গোপালের উচিত কথা বলা

কুসঙ্গে-পড়ে এক বালক পিতা-মাতাকে খুন করেছিল, স্রেফ টাকা-পয়সা হস্তগত করবার জন্যে। বালকের দাদা মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সভায় সুবিচারের আর্জি পেশ করল। বিচারে তার অপরাধ যখন প্রমাণ হয়ে গেল, তখন মহারাজের এক সভাসদ উঠে বক্তৃতা শুরু করলেন ‘ধর্ম্মাবতার! অপরাধ গুরুতর বটে, তবে আমি বালকটির জন্য মহামান্য মহারাজের দয়া ভিক্ষা করছি।
কারণ, বালকটি এখন পিতৃ-মাতৃহীন অনাথ।’ … সঙ্গে সঙ্গে রাজসভার চারদিকে চাপা হাসি ও গুঞ্জন শুনে তিনি বেকুবের মত চারদিকে তাকাতে লাগলেন। কেন তিনি কি বেফাঁস কিছু বলেছেন? তখন গোপাল উঠে বলল ভেবে দেখুন, যে টাকার লোভে মা-বাবাকে হত্যা করতে পারে, সে তো পিতামাতার স্নেহের ঋণ উড়িয়ে দিয়ে তাদের পরিচয় মন থেকে আগেই মুছে ফেলেছে, তখন সে পিতৃ-মাতৃহীন অনাথ হয়েছে, বলা যায় কি করে? অতিএব, ওই পশুকে মার্জ্জনা না করাই উচিত। মহারাজ তখন বললেন গোপাল ঠিক কথাই বলেছে- এর অবশ্যই সাজা হওয়া উচিৎ।’

গোপালের বিয়ে

গোপালের অতিথি-সৎকার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *