খ্যাতিমানের মজার ঘটনা – পর্ব ১

উইনস্টন চার্চিল
মেয়ে সারা যে ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন, তাকে দু চোখে দেখতে পারতেন না বাবা উইনস্টন চার্চিল। একদিন দুজনে হাঁটতে বেরিয়েছেন। এ সময় মেয়ে-জামাই প্রশ্ন করল, ‘যুদ্ধে অংশ নিয়ে প্রশংসাযোগ্য কাজ করেছেন, এমন কেউ আছেন কি?
চার্চিল প্রায় গর্জন করে করে উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ, একজন আছেন। মুসোলিনি। তিনিই একমাত্র লোক যে কিনা নিজের মেয়ে-জামাইকে গুলি করে মারার সাহস দেখিয়েছিলেন।’
চার্চিল একবার তাঁর পাশের কক্ষে অবস্থানরত এক মন্ত্রীকে উচ্চকণ্ঠে কথা বলতে শুনে বিরক্ত হয়ে তাঁর সেক্রেটারিকে পাঠালেন আস্তে কথা বলার জন্য। সেক্রেটারি ফিরে এসে বলল, ‘স্যার, উনি স্কটল্যান্ডে কথা বলছেন।’ চার্চিল বললেন, ‘আমি জানি। তাঁকে বলো টেলিফোন ব্যবহার করতে।’
চার্চিলের আশিতম জন্মদিনে এক আলোকচিত্রী ছবি তুলছিলেন। ছবি তুলতে তুলতে একসময় ভদ্রতা করে বলেন, ‘আপনার শততম জন্মদিনেও আমি ছবি তুলতে চাই।’
মৃদু হেসে চার্চিল বলেন, ‘নিশ্চয়ই তুলবে। তোমার স্বাস্থ্য তো বেশ ভালো আছে।’
গ্রুন্টার গ্রাস
বিখ্যাত ব্যবসায়ী গ্রান্ট ছিলেন খুবই চালাক। প্রিন্স অ্যালবার্টের গুরুতর অসুস্থতার খবর শুনে তিনি কী বুঝলেন, তড়িঘড়ি করে বাজার থেকে সব কালো কাপড় কিনে ফেললেন। বলাই বাহুল্য, তিন দিন পরই প্রিন্সের মৃত্যু হয়। দেশজুড়ে শোকের মাতম বইতে থাকে আর তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়। ফলে বাজারে কালো কাপড় বিক্রির ধুম পড়ে যায়। সেবার গ্রান্ট প্রায় পঁচিশ লাখ পাউন্ড ব্যবসা করেন।
গিয়ম বুদে
ফরাসি আত্মভোলা পণ্ডিত গিয়ম বুদে লাইব্রেরিতে পড়ছিলেন। এ সময় তাঁর চাকর এসে জানাল, বাসায় আগুন লেগেছে।
বই থেকে চোখ না তুলেই বুদে জানালেন, ‘তুমি তো জানো সাংসারিক ব্যাপারগুলো আমার স্ত্রীই দেখে, তাঁকে বলো।
টমাস আলভা এডিসন
টমাস আলভা অ্যাডিসনের গ্রামোফোন আবিষ্কার উপলক্ষে এক সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এক তরুণী তাঁর বক্তৃতায় অ্যাডিসনকে অযথাই আক্রমন করে বসল, ‘কী এক ঘোড়ার ডিমের যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন, সারাক্ষণ কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করতেই থাকে। আর তাই নিয়ে এত মাতামাতি! ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না…।’
তরুণী বলেই যাচ্ছে। থামার কোনো লক্ষণ নেই।
অ্যাডিসন চুপ করে শুনে গেলেন। বক্তৃতা দিতে উঠে তিনি বললেন, ‘ম্যাডাম, আপনি ভুল করছেন। আসলে সারাক্ষণ কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করার যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন ঈশ্বর। আমি যেটা আবিষ্কার করেছি সেটি ইচ্ছেমতো থামানো যায়।’
নিউটন
নিউটন তার প্রেমিকার হাতে বিয়ের আংটি পরাতে গিয়েছিলেন। প্রেমিকার আঙুল নিজের হাতে নিয়ে পকেট থেকে আংটি পরাতে যাবেন। এমন সময় তার একটা থিওরির কথা মনে পড়ে গেল। তখনই তিনি হারিয়ে গেলেন চিন্তার গভীর সাগরে। এবং সে সময়ই মাথায় চেপে বসলো চুরুটের নেশা। হাতের মাঝে বন্দী প্রেমিকার আঙুলকে তিনি ভাবলেন চুরুট। পকেট থেকে আংটির পরিবর্তে ম্যাচলাইটার বের করে প্রেমিকার আঙুলে আগুন ধরিয়ে দিলেন। প্রেমিকা আর্তচিৎকার দিয়ে কোনোক্রমে নিজের আঙুল উদ্ধার করে পালিয়ে বাচলেন।
রুডইয়ার্ড কিপলিং
ইংরেজ কবি ও ছোটগল্পকার রুডইয়ার্ড কিপলিং যে দৈনিক পত্রিকাটি রাখতেন সে পত্রিকায় একদিন ভুলবশত তাঁর মৃত্যুসংবাদ ছাপা হয়ে যায়। সংবাদটি দেখে তিনি ভীষণ রেগে যান। সঙ্গে সঙ্গে পত্রিকার সম্পাদককে লিখলেন, ‘এইমাত্র আপনার পত্রিকা পড়ে জানতে পারলাম যে আমি মারা গেছি। আপনার গ্রাহক তালিকা থেকে আমার নামটি দয়া করে বাদ দেবেন।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!