গেছো ভূত

গত বছরের ঘটনা। আমার
জেএসসি পরীক্ষা ছিল বলে অনেক
রাত জেগে পড়তাম। সবাই
ঘুমিয়ে পড়লেও আমার ঘুমিয়ে পড়ার
উপায় নেই। ঘুম চোখে নিয়েই
পড়ছিলাম।
পড়তে পড়তে বিদ্যুৎ চলে গেল।
অনেকক্ষণ ধরে পড়ছিলাম। তাই খুব
ক্লান্ত লাগছিল বলে একটু বারান্দায়
গিয়ে দাঁড়াই। চারদিকে অন্ধকার।
আমার ভালই লাগছিল।
এভাবে কয়েক মিনিট
দাঁড়িয়ে থাকতেই বিদ্যুৎ চলে এল।
সাথে সাথেই আবার পড়তে বসি।
একমনে অনেকক্ষণ ধরেই পড়লাম। হঠাৎ
অনেক জোরে একটা শব্দে আমার
মনযোগ নষ্ট হয়ে যায়।
বারান্দার পাশে কেমন মটমট একটা শব্দ
হতে থাকে। খুব ভয় পেয়ে যাই। তবুও
সাহস
করে উঠে গিয়ে খুঁজতে থাকি কিসের
শব্দ। কোনো কিছু
খুঁজে না পেয়ে আমি আবারপড়া শুরু
করি।
কিন্তু কিছুতেই আর মন
বসাতে পারছিলাম না। শুধু ভয় করছিল।
পড়তে পড়তে মড়মড় শব্দ শুনে থেমে যাই।
ভাবি সাহস করে আবার বের হয়ে যাব
নাকি বারান্দায়। ভাবতেই গা কেমন
ছমছম করে উঠে। তারপর সাহস
করে উঠে যাই।
বাইরে গিয়েই ভয়ে আমার হাত
পা ঠাণ্ডা হয়ে যায়। আমাদের ঘরের
পাশের যে নারিকেল
গাছটা আছে সেটার গায়ে সাদামত
কি যেন একটা ঝুলছে। আমি চিৎকার
করতে গিয়ে আবার থেমে যাই।
আগে পুরোটা দেখার চেষ্টা করি।
মাথা ঠাণ্ডা করে ভালো করে তাকা
দেখি যে একটা ছেলে ডাব
নিয়ে নামছে। আমাদের গাছের ডাব
অনেক ভাল বলে বাড়ির আশপাশের
ছেলেরা প্রায়ই আমাদের গাছ
থেকে ডাব পেড়ে খায়। ছেলেটার
গাছে ওঠা আর নামার শব্দেই আমি ভয়
পেয়েছি।
বুঝতে পেরে আমার খুব হাসি পাচ্ছিল।
সেদিনই বুঝতে পারি ভূত আর জুজু
বলে কিছুই নেই। এগুলো সবই মনের ভয়।
কোন ঘটনায় ভয় না পেয়ে একটু
ঘেঁটে দেখলেই সত্যটা বোঝা যায়।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!