রবীন্দ্রনাথ ও চিনির রস
রবীন্দ্রনাথ রস নিয়ে কী কী লিখছেন, এই নিয়ে আমাদের গবেষনা এখনো শেষ হয়নি। আপাতত আমরা রসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান চিনি নিয়ে তিনি কী লিখেছেন , আপনাকে জানাই।
মরিস সাহেব শান্তিনিকেতনে ইংরেজি ও ফরাসি ভাষা পড়াতেন। একদিন তিনি তাঁর ছাত্র প্রমথনাথ বিশীকে(বিখ্যাত নাট্যকার) বললেন, ”গুরুদেব সুগার বা চিনি বিষয় একটা গান লিখেছেন। গানটি খুবই মিষ্টি হয়েছে। ”
প্রমথনাথ বিশী বললেন, ” সুগার নিয়ে গান লিখলে তো মিষ্টি হবেই। গানটা কী রকম একটু গেয়ে শোনান তো ! ”I would fly you to the moon and back if you’ll be . . . if you’ll be my baby.
মরিস গাইতে লাগলেন – ” আমি চিনি গো চিনি তোমারে, ওগো বিদেশিনী, তুমি থাক সিন্ধুপারে…।”
প্রমথনাথ বিশী হেসে বললেন, ” গানটাতে বেশ ক চামচ চিনি দিয়েছেন গুরুদেব। তাই একটু বেশি মিষ্টি হয়েছে। তবে এই চিনি যে সুগার, সেটা আপনাকে কে বলল ? ”
কে আবার। স্বয়ং গুরুদেব আমাকে বলেছেন, ”মরিস শোন, আমি সুগার নিয়ে একটা গান লিখেছি।”
আলেকজান্ডার ডুমার
ফরাসি লেখক আলেকজান্ডার ডুমার সাক্ষাত্কার নিচ্ছিলেন এক জাঁদরেল সাংবাদিক। তাঁর প্রথম প্রশ্ন, ‘আপনার পূর্বপুরুষ শংকর ছিলেন, এটা কি সত্যি?’ ডুমা উত্তরে বললেন, ‘হ্যাঁ।’ সাংবাদিক আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘আর আপনার পিতামহ ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ?’ ডুমা শান্তস্বরে বললেন, ‘হ্যাঁ।’ সাংবাদিক এবার বেশ জোর দিয়ে বললেন, ‘এবং আপনার প্রপিতামহ ছিলেন…।’ সাংবাদিক শেষ করার আগে ডুমাই উত্তর দিলেন, ‘বেবুন’ এবং সঙ্গে যোগ করলেন, ‘আর আপনার যেখানে শেষ সেখান থেকেই আমার পূর্বপুরুষের শুরু।’
জাঁ ককতো
ফরাসি লেখক জাঁ ককতোকে একবার স্বর্গ-নরক সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিনীতভাবে বললেন, ‘মাফ করবেন, এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না; কারণ ওই দুই জায়গাতেই আমার অনেক বন্ধুবান্ধব আছে
রসিনি
ফরাসি ভক্তরা সুরকার রসিনির একটি মূর্তি গড়ছিল। একদিন মূর্তিটি দেখানোর জন্য ভক্তরা তাঁকে নিয়ে গেল। মূর্তিটি দেখে রসিনি জানতে চাইলেন, মূর্তিটি বানাতে কত খরচ হবে?
এক শ কোটি ফ্রাঁ।
তার চেয়ে আমাকে পঞ্চাশ কোটি ফ্রাঁ দিলে আমি বাকি জীবন ওখানে দাঁড়িয়ে থাকতাম।
রুডলফ ক্রিটলিন
পশ্চিম জার্মানির বিখ্যাত রেফারি রুডলফ ক্রিটলিন সব সময় মাঠে নামতেন একটা ফিতা হাতে নিয়ে। গুরুত্বপূর্ণ সব খেলার আগে সেই ফিতা দিয়ে গোলপোস্টের দৈর্ঘ্য, উচ্চতা এবং মাঠের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ মেপে নিতেন খুব সতর্কতার সঙ্গে। অনেকের কাছে ব্যাপারটি অতি পণ্ডিতি মনে হতো। কিন্তু আসল খবর কেউ জানত না। ক্রিটলিন পেশায় ছিলেন একজন দর্জি।
স্যামুয়েল জনসন
বিখ্যাত কবি ও সমালোচক স্যামুয়েল জনসন খবর পেলেন তাঁর সময়ের একজন নামকরা রাজনৈতিক নারী কলামিস্ট লেখালেখিতে মনোযোগ কিছু কম দিয়ে ইদানীং রূপচর্চায় মেতেছেন। শুনে জনসন মন্তব্য করলেন, ‘অন্যের চরিত্রে কালিমা লেপনের চেয়ে নিজের গালে কালিমা লেপন উত্তম
সারা বার্নার্ড
ফ্রান্সের সারা বার্নার্ড এক নাটকে ভিখারিণীর চরিত্রে অভিনয় করছিলেন। ক্ষুধার্ত, অবসন্ন, অসহায় ভাব চোখমুখে এবং সমস্ত ভঙ্গিতে ফুটিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘হা ঈশ্বর! আর তো এক পাও চলতে পারছি না, তিন দিন পেটে কিছু পড়েনি। আঃ মরে গেলাম…।’
হঠাত্ দু-একজন দর্শকের কৌতুকপূর্ণ দৃষ্টি লক্ষ করে তাঁর খেয়াল হলো, আরে! হাতের সোনার বালা দুটো খুলে রাখতে ভুল হয়ে গেছে। স্পটলাইট পড়ে সেগুলো ঝিলিক মারছে।
সঙ্গে সঙ্গে বালা দুটো খুলে মনগড়া সংলাপ বললেন, ‘এই গিল্টি করা দুই পয়সার গয়নায় আমার একটা রুটিও জুটবে না।’ বলেই উইংসের এক নিরাপদ কোণে ছুড়ে দিলেন বালা জোড়া।
মার্ক টুয়েন
মার্ক টুয়েনের লাইব্রেরিখানা নাকি দেখবার মত ছিল। মেঝে থেকে ছাত পর্যন্ত বই, বই, শুধু বই। এমনকি কার্পেটের উপরও গাদা গাদা বই স্তূপীকৃত হয়ে পড়ে থাকত—পা ফেলা ভার। এক বন্ধু তাই মার্ক টুয়েনকে বললেন, ‘বইগুলো নষ্ট হচ্ছে; গোটাকয়েক শেল্ফ যোগাড় করছ না কেন?’
মার্ক টুয়েন খানিকক্ষণ মাথা নিচু করে ঘাড় চুলকে বললেন, ‘ভাই, বলেছ ঠিকই—কিন্তু লাইব্রেরিটা যে কায়দায় গড়ে তুলেছি, শেলফ তো আর সে কায়দায় যোগাড় করতে পারি নে। শেলফ তো আর বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে ধার চাওয়া যায় না।’ শুধু মার্ক টুয়েনই না, দুনিয়ার অধিকাংশ লোকই লাইব্রেরি গড়ে তোলে কিছু বই কিনে, আর কিছু বই বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে ধার করে ফেরত্ না দিয়ে।
রহস্যময় রুম নম্বর ৪২৮ !
অহিও ইউনিভার্সিটিতে যতগুলো রুম
আছে সব রুম উন্মক্ত থাকলেও
একটি রুম
সবসময় বন্ধ এবং এতে প্রবেশ
নিষেধ!!!
এই রুমটি বন্ধ করে রাখা হয়েছ
কারন
রুমটিতে বিভিন্ন ধরনের
অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে থাকে।
কোন কারণ ছাড়াই এই
রুমটিতে বিভিন্ন বস্তু উড়ন্ত
অবস্থায়
দেখা গিয়েছে তাছাড়া বিভিন্ন
সময়
স্বয়ং দরজা লেগে যাওয়া এবং নানা ধরণের
ছায়ামূর্তি হঠাত করে লক্ষ
করা যায়
এবং তা স্বয়ং অদৃশ্য হয়ে যায় । এই
রুমটির সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হল
এর
দরজায় হঠাত করে দ্বৈত্যর মত
চেহারা ভেসে ঊঠে।
এই রুমটির দরজাগুলো অনেক বার
পরিবর্তন করা হয়েছে কিন্তু কোন
সমাধান পাওয়া যায় নি । দৈত্যের
আকার চেহারা গুলো বার বার
দরজায়
ভেসে উঠত। রুমটির ঘটনাগুলো অনেক
ক্রিয়াশীল এবং বলা হয়ে ধাকে এই
রুমটিতে একজন ছাত্র
আত্মহত্যা করে ছিল । কিন্তু রহস্যর
কোন
কূলকিনারা কেও করতে পারিনি।
তাই রুমটিকে সিল করে দেয়া হয়।
অগ্নিচক্ষু
ঘটনাটি ২০০৪ সালের। তখনকার ঈদের ছুটি কাটাতে আমি আমার ফ্যামিলি সহ
নানুর বাড়িতে বেড়াতে যাই। জায়গাটি নেত্রকোনার কলমাকান্দায়।তো ঈদের
দিন মামার সাথে সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরছিলাম। রাত আনুমানিক ১১:৩০।
মামার নোকিয়া ক্লাসিক ১১০০ সেট এর টর্চ দিয়ে আমরা বাড়ি ফিরছিলাম।
তো হঠাৎ মামার মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে গেল।
এখানে বলে রাখছি, যে আমারদের বাড়িতে যেতে হলে বিশাল একটা মাঠ পার
হয়ে যেতে হয়। মাঠের পাশেই বিশাল খাল। তো রাস্তা দিয়ে যেতে হলে মাঠ
ঘুরে যেতে হয়। মানে দ্বিগুণ খাটুনি। তাই মামাকে বল্লাম মাঠের মাঝখান দিয়েই
যেতে।
আমরা ভয়ে ভয়ে মাঠটি পার হতে লাগলাম। মাঠের কোনায় ছিল
একটি পরিত্যাক্ত কুঁড়েঘর। কথিত আছে ২০বছর আগে ওই
ঘরে স্বামীস্ত্রী একসাথে খুন হয়েছিল। এবং মাঝে মাঝে ওই ঘর
থেকে আলো দেখা যেত। যদিও ওই ঘরে কারেন্ট এর ব্যবস্থা ছিল না!
আমরা প্রায় মাঠের শেষের দিকে আসছিলাম। আর সেখানেই রয়েছে বড় বড়
সুপারী গাছ। হঠাৎ আমি দেখলাম যে মাঝখানের গাছের আঁগায় একটি মেছের
কাঠির জ্বালিয়ে কেউ যদি উপুর করে ধরে রাখে তাহলে যেমন শেপ ধারণ
করে সেই রকম ভাবে আগুন জ্বলছে। তো আমি ভাবলাম কি না কি হয়েছে।
মামাকে বললাম যে, মামা দেখ ত ওটা কি।
মামা বুঝেছিল যে আসলে ওটা কি। তবুও আমি ভয় পাব বলে আমাকে বললেন
যে ওটা আসলে আগুনই। যাতে সুপারি চুরি না হয়ে যায় তাই ওইরকম করা হয়েছে।
ঠিক মিনিট কয়েক পর কোথা থেকে যেন একটি ঘোমটা পড়া মেয়ে এসে আমাদের
সামনের গাছের নিচে বসে বসে কাঁদতে লাগল। আমাদের এই
অবস্থা দেখে মেয়েটার প্রতি খুবই মায়া লাগল। তো মামা আর আমি মেয়েটার
কাছে যেতে লাগলাম।
আমি তখন মামার কোলে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে মেয়েটার যতই
কাছে যাচ্ছি মেয়েটি ততই দূরে যাচ্ছে। মানে আমাদের মাঝখানের দূরত্ব আর
কমে না। যেতে যেতে আমরা প্রায় ওই কুড়েঁ ঘরের কাছে এসে পড়লাম। আর
মেয়েটি ঘরের ভেতরে গিয়ে মিলিয়ে গেল আর বিদ্যুৎ এর বিজলীর মত
আলো জ্বলতে লাগলো। আমাদের আর বুঝতে বাকী রইল না যে আমাদের
সাথে কি ঘটতেছে।
আমাকে কোলে নিয়েই মামা এমন জোড়ে দৌড় দিলেন যে বলার মত না।
প্রায় ১৫-২০মিনিট দৌড়ানোর পর আমরা নানার বাড়িতে এসে পড়লাম।
নানা আমাদের খোঁজে বেড়িয়েছিলেন। তো নানা দেখলেন যে মামার গাঁ গরম
করে জ্বর আসছে। তারপর আর কি।
নানা-নানীকে সব কিছু আমিই খুলে বললাম। অতপর মামাকে লবণ মেশানো গরম
পানি দিয়ে গোসল করিয়ে কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করিয়ে ভাল করে তুলল।
গত সপ্তাহেও মামাকে দেখে এলাম। তিনি কেমন জানি চুপচাপ হয়ে আছেন এই
কতগুলো বছর। আগে সবসময় হাসিখুশি থাকতেন।
আমার কাছে এই ঘটনাটির কোন ব্যাখ্যা নেই। আপনাদের কাছে কি আছে।?????
( আসলে সেই গাছের উপরে আগুন সেটি হল সুপাড়ি গাছে শীতকালে মিথেন
গ্যাস এর সৃষ্টি হয়। এবং গ্যাসটি কাবর্ন ডাই এর সহায়তায় আগুন
জ্বালাতে সাহায্য করে। )
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।