ঘুস খাওয়া একজন সরকারী অফিসারের কবরে আগুন জ্বলছিল আর শোনা যাচ্ছিল হৃদয়বিদারক চিৎকার

অবসরপ্রাপ্ত একজন সরকারি কর্মকর্তা যথেষ্ট অর্থবিত্তের মালিক ছিলেন।

তিনি মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। অত্যন্ত মিশুক প্রকৃতির হওয়ায় মানুষ তাকে বেশ পছন্দ করতো। এতিম ও গরিবদের তিনি প্রচুর অর্থসাহায্য দিতেন। কয়েকটি এতিম মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থাও করেছিলেন। মক্কায় গিয়ে হজও পালন করেছেন।

এই কর্মকর্তার মৃত্যুর পর কবর তার গ্রহণে রাজি হচ্ছিল না। বারবার কবর খনন করা হলেও লাশ কবরে নামানোর উদ্যোগ নিতেই কবর বুজে যাচ্ছিল। চতুর্থবার বহু কষ্টে তার লাশ কবরে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো।

ফাতেহা পাঠ করে যখন সবাই ফিরে যাচ্ছিল, তখন মনে হলো কবর এলাকায় যেন ভূমিকম্প শুরু হয়েছে। পেছনে ফিরে তাকিয়ে সবাই দেখল কবর থেকে অগ্নিশিখা আর ধোঁয়া বের হচ্ছে। কবরের ভেতর থেকে মৃতদেহের হৃদয়বিদারক চিৎকার শোনা যাচ্ছে। ভয়ানক এ দৃশ্য দেখে যারা এ মৃতদেহকে দাফন করতে এসেছিল, তারা সবাই দৌড়ে পালাতে লাগল। সবাই অবাক—এত ভালো মানুষ, হজ পালনকারী, নামাজি লোকের এ কী পরিণাম!

তদন্ত করে জানা গেল, মরহুম ছিলেন শৈশব থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। পিতামাতা তাকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেন এবং ঘুষের জোরে একটি সরকারি চাকরি পেতে সহায়তা করেন। চাকরি পাওয়ার পর তিনি দু’হাতে ঘুষ নিতে শুরু করেন। ঘুষের টাকায় ফ্ল্যাট কিনেন, ব্যাংকে সঞ্চিত হয় অনেক টাকা। ঘুষের টাকা দিয়েই তিনি হজ পালন, দান-খয়রাত, গরিবদের অর্থসাহায্য—সবই করতেন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “যে ব্যক্তি ঘুষ নেয় এবং যে ব্যক্তি ঘুষ দেয়—উভয়েই জাহান্নামী।”

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!