তর থেকে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)ও আবূ বকর ছিদ্দিক (রাঃ) কাফেরদের কথার শব্দ পরিষ্কার শুনছিলেন। কোরাইশরা একটু লক্ষ্য করে দেখলেই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে দেখতে পেত। কিন্তু আল্লাহ্ পাক সেখানে কবুতর, মাকড়শা ও বৃক্ষ প্রেরণ করে স্বীয় হাবীবকে কাফেরদের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করলেন। (বায়হাকী, তাবরানী, আবু নোরাইম)
ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, বর্তমানে হেরেম শরীফের কবুতরসমূহ গারে ছুরের সে কবতুরেরই বংশধর।