বনের রাজা মহাশক্তিধর বাঘ তার গলার কাঁটা অপসারণের জন্য পুঁচকে বকের শরণাপন্ন হয়েছিল। বাঘের সে বিপদের গল্প কার না জানা। বৃহদাকার দেহের মাঝে গলায় বিদ্ধ সামান্য ছোট্ট একটি কাঁটার যন্ত্রণা তাকে কাতর করে ফেলে। গল্পটিতে বকের কাছে বাঘের নমনীয়তাই প্রমাণ করে গলার কাঁটার অসহনীয় যন্ত্রণার।
মানুষও গলায় মাছের কাঁটা ফুটলে এমনই দশায় পড়ে যায়। শক্তিশালী বীরও সামান্য কাঁটার ব্যথা উপেক্ষা করতে পারে না। তার চেয়ে অধিক যন্ত্রণাদায়ক প্রতিহিংসার কাঁটা। আমাদের সমাজের গলায় আজ প্রতিহিংসার কাঁটা বিধেছে। উঠতে-বসতে, চলতে-ফিরতে সর্বক্ষণ কষ্ট দিচ্ছে। খচখচ বেদনার মারাত্মক দিকটি হলো তা থেকে পচনের ভয়।তাই যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব সে কাঁটা অপসারণের ব্যবস্থা নেয়া উচিত। সে কাজ যতো দ্রুত হবে ততোই মঙ্গল। নচেৎ পচন ধরলে অস্ত্রোপচারে যেমন বিঘœ ঘটবে তেমনই যন্ত্রণাও বৃদ্ধি পাবে উত্তরোত্তর। তাই কাঁটা অসারণে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। তবে ঠিকাদারী পর্যায়ে নয়, সোজা পথে হাঁটুন। তাতে দেশেরও মঙ্গল, জনতারও মঙ্গল।
আমাদের বোঝা উচিত, রবীন্দ্র কলা খেলেই রবীন্দ্র হওয়া যায় না বা তাকে পাওয়াও এতো সহজ নয়। সে দেশের ছায়া মারানো যে কতোটা ইতিবাচক বা নেতিবাচক তা আমরা হারে হারে টের পাচ্ছি। দুঃখের বিষয়, তাতেও আমাদের বোধোদয় নেই। তার দেশের সুনাম ও উন্নয়নের ভাগ কখনোই কাউকে দেবে না। তার প্রমাণও আজ আর অস্পষ্ট নয়। তাই আসুন আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে শিখি। আমরা কারো চেয়ে কখনোই কম নই। সে প্রমাণ আমরা বহুবার দিয়েছি। আমাদের বাঁচতে হবে, দেশকে বাঁচাতে হবে। আর কালক্ষেপণ নয়।
পুনশ্চ : গলার কাঁটা বড়ই বেহায়া। নিজে থেকে তা সহজে অপসারণ হয় না। নানা কসরতের মাধ্যমে নানা কায়দায় তা অপসারণ করতে হয়। তবে বেকায়দা বেশি হলে অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন হয়।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।