আজ আমরা জানবো বাংলার হাসির রাজা গোপাল ভাঁড় কিভাবে বাংলাদেশ জয় করেছিলেন! কি, শুনে অবাক হচ্ছেন তো! তবে লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।
বহু বছর আগে গোপাল ভাঁড় একজবার বাংলাদেশ তথা বঙ্গদেশ জয় করেছিলেন আর এ গল্পটি সম্পর্কে বলতে হলে শুরুতেই আরো একটি গল্প বলে নেওয়া ভালো, এতে বুঝতে সুবিধা হবে।
গোপাল ভাঁড়ের সময় একবার তৎকালীন রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সঙ্গে গোপাল অবিশ্বাস্য বাজি ধরেছিলেন যে,
নদীর ঘাট থেকে ঝাঁ-চকচকে ইলিশ খালি হাটে ঝোলাতে ঝোলাতে নিয়ে আসবে, অথচ কেউ একটি বারের জন্যেও জিজ্ঞেসও করবে না, ‘‘ভাই, কত দিয়ে কিনলে ইলিশ?’
রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কোন ভাবেই বিশ্বাস করতে পারনেন নি যে এও সম্ভব কারণ আর যাই হোক, ইলিশ বলে কথা! তা বর্তমানের নববর্ষ বরণ হোক বা নাই হোক, বাঙ্গালির সব থেকে পছন্দের মাছ বলে কথা।
তখন “তবে তাই হোক” বলে মাছ কিনতে বাজারে গেলেন গোপাল এবং খুব বেছে বেছে পদ্মার একজোড়া বিশাল ইলিশ মাছ কিনেই কোমরের ধুতি কাপড়টি খুলে মাথায় পাগড়ির মতো করে বেঁধে গোপাল রাজবাড়ির দিকে হাঁটা দিল।
এই কান্ড দেখে তো সবাই অবাক! কয়েকটা বাচ্চা হাততালি দিতে দিতে পিছু নিল, প্রতিবেশীরা হাঁ করে এই মজার কান্ডটি দেখল, মা-বৌ রা শুনে হাসিতে লুটিয়ে পড়ল কিন্তু, বাজির শর্তমতে ইলিশ মাছের দাম আর কেউ জিজ্ঞেস করল না!
নদী মাতৃক বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নদী-খাল-বিল অঞ্চলে প্রায়শই বাড়ির চারপাশ বন্যায় ভেসে যায়।
ঠিক তখন লোকেরাও গোপালের মতোই ধূতি/লুঙ্গি মাথায় জড়িয়ে পানিতে ডুবে যাওয়া এক অঞ্চল থেকে আর এক অঞ্চলে টুক টুক করে চলে যায়।
গোপাল ভাঁড় এর সেই ঘটনা টির মত সর্বজনীন প্র্যাকটিসটার নামই হয়ে গেল ‘গোপাল কাছা’। আর এভাবেই বাংলার হাসির রাজা গোপাল ভাঁড় তার অসামান্য বুদ্ধিমত্তার জোরে বাংলাদেশ জয় করেছিলেন, কাছা মাথায় দিয়ে!
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।