কোরিয়া খুব দূর দেশ নয় । তবে কোরিয়া নামে আছে দুটি দেশ, উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিন কোরিয়া । কোরিয়া বিশ্বের অন্য দেশের মতো নয়, জাপান-চীনের সাথে এশিয়ার অন্যতম উন্নত দেশ । এখানকার গল্পগুলোর মধ্যে ‘গল্প’ রাও অনেক সময় চরিত্র হয়ে এসেছে ।
এই কোরিয়ায় খুব ধনী এক ব্যক্তি ছিল । তার ছিল এক ছেলে । ছেলেটি রুপকথা, উপকথা আর পরীদের গল্প গুনতে ভালোবাসতো । প্রতি রাতে যখন সে ঘুমুতে যেত, একজন চাকর তার ঘরে বসে বসে তাকে একটি করে মজার গল্প শোনাতো । এসবের মধ্যে ভয়ানক ড্রাগন আর বাঘেদের গল্পও ছিল । কিছু গল্প ছিল দুষ্টু পরীদের নিয়ে অথবা ভয়ানক শেয়ালদের আত্না সম্পর্কে ।আর কিছু গল্প ছিল ভালো পরী, সুন্দরী রাজকুমারী আর বীর যোদ্ধাদের নিয়ে ।
ছেলেটির ঘরের দরজায় চমড়ার একটি পুরনো থলে ঝোলানে ছিল । থলেটার গলায় বাঁধা ছিল শক্ত ফিতে । চাকর যখন ছেলেটাকে গল্প শোনাতো, তখন গল্পের আত্নাটা সেই ব্যাপারের মধ্যে ঢুকে পড়তে আর সেখানেই তাকে থাকতে হতো । যতদিন না ছেলেটা অন্যকে গল্পটি বলত, ততদিন আত্নাটি সেই থলের মধ্যেই থাকতে বধ্য হতো ।
আত্নাদের দুর্ভাগ্য ছিল এই যে, ছেলেটা ছিল ভীষণ স্বার্থপর । দিনের বেলা যখন অন্য ছেলেদের সাথে সে খেলত, তখন তারা বলত, ‘আমরা জানি যে, তোমাদের চাকররা তোমাকে অনেক মজার গল্প বলে, তার থেকে আমাদের কিছু গল্প শোনাও ভাই ।’
ছেলেটা কিছুতেই বলত না । সে সমস্ত গল্প নিজের মনে জমিয়ে রাখত । বছরের পর বছর ধরে দরজায় ঝোলানো পুরনো চামড়ার ব্যাগে ভিড় বাড়তে থাকল । গল্পের ভালো এবং খারাপ আত্নারা থলের মধ্যে গাদাগাদি করে এমনভাবে ছিল যে তাদের নড়াচড়া করার জায়গা পর্যন্ত ছিল না । ফলে তারা খুব রাগান্বিত, অসন্তুষ্ট আর বিরক্ত হয়ে পড়লে ।
ছেলেটি একদিন যুবকে পরিণত হলো । গল্প-বলা চাকরদের মধ্যে থেকে মাত্র একজন তার সাথে থেকে গিয়েছিল । সে ছিল একজন বিশ্বস্ত পুরনো চাকর, যে জানত দেশের পুরনো লোককথা আর গল্প । ছেলেটা যদিও এখন বেশ বয়ষ্ক, তবুও সে গল্প শুনতে ভালোবাসত আর তার চাকরটা তাকে প্রতি রাতে একটা করে গল্প শোনাতো । আর প্রতি রাতে নতুন একটা গল্পের আত্নাকে শোবার ঘরের দরজায় ঝোলানে থেলেতে চাপাচাপি করে ঢুকতে হতো ।
’এখানে একদম জায়গা নেই । আমরা একেবারে আলুভর্তা হয়ে গেছি’, ভেতর থেকে আত্নগুলো চিৎকার করে উঠত । কিন্তু তাকে কোনো লাভই হতো না । নতুন আত্নাটিকে থলেতে ঢুকতেই হতো ।
বন্ধুরা যুবকটিকে তার জানা গল্প থেকে তাদের গল্প বলার জন্য বারবার অনুরোধ করত কিন্তু স্বার্থপর যুবক তা বলতে অস্বীকার করত । যুবকটি আস্তে আস্তে আরো বড় হলো । ইতোমধ্যে তার বাবা-মা মারা গিয়েছিল । কিন্তু তার একজন দয়ালু চাচা ছিল । সেই তার দেখাশোনা করত । যেহেতু যুবকটি ধনী তাই তার জন্য একটি ভালো বিয়ের ব্যবস্থা করতে তার চাচাকে কোনো বেগই পেতে হলো না । বিয়ের সব আয়োজন সম্পূর্ণ হলো এবং একদিন বরযাত্রীসহ কনের বাড়ির উদ্দেশ্যে বরযাত্রার দিনটিও ঘনিয়ে এলো । রওনা হওয়ার আগে যে চাকরটা তাকে গল্প শোনাতো, বিশেষ কাজে সে যুবকটির শোবার ঘরে গেল । ঘরে ঢোকার পরেই সে ক্রুদ্ধ কণ্ঠস্বর শুনতে পেয়ে হতচকিত হয়ে পড়ল, কারণ, সে জানত ঘরে কেউ নেই । চোর এলো কি? সে চুপিচুপি এগিয়ে গেল ব্যাপারটা ভালো করে আঁচ করার জন্য ।
’আজকে ওর বিয়ে হচ্ছে । তোমরা জানো’, একটি কণ্ঠস্বর বলে উঠল । হাঁ , ও আজকে খুব জমকালো পোশাক পরে বিরাট এক খানাপিনার আসরে যাচ্ছে কিন্তু আমাদের এই থলেতেই গাদাগাদি করে পড়ে থাকতে হচ্ছে । ব্যাপারটা ভালো হলো না । আমরা এখানে বহুদিন ধরে পড়ে আছি ।’যে কণ্ঠটি চিৎকার করে উঠল সেটা যে একটা শেয়ালের আত্না, তাতে কোনো সন্দেহ নেই ।’চলো আমরা যুবকটিকে হত্যা করি । ও মরে গেলেই আমরা এই থলে থেকে মুক্তি পাব ।’কথাটা শুনে সব আত্নারা চিৎকার করে উঠল, ‘কী সুন্দর বুদ্ধি’! ‘হাঁ, আমরা তাই করব’ অনেকগুলো অসুন্তুষ্ঠ আত্না একমত হলো । পুরাতন চাকরটি খুব ধীরে ধীরে দরজা ঠেলে শোবার ঘরেরে ভিতরে ঢকলো আর পুরাতন চামড়ার থলের ভিতরে উঁকি দিল । সে অবাক হয়ে দেখল যে থলেটা ফুলে ফুলে উঠছে আর দোল খাচ্ছে । কারণ ভেতরে আত্নারা তাদের মুষ্টিবদ্ধ হাত নাড়ছিল আর রেগে কথা বলছিল । ভালো পরী, সুন্দরী রাজকুমারী আর বীর যোদ্ধাদের গল্পের আত্নাগুলো চুপচাপ ছিল । তারা অন্যদের ভয় পাচ্ছিল । সৌভাগ্যক্রমে পুরাতন চাকরটি যুবকটিকে ভালোবাসতো, তাই সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আত্নাদের পরিকল্পনা শুনল । ‘বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়ি অনেক দূরের রাস্তা ।’. বাঘের গল্পের আত্না বলল, ‘যুবকটি গরমে পিপাসার্ত হয়ে পড়বে । পানির আত্নাটি আমার বন্ধু । আমি তাকে বলব রাস্তার ধারের কোনো কুয়োর মধ্যে লুকিয়ে থাকতে আর পানির উপরে কুমড়োর তৈরি একটা সুন্দর পাত্র ভাসিয়ে রাখতে । যুবকটি পানি পান করলে পানির আত্না তার গলায় আটকে যাবে এবং তাকে মেরে ফেলবে ।’
’খুব সুন্দর বুদ্ধি।’ একটা শেয়াল আত্না হেসে উঠল । কিন্তু যদি কোনো করণে এই ফাঁদ ব্যর্থ হয়, তাহলে আমি আমার বন্ধুর স্ট্রবেরির পরীকে বলব রাস্তার ধারের কোনো মাঠে বসে থাকতে । যদি যুবকটি কোনো কারণে পানি পান না করে , তাহলে সে নিশ্চয় পাকা আর মিষ্টি ফল খেতে চাইবে । আমার বন্ধু স্ট্রবেরী সঙ্গে সঙ্গে ওর গলায় ঝাঁপিয়ে পড়বে আর ওকে দম বন্ধ করে মেরে ফেলবে ।’
আত্নাদের হাততালিতে চামড়ার থলেটা জোরে দুলে উঠল । এরপর ভেসে এলো বাদুড় আত্নার নাক চিৎকার ‘ বিয়ের নিয়মকানুন আমি জানি ।’সে বলর, ‘বর যখন কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়, তখন কনের বাড়ির উঠোনে এক বস্তা তুষ রেখে দেয়া হয় । যেন বর তার ঘোড়া থেকে আরামে নামতে পারে । আমি বস্তার মধ্যে একটা আগুনের মতো গরম পেরেক রেখে দেয়ার ব্যবস্থা করবো । তাহলে যবকটি পড়ে যাবে । ‘খুব ভালো খুব ভালো’, সব আত্নারা বুদ্ধিটা সমর্থন করল ।তাই শুনে সাপের আত্না হিসহিস করে উঠল, ‘আমার চাচাতো ভাইকে বলব কবনের মাদুরের নিচে লুকিয়ি থাকতে । যদি সব পরিকল্পনা ব্যর্ত হয় এবং বর-কনের সাথে দেখা হয়, আমার ভাই তখন মাদুরের হল থেকে বেরিয়ে যুবককে কামড়াবে এবং এভাবেই আমাদের সমস্যার সমাধান হবে ।
’ভালো ,খুব ভালো’, গল্পের আত্নারা হেসে উঠল। এরপর নেমে এলো নীরাবতা আর থলেটাও স্থির হয়ে গেল । পুরানো চাকরটা ভীষণ ভয় পেয়ে গেল । সে তার মনিবকে ভালোবাসতো । তার কোনো ক্ষতি হোক সে চাইতো না । কিন্তু সে এও জানতো যে, সে যদি শোবার ঘরের দরজায় ঝোলানো আত্নাদের কথা বলে, তাহলে কেউ তাকে বিশ্বাস করবে না এবং ভাববে তার মাথার স্ক্রু ঢিলে হয়ে গেছে ।
’আমার মনিবকে বুদ্ধি করে বাচাতে হবে , সে ভাবল। সে যুবকের চাচার কাছে গেল আর যুবকের ঘোড়ায় চেপে কনের বাড়ি যাওয়ার অনুমতি চাইল । শুনে চাচা উত্তর দিলেন, কছুতেই না ।
তুমি বুড়ো হয়ে গেছো আর এই ভ্রমণ তোমার জন্য খুবই দীর্ঘ হয়ে যাবে ।
দয়া করুন, দয়া করুন, চাকরটা বলল । আমি দীর্ঘদীন ধরে আমার মনিবের দেখাশোনা করছি, আমি তাকে তার বিয়ের আসরে নিয়ে যাব। তারপরে শান্তিতে অবসর নেব ।
ঠিক আছে, চাচা নিশ্বাস ছেড়ে বললেন । তুমি ঘোড়া চালিয়ে নিয়ে যাও ।
অবশেষে বরযাত্রীদের দল রওনা হলো । বুড়ো চাকরটা তার যুবক মনিবের ঘোড়ার লাগাম ধরে রওনা হলো । ঘোড়ার জিন ছিল খব সুন্দর আর ঝালর দেয়া । বরের পোশাক ছিল জাঁকজমকপূর্ণ । তার পাশে পাশে চাকরটা পায়ে হেঁটি যাচ্ছিল । যাত্রী দলের সবশেষে চাচার ঘোড়া ছিল । আর একজন চাকর সেটা টেনে নিয়ে যাচ্ছিল । দিনটা ছিল রোদঝলমলে । কিছুদূর যাওয়ার পরে বর পিপাসার্ত হয়ে পড়ল । ঠিক সেই সময় সে দেখতে পেল একটা ঠান্ডা পানির কুয়ো, যার ভেতরে একটা সুন্দর পানপাত্র ভেসে আছে । আমাকে একপাত্র পানি এনে দাও, সে চাকরকে হুকুম করলো । বৃদ্ধ ঘোড়ার লাগাম ধরে খুব তাড়াতাড়ি সামনে এগিয়ে গেল । ‘প্রিয় মনিব আমার, আপনি পানি পান করার জন্য কিছুতেই থামবেন না । এই রোদের মধ্যে পানি পান করলে আপনার ঘাম হবে এবং তার ফলে আপনার পোশাক নষ্ট হয়ে যাবে । মনিবের আদেশ এভাবে অমান্য করায় অন্য চাকরেরা খুবই অবাক হলো । কিন্তু বরযাত্রা এগিয়েই চলল । এরপর তারা একটা স্ট্রবেরির খেতের পাশে চলে এলো । ‘আমি এখনো পিপাসার্ত আর ক্ষুধাও লেগেছে । বর বলল. ‘আমাকে কয়েকটি স্ট্রবেরী এন দাও । আমার মনে হয় আপনি আসলে স্ট্রবেরী চাচ্ছেন না , বৃদ্ধ চাকরটি আরো দ্রুত এগিয়ে গেল । আপনি আপনার পোশাকে রস ফেলে নষ্ট করে ফেলবেন । আপনার প্রিয় মা আপনাকে ভালো পোশাক পরা অবস্থায় কখনো খেতে দিতেন না, এটা তো জানেন ।
অন্যান্য চাকর তাদের কানকে বিশ্বাস করতে পরছিল না । তারা চাচার কাছে খবর পাঠালো এই বলে যে পাগল বুড়ো তার মনিবের আদেশ মানতে অস্বীকার করছে । খবরটা শুনে চাচা দ্রুতবেগে চলে এলেন । ‘কী ঘটছে এসব? ‘তিনি জানতে চাইলেন ।’একথা কি সত্যি যে এই চাকর পানি বা স্ট্রবেরি আনতে অস্বীকার করেছে ?
হ্যাঁ হ্যাঁ, বর জানালো । কিন্তু কোনো ঝামেলা করার দরকার নেই । ও আমার বিশ্বস্ত পুরাতন চাকর । ঠিক আছে, এখন কোনো ঝামেলা নয়, চাচা বললেন ।তবে বিয়ের পর একে ভালো একটি পিটুনি দিতে হবে ।
এভাবেই বৃদ্ধ চাকরটা তার মনিবকে গল্পের আত্নাদের পাতা প্রথম দুটি ফাঁদ থেকে বাঁচিযে দিয়ে গেল এবং একসময় তারা কনের বাড়িতে পোঁছে গেল । খুব বড় খানাপিনার আয়োজন করা হয়েছিল এবং পাত্রপক্ষের জন্য একটি বড় তাবু খাটানো হয়েছিল । উঠোনে পাত্রের ঘোড়ার কাছে এক বস্তা ধানের তুষ রাখা হয়েছিল । যুবকটি যখন ঘোড়া থেকে নামতে গেল, বুড়ো চাকর তুষের থলে টান মেরে সরিয়ে ফেলল ।’তুমি কি সত্যি পাগল হয়ে গেলে? যুবকটি পা হড়কে পড়ে যেতে যেতে জিঙ্গেস করল । চাচা আবারো রেগে গেলেন এবং চাকরটাকে দুদফা পিটুনি দেবেন বলে ঠিক করলেন । বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হলো । চাকরটা চুপ করেই থাকল । সে তার মনিবকে তৃতীয় বিপদ থেকে বাঁচিয়েছে ।
উৎসব্ শুরু হলো । একটা মোরগ এবং একটা মুরগিকে সুন্দর পোশাক পরিয়ে মদের পাত্রের সাথে বেঁধে তাদেরকে সুন্দর কারুকাজ করা একটা টেবিলের ওপরে রেখে দেয়া হয়েছিল । টেবিলের পাশে ড্রাগনের ছবি আঁকা পর্দা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছিল সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে । বর টেবিলের পুর্ব পাশে দাঁড়িয়েছিল । কনে সুন্দর কারুকাজ করা পোশাক পরে দুজন সখীকে নিয়ে টেবিলের পশ্চিম দিক থেকে এসে দাঁড়াল । তারা পরস্পরকে মাথা নুইয়ে অভিবাদন জানালো । উৎসব চলতেই থাকল । সবাই মোরগ মুরগি বাঁধা পাত্র থেকে চুমুক দিয়ে মদ পান করল এবং এভাবেই বিয়ের যাবতীয় নিয়মকানুন পালন করা হয়ে গেল ।
বিরাট খানাপিনা, অনেক কথাবার্তা এবং বহু আত্নীয়স্বজনের আসা যাওয়া চলতে থাকলো । অবশেষে বর ও কনের বিশ্রাম করার সময় হলো । এখানে সাপের আত্নারা যুবককে হত্যা করার শেষ চেষ্টা চালাবে । বৃদ্ধ চাকর বর-কনে ও অন্যদের অনুসরণ করল এবং হতবাক করে দিয়ে সবাইকে পেছনে ঠেলে দিয়ে আগে চলে গেল । সে কোমরে লুকানো একটি তরবারি বের করল । মেঝের কার্পেট তুলল এবং তার নিচে লুকানো সাপকে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলল ।
এরকম ঝামেলা আর বিরক্তিকর উত্তেজনা এর আগে কারো সংসার কখনো হয়নি । যখন সাপটি মরে গেল চাকরটি স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। ফলে তার মনেবকে মেরে ফেলার সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেল । তারপর সে চামড়ার ব্যাগের গল্পের আত্নদের কথা সবাইকে জানালো । যুবকিটি সব কথা বিশ্বাস করল এবং গল্পের আত্নাদের স্বার্থপরের মতো ব্যাগের মধ্যে বন্দি করে রাখার জন্য দুঃখিত হয়ে বললো, আজ থেকে আমি সবাইকে সেইসব গল্প শোনাব, এতদিন যা আমি একা একা উপভোগ করেছি ।
যখন যুবকের ছেলে, আর মেয়ে হলো, প্রতিদদিন সন্ধ্যায় সে তাদের নিয়ে বসত আর গল্প শোনাত । ছেলেমেয়েরা ভাবত তাদের বাবা পৃথিবীর সব থেকে সেরা বাবা । এক এক করে গল্পের আত্নারা সব মুক্তি পেল । বুড়ো কাজের লোকটিকে অবশ্য কোনো শাস্তি দেয়া হলো না, বরং উল্টো ঘটনা ঘটলো । তার জন্য আরামদায়ক খাবার ও শোয়ার ব্যবস্থা করা হলো ।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।