কুলতলা বয়েজ স্কুলে ইন্সপেক্ টর আসবেন। তাই মাস্টার মশাইরা বড়ই ব্যস্ত হয়ে পরেছেন। বিশেষত অঙ্কের স্যার। আগের দিন ক্লাসে ক্লাসে ঘোষণা জারি– সকলে পরিষ্কার ইউনিফর্ম পরে আসবে, পড়া শিখে আসবে, বদ মাইসি করবে না, খারাপ-ভালো সবাই মিলে মিশে বসবে ইত্যাদি। পরের দিন যথা সময়ে ইন্সপ েক্টর উপস্থিত। ক্লাস এইটের অঙ্ক ক্লাসে হাজির।
কথামত ছেলেরা চুপচাপ বসে। ওদিকে প্রধান শিক্ষক ও গণিতের শিক্ষক তটস্থ। ইন্সপেক্টর প্রশ্ন করলেন ‘আচ্ছা বলোতো একটি ট্রেন দিল্লি থেকে মুম্বাই গেল ৭৫ কিঃমিঃ বেগে,আবার আর একটি ট্রেন চেন্নাই থেকে কলকাতা আসল ৭০ কিঃমিঃ বেগে,তা হলে আমার বয়স কত? এমন প্রশ্ন শুনে ছাত্রদের মাথায় হাত, শিক্ষকদ্বয় ঘেমেনেয়ে একাকার। আসলে এ প্রশ্নের উত্তর বোধহয় আইনস্টাইনের ও অজানা।
যাইহোক ছেলেদের মধ্যে একজন অনেকক্ষণ বাদে হাত তুলেছে দেখে ইন্ সপেক্টর তো ভারি খুশি। কিন্তু শিক্ষকদ্বয় ভারি বিব্রত। কারণ ছেলেটি একেবারে বিচ্ছু। তার নামও আবার বিট্টু। বিট্টু উত্তর দিল–‘স্যার আপনার বয়স ৪৪ বছর।’ ইন্সপেক্টর যারপরনাই অবাক–সত্যই তার বয়স ৪৪। তিনি বিট্টুকে জিজ্ঞাসা করলেন ‘কী করে বললে ? ‘ বিট্টুর উত্তর–‘খুব সোজা স্যার। আমাদের বাড়িতে আমার এক মাসতুতো দাদা আছে, তার বয়স ২২, সে হাফ পাগল। আর আপনি ফুল পাগল তাই ২২- এর ডবল ৪৪।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।