খুনের আগে খুন –সপ্তম অংশ

 

অশোকের সঙ্গে আরেকবার দেখা হল দু-দিন বাদে। আমার বাড়িতে এসে একটা গিফ্ট-প্যাক করা বাক্স দিয়ে বলল, ও রাতের ফ্লাইটে চলে যাচ্ছে, ১১ ই অগস্ট অনিতামাসির জন্মদিন, সেদিন যেন এই বাক্সটা ওর হয়ে অনিতামাসির হাতে দিই।
“কি আছে বাক্সে? “
“তিনটে স্পেস ব্যাগ।“
“তুমি আর মিস্টার রায় কি প্রতিযোগিতা করছ নাকি ? “ আমি একটু ঠাট্টার সুরেই বললাম।
ও হাসল।

অশোক চলে গেল মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার অনিতামাসির ফোন । গীতার শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। উনি একটু উদ্বিগ্ন। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ভালো কোনও ডাক্তারকে আমি চিনি কিনা।
আমার অগতির গতি ডক্টর দত্ত। আমাকে ছেলেবেলা থেকে চেনেন। এখন আর ভালো চোখে দেখেন না, কানেও কম শোনেন। তবে প্র্যাকটিস এখনও ছাড়েন নি। ভাগ্যক্রমে আমার শরীরটা মোটামুটি ভালো। তাই বড় রকমের কোনও অসুখ করে নি। একটু আধটু জ্বর-টর হলে ফোন করি।
ফোনেই জিজ্ঞেস করেন, কি হয়েছে। উপসর্গগুলো পুরোটা বলার চেষ্টা করি, মনে হয় না শুনতে পান বলে। কারণ আমার কথার মাঝখানেই বলেন, “বুঝেছি বুঝেছি, কিচ্ছু হয় নি তোর।“ বলে একটা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দেন।
তাঁকে কোনওমতেই অ্যান্টিবায়োটিক করা যায় না। আমি বললাম, “দেখি, একটু খোঁজ করে আপনাকে জানাচ্ছি।“
অনিতামাসি বললেন, অশোকের চেনা-জানা একজন ভালো ডাক্তার ছিল, পিয়ারলেস-এ বসেন। কিন্তু নামটা ওঁর মনে পড়ছে না। আর অজিতবাবুকেও ফোনে ধরা যাচ্ছে না।

এর পর নানান কাজে অনিতামাসিকে ফোন করা হয় নি। আর কয়েকদিন বাদে ১১-ই অগাস্ট অনিতামাসির বাড়িতে সারপ্রাইজ দিতে যাবো। অশোকের গিফ্টাতো আছেই; আমিও একটা গিফ্ট কিনেছি। প্রমথ কি কিনেছে জানি না, কিন্তু একেনবাবু কি কিনবেন তা নিয়ে টেনশনে আছেন। মাঝেমাঝেই আমাকে ফোন করে পরামর্শ চাইছেন। তাই ৯-ই অগাস্টের শনিবার সকালে একেনবাবুর ফোনটা যখন এলো, তখন ভেবেছিলাম সেই কারণেই। তারপর জানলাম অনিতামাসি কোনও একটা জরুরী ব্যাপারে আমাদের ডেকেছেন।

গল্পের অষ্টম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!