চোরে না-শোনে ধর্মের কাহিনী

পাহাড়ি রুক্ষ, ধু-ধু প্রান্তর। ছোট-বড় পাহাড়। এরই মধ্যে রাস্তা। একদল বণিক চলেছে নিজেদের গন্তব্যে, কিন্তু তারা আক্রান্ত হয় ভয়ংকর দস্যুদের কবলে।

দস্যুরা প্রথমেই “হারে রে রে, হারে রে রে” বলে ঝাঁপিয়ে পড়ল বণিকদলটির উপর। তারপরে শুরু করল নির্মমভাবে মারধর। মালপত্র যা ছিল সব লুট করে নিল নিমেষের মধ্যে।

বণিকেরা অসহায়। তারা করুণভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করতে লাগল। তারা বলতে লাগল—“তোমরা সব লুট করে নিলে আমরা পাহাড়ি পথে না খেয়ে মারা পড়ব। আমাদের এত বড় বিপদে তোমরা ফেলো না।”

কিন্তু দস্যুরা বড় ভয়ংকর। তারা খুব নির্মম ও নিষ্ঠুর। কোনো কথাই তাদের কানে প্রবেশ করছে না।

বণিকদলের মধ্যে ছিলেন একজন জ্ঞানী ব্যক্তি। তাঁর নাম লোকমান হাকিম। বণিকেরা তখন জ্ঞানী ব্যক্তিকে বারবার অনুরোধ করতে লাগল—“আপনি দস্যুদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন। উপদেশবাণী দিন। যদি এতে দস্যুদের মনে কোনো দয়ার উদ্রেক হয়, তারা যদি এতে শান্ত হয়, এই জঘন্য পাপকাজ থেকে তাদের মুক্ত হওয়া উচিত।”

জ্ঞানী ব্যক্তিটি তখন হেসে ফেললেন—

“না হে, যারা পশুর মতো আচরণ করে তাদের উপদেশ দিয়ে কোনো লাভ নেই। তারা যুক্তি বিবেচনা করে না। তাদের সঙ্গে কথা বলা আর মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে চিৎকার করার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

যে লোহার মরচে পড়েছে—সেটা হাজারবার ঘষলেও উজ্জ্বল হবে না কখনো। যাদের হৃদয় মরচে পড়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলতে যাওয়াই বোকামি।”

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!