চার বন্ধু

চার বন্ধু জ্যামিতি ক্লাসে খুবই ভাল করছিলঃ বাড়ির কাজে আর মিডটার্মে বেশ ভাল গ্রেড পেয়ে উৎরে যাচ্ছিল। তো এমনি করে যখন ফাইনাল পরীক্ষার দিন ঘনিয়ে এল, তারা ভাবল আর পড়ে কী হবে? তার চেয়ে বরং দূরের অন্য এক শহরে আরেক বন্ধুর জন্মদিনে যাওয়া যাক যদিও পরীক্ষা সোমবার সকালে! যা ঘটে আর কী, পার্টিতে মাত্রাতিরিক্ত ফুর্তি আর পানাহার হল এবং ফলস্বরূপ সোমবার সকালটা হ্যঙ্গ ওভার আর ঘুমেই কেটে গেল। তারপর যখন ওরা ক্যাম্পাসে পৌঁছাল, ততক্ষণে পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে।
তারা প্রফেসরের অফিসে গিয়ে দিব্যি একটা কল্প কাহিনী ফেঁদে বসলঃ “আমরা এক বন্ধুর জন্মদিনে গিয়েছিলাম, এবং যখন ড্রাইভ করে ফিরছিলাম সোমবার ভোরে, তখন আকস্মিকভাবে আমাদের গাড়ির চাকা ফেঁসে যায়! আমাদের কোন স্পেয়ার চাকা ছিল না, আর ব্যকরোড হবার জন্য সাহায্য পেতে পেতে পরীক্ষার সময় পেরিয়ে যায়…ইত্যাদি ইত্যাদি”
প্রফেসর খুব সহানুভূতির সাথে মাথাটা নাড়ালেন, ‘বুঝতে পারছি তোমাদের কোনো দোষ ছিল না। হয় এরকম। আমি তোমাদেরকে আগামিকাল সকালে আরেকটা সুযোগ দিচ্ছি। দেখ ফস্কে যেন না যায়! পাস কিন্তু করতেই হবে…”
মঙ্গলবার সকালে একটু আগেভাগে ওরা পৌঁছে দেখল, অবস্থা সুবিধার না! একটা বিরাট হলে এমন ছড়িয়ে ছিটিয়ে সিট বসানো হয়েছে যে চাইলেও চিটিংবাজি চলবে না! প্রশ্ন আর উত্তরপত্র দেয়া হয়েছে। অগত্যা ওরা লিখতে বসল।
প্রথম প্রশ্ন – বেজায় সোজা – ১০০ –এর মধ্যে ৫ নম্বর। জ্যামিতির সাধারণ প্রশ্ন আর চারজন দশ মিনিটের মধ্য উত্তর করে ফেলতে পারল। মুখে তৃপ্তির হাসি।
যখন ওদের মধ্যে একজন সবার আগে সমাধান করে ফেলল, সে প্রশ্নপত্রটা উল্টিয়ে খুব জোশে পরের প্রশ্নটি পড়া আরম্ভ করলঃ
সমস্যা নং ২ ( ১০০ –এর মধ্যে ৯৫): কোন্‌ চাকাটা ফেঁসে গেছিল, বাবারা?

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!