খুনের আগে খুন– পঞ্চম অংশ

 

আগে অনিতামাসির এপার্টমেণ্টের বর্ণনা দিই নি। বাড়িটা বিশাল ডুপ্লে – আটতলা আর ন-তলা মিলিয়ে। একা মানুষ অতবড় এপার্টমেন্ট কেন কিনেছেন – কে জানে। পাঁচটা বেডরুম, একটা ডাইনিং রুম, বিশাল লিভিংরুম, চারটে বাথরুম। বাড়িটা খুব সুন্দর করে সাজানো। এর আগের দিন গল্প করতে করতে বাড়িটা ভালো করে দেখার সুযোগ পাই নি। পুরো সময়টাই কেটেছিল খাবার টেবিলে বসে। এবার বাইরের ঘরে বসে দেখলাম, ঘরটা সত্যিই বেশ বড়। একদিকে সোফাসেট, যেখানে আমরা বসেছি। অন্যদিকে একটা কাচের সেকশন-আলমারি – জানলাটা বাদ দিয়ে পুরো দেয়ালটা জুড়ে রয়েছে। অন্যদিকের দুই দেয়ালে বড় বড় দুটো ছবি। একটা ছবি বেশ অদ্ভুত। ছোপ ছোপ রঙ দিয়ে আঁকা ছবিটা দেখলে মনে হয় সবুজ বনের মধ্যে একটা হলুদ প্রজাপতি উড়ছে। কিন্তু একটু ভালো করে তাকালে প্রজাপতিটা হারিয়ে যায়; শুধু ছোপ ছোপ রঙই চোখে পরে।
আমি সেটার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি দেখে অনিতামাসি বললেন, “কেমন লাগছে ছবিটা?“
“বেশ অদ্ভুত।“
“ওটা যে এঁকেছে, সে এখন ব্রহ্মচারী। আমার কাছে মাঝেমাঝে আসে। আমি ছবি ভালোবাসি জেনে ওর পুরনো একটা ছবি উপহার দিয়েছে।“
“এরকম একজন আর্টিস্ট, ছবি আঁকা ছেড়ে হঠাৎ সন্ন্যাসী হয়ে গেলেন! ভেরি স্ট্রেঞ্জ! “ একেনবাবু বলে উঠলেন।
অনিতামাসি হাসলেন, “আমিও তো তাই বলি।“
মাসির কথা শেষ হতে না হতেই একটা ফোন। মাসিমা ফোনটা ধরে কাকে জানি বললেন, “ হ্যাঁ, পাঠিয়ে দিন।“
তারপর আমাদের বললেন, “যার কথা হচ্ছিল, সেই এসে উপস্থিত হয়েছে।“
“তোমাদের সিকিউরিটিটা বেশ ভালো ,” প্রমথ বলল। “আমাদেরও গেটে আটকেছিল। আগেরবার বুঝি নি, অশোক সঙ্গে ছিল বলে কেউ বাধা দেয় নি। এবার বাপি তোমার পরিচয় দিয়ে মাতব্বরি করে গাড়ি ঢোকাবার চেষ্টা করছিল। কিন্তু তোমার সঙ্গে কথা না বলা পর্যন্ত গাড়ি আটকে রাখল।“
“না, সিকিউরিটি এখানে বেশ ভালো,” অনিতামাসি বললেন।
“কাজের লোক, ড্রাইভার – এদেরও কি ফোন করে ঢুকতে হয়? “
“না এদের জন্য ছবি লাগানো আইডেন্টিটি কার্ড করিয়ে দিতে হয়।“
“গুড অ্যারেঞ্জমেন্ট,” একেনবাবু বললেন।
“ হ্যাঁ, সিকিউরিটিটা আছে বলে এখানে নিশ্চিন্ত হয়ে থাকা যায়। সল্ট লেকে আমার ছোটবোন থাকে, তার বাড়িতেতো এক বছরের মধ্যে দুবার চুরি হল।“
“তবে কোনও কিছুই ফুলপ্রুফ নয় ,” প্রমথ বলল।
একেনবাবুর চোখ দেখলাম সামনের আলমারির দিকে। বললেন, “আলমারি-টালমারিগুলো তালা দিয়ে রাখবেন, স্যার, মানে মাসিমা। কত সুন্দর সুন্দর জিনিস আপনার আলমারিতে।“
“কিরকম গোয়েন্দা মশাই, আপনি। চোর যদি ঢোকে তাহলে এই কাচে আলমারি ভাঙতে কতক্ষণ! “
“চোর না ঢুকলেও তো চুরি হতে পারে ,” আমি বললাম।
অনিতামাসি বললেন, “আমার বাড়িতে আর কেই বা আসে; থাকার মধ্যেতো শুধু আমি আর গীতা।“
“কেন অন্যরাওতো কাজটাজের জন্য আসে। মিস্তিরিরা, আপনার ড্রাইভার, পার্ট-টাইম আরেকটা যে মেয়ে কাজ করে – সে? “ আগেরদিন অনিতামাসির সংসারের প্রায় সব খবরই জেনে গেছি।
অনিতামাসি হাসলেন, “আরে আমার কি-ই বা এমন আছে যে এতো ভাববো।“
“একেবারে কিছু নেই বলছো কেন ,” প্রমথ কাচের আলমারিতে সাজানো ক্রিস্টালের কতগুলো ছোট ছোট মূর্তি দেখিয়ে বলল, “ঐ ক্রিস্টালগুলো সোয়ারোভ্স্কি-র না? ওগুলোর এক একটার তো কয়েকশো ডলার করে দাম। সহজেই পকেটে করে নিয়ে যাওয়া যায়। যায় না? “
আমি প্রমথর অবসার্ভেশন পাওয়ার দেখে মু±ধ হলাম। আমারও ওগুলো চোখে পড়েছিল বটে, কিন্তু ওগুলো যে আসল ক্রিস্টাল আর সোয়ারোভ্স্কি-র সেটা আমি বুঝি নি। একেনবাবু এতক্ষণ দূর থেকে দেখছিলেন, “উনি এবার সোফা থেকে উঠে পড়লেন ওগুলো দেখার জন্য।“
মাসিমা প্রমথর প্রশ্নের উত্তরে বললেন, “তা যায়। ওগুলো যে, কেন বয়ে বেড়াচ্ছি কে জানে। তোর মেশো শখ করে কিনেছিলো। যখন বাড়ি ছাড়লো, তখন রাগ করেই ওগুলো ওকে নিয়ে যেতে দিই নি । এখন ওগুলো থাকা না থাকা – একই।“
একেনবাবু আলমারির সামনে দাঁড়িয়েই জিজ্ঞেস করলেন, “কত দাম এগুলোর ম্যাডাম? “
অনিতামাসি গম্ভীর হয়ে বললেন, “ম্যাডাম বললে তো উত্তর পাবে না।“
“সরি, মাসিমা।“
“আমার কোনও ধারণাই নেই একেন। একটাই দামি ক্রিস্টাল ছিল – নীল রঙের একটা মাছরাঙা পাখি। ওটা প্রায় এক হাজার ডলার দিয়ে কিনেছিল মণ্টু। সেটা আসার পথে চুরি গেল। যেগুলো আছে, সেগুলো মনে হয় না খুব একটা দামি বলে।“
“ইউ আর রং, মাসি। এর প্রত্যেকটা অন্তত: ৫০ বা ১০০ ডলার করে দাম,” প্রমথ খুব কনফিডেণ্টলি বলল।
“হবে হয়তো।“ বোঝাই যায়, দামের জন্য মাসি জিনিসগুলো রাখেন নি, রেখেছেন সেন্টিমেন্টাল কারণে।“
একেনবাবু হঠাৎ জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি কি পুতুল কালেক্ট করেন মাসিমা? “
ক্রিস্টালগুলোর ওপরের তাকে লাল-নীল-গোলাপি নানান ড্রেস পরা অনেকগুলো বার্বিডল সাজানো, কয়েকটা আবার বাক্স-শুদ্ধু। এছাড়া দুয়েকটা চীনেমাটির পুতুলও আছে।
কথাটা শোনামাত্র মাসির মুখটা কালো হয়ে গেল। একটু চুপ করে বললেন, “ওগুলো মৌ প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতো। দোকানে গেলেই পুতুল কিনতে চাইতো – বিশেষ করে বার্বিডল। নিজেও ওর বাবার সঙ্গে বেড়িয়ে গ্যারাজ সেল থেকে কত কিনেছে।“
এইভাবে মৌয়ের প্রসঙ্গ আসায় আমাদের সবারই খুব খারাপ লাগছিলো। মৌ অনিতামাসির মেয়ে, যার মৃত্যুর কথা আগেই লিখেছি। প্রমথতো কটমট করে একেনবাবুর দিকে তাকাল- একেনবাবু কি করে ভাবতে পারলেন, অনিতামাসি সখ করে পুতুল কালেক্ট করেন ! বেচারা একেনবাবু !
কয়েক মুহূর্ত আমরা সবাই চুপ করে রইলাম। এই ফাঁকে বলে দিই, গ্যারাজ সেল কথাটা হয়তো অনেকে না শুনে থাকতে পারেন। আমিও আমেরিকাতে প্রথম কথাটা শুনেছিলাম। ওদেশে লোকেরা বাড়ির পুরনো জিনিস বিক্রি করতে চাইলে সেগুলো গ্যারাজে বা বাড়ির লন-এ সাজিয়ে রাখে। লোকেরা যেতে যেতে থেমে কিছু পছন্দ হলে কিনে নেয়। ছোটদের খেলনা থেকে শুরু করে সোফা স্টিরিও অনেক কিছুই এইভাবে গ্যারাজ সেল-এ লোকে কেনে। মাঝে মাঝে দুর্দান্ত দাঁও পাওয়া যায়। আমি যখন নিউ ইয়র্কে ছিলাম একটা চমৎকার বাইনোকুলার কিনেছিল মাত্র পাঁচ ডলার দিয়ে।

এই অস্বোয়াস্তিকর অবস্থাটা কি কথা দিয়ে কাটিয়ে উঠবো ভাবছি, এমন সময়ে ডোরবেল বাজলো। গীতাই তাড়াতাড়ি গিয়ে দরজা খুলল।
যে ভদ্রলোক শুভ্র পোষাকে ঘরে ঢুকলেন, বুঝলাম তিনিই হচ্ছেন আর্টিস্ট-কাম-ব্রহ্মচারী।
“কেমন আছো ? “ গীতাকে জিজ্ঞেস করলেন ভদ্রলোক।
“ভালো ,” বলে গীতা চকিতে রান্না ঘরে চলে গেলো। হয়তো আমার চোখের ভুল, কিন্তু মনে হল গীতা ওঁকে দেখে একটু জানি লজ্জা পেলো।
“তোমার কথা হচ্ছিল সত্য ,” বলে অনিতামাসি ব্রহ্মচারী ভদ্রলোকটিকে আহবান জানালেন।
ব্রহ্মচারীটির বয়স তিরিশের কোঠায়। ছফুট না হলেও, বাঙালীর তুলনায় বেশ লম্বা। রঙটা একটু ফর্সার দিকে; চোখদুটো উজ্জ্বল, মুখটা বুদ্ধিদীপ্ত। সব মিলিয়ে বেশ সুন্দর সুঠাম চেহারা।
আমি ভাবছিলাম সত্য নাম নিয়ে নিশ্চয় উনি জন্মান নি। ছবিটার নীচের কোনে ছোট্ট করে ইংরেজিতে দুটো অক্ষর লেখা ছিল বি.আর। হয়তো নাম ছিল বিজন রায় বা ব্যানার্জী রঞ্জন।
“মহারাজ, আপনার জন্য এই দুটি বই পাঠিয়ে দিলেন ,” বলে ব্রহ্মচারী অনিতামাসির হাতে দুটো বই দিলেন।
“বোসো, বোসো, কেমন আছেন মহারাজ? “
“ভালো আছেন। একদিন আসতে বললেন মঠে।“
“ হ্যাঁ যাবো, আসলে ব্যথায় একটু কাবু হয়ে আছি। ভালো কথা, এই হচ্ছে ছবিটির আর্টিস্ট। কিন্তু এখন ও ব্রহ্মচারী সত্যানন্দ। আর এ হল আমার বোনপো প্রমথ; অন্য দুজন প্রমথর বন্ধì বাপি আর একেন। ছ ‘সাত বছর আমেরিকাতে কাটিয়ে এখন সব ঘরে ফিরেছে।“
“বাঃ, খুব ভালো ,” সত্যানন্দ হাসলেন।
“আপনার স্যার, এতো প্রতিভা, কিন্তু সব ছেড়ে দিলেন? “
ভেবেছিলাম মৌ-প্রসঙ্গের পর একেনবাবু একটু চুপ করে থাকবেন। কিন্তু কোথায় কি!
“প্রতিভা ? “ সত্যানন্দ একটু অবাক হয়ে প্রশ্নটা করলেন।
“ঐ ছবিটা স্যার, প্রজাপতিটা একটু দেখছি, আবার পাতার মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে! দুর্দান্ত ক্রিয়েশন!“
সত্যানন্দ হাসলেন। “রঙ নিয়ে এক সময়ে খেলা করতে ভালো লাগতো।“
“এটাকে খেলা বলেন স্যার ! আমিতো মুগ্ধ। ট্রুলি অ্যামেজিং স্যার, ট্রুলি অ্যামেজিং।“ মাথা নাড়তে লাগলেন একেনবাবু।
সত্যানন্দ ব্রহ্মচারী একেনবাবুকে চেনেন না, তাই একটু হতবাক তাকিয়ে রইলেন।

আমরা যখন গল্প করছি, তখন খাবার ঘরে গীতা আমাদের জন্য প্লেট আর গেলাস সাজাচ্ছে। চকিতের জন্য বসার ঘরে আমাদের সবার দিকে তাকিয়ে গীতা বলল, “মা, পাঁচটা জায়গা করি?“
“হ্যাঁzা, কর।“
“না, মা, আমায় যেতে হবে। আরেকটা কাজ দিয়েছেন মহারাজ, সেটা সেরে একেবারে আশ্রমে গিয়ে খাবো।“
“আপনার জন্য নিরামিষ রান্না আছে ,” গীতা বলল।
“না, আমি চলি,” বলে সত্যানন্দ উঠে পড়লেন।
গীতা রান্না ঘরে যেতেই অনিতামাসি বললেন, “ভারি লক্ষ্মী মেয়েটা, সবদিকে নজর। এখন একটা ভালো পাত্র পেলে ওর বিয়েটা দিয়ে নিশ্চিন্ত হই।“
বুঝলাম মৌয়ের স্থান গীতা মেয়েটি কিছুটা বোধহয় পূরণ করেছে।
“আমি এবার সত্যি চলি ,” বলে সত্যানন্দ বিদায় নিলেন।

গীতা বেশ ভালো রাঁধে। ডাল, পাঁচমিশালি তরকারি, ধোকা , পাবদা মাছের ঝোল আর ডিমের ডালনা। খুঁতখুঁতে প্রমথও দেখলাম বেশ চেটেপুটে খেলো।
খেতে খেতে নানান গল্প হল। একা একা থাকেন, তাই শ্রোতা পেয়ে অনিতামাসি অনেক কথা বললেন। জানলাম, উনি আর আজকাল কম্পাউণ্ডের বাইরে খুব কমই যান। সপ্তাহে একদিন বোনের কাছে যান সল্ট লেকে। মহারাজের আশ্রমে মাঝেমধ্যে যান। সেটা নরেন্দ্রপুর ছাড়িয়ে – রাস্তাটা খুব ভালো নয়; তাই ইচ্ছে থাকলেও বেশি যাওয়া হয় না। রামকৃষ্ণ কালচারাল সোসাইটিতেও আগে নিয়মিত যেতেন, এখন কদাচিৎ যান। বাজার করা ছেড়ে দিয়েছেন। যা করার ঐ গীতাই করে। গীতা মুকুন্দপুরে থাকে, আসার সময়ে সেখানকার বাজার থেকে তরিতরকারি কিনে আনে। বেশি কিছু কেনার হলে ড্রাইভার বিশ্বনাথ গাড়ি করে গীতাকে নিয়ে যায় বাজারে। ইত্যাদি, ইত্যাদি।
“রাত্রে একা একাই থাকেন ম্যাডাম? “
“আবার ম্যাডাম? বেশতো মাসি বলা শুরু করেছিলে।“ অনিতামাসি একটা ধমক দিলেন।
“কি করবো মাসি, ব® গুলিয়ে যায়। আসলে স্যারদেরও ‘স্যার‘ বলিতো।“ আমাদের দেখিয়ে বললেন একেনবাবু।
“আমরা আপত্তি জানালেও শোনেন না, তাই হাল ছেড়ে দিয়েছি,” আমি বললাম।
“নিজের পরিবারকেও উনি ম্যাডাম ডাকেন,” প্রমথ গম্ভীর ভাবে বলল।
“পরিবার? “ অনিতামাসি বিস্মিত হয়ে বললেন।
“মানে ওঁর স্ত্রীকে।“
“সত্যি? “
“কী যে বলেন মাসিমা ,” একেনবাবু এবার লজ্জা পেলেন।
অনিতামাসি প্রমথকে সস্নেহ ধমক দিয়ে বললেন, “তোরা ওকে ব® জ্বালাস।“
“বেশ আর জ্বালাবো না ,” প্রমথ বলল, “কিন্তু তোমার এখন একা একা থাকা উচিত নয়। রাতে শরীর-টরির যদি খারাপ হয়।“
“শরীর খারাপ হলে সেদিন গীতা আমার সঙ্গে থাকে। তাছাড়া তোরাতো আসিস। দরকার হলে ফোন করবো।“

গল্পের ষষ্ঠ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!