একদিন এক যুবক এক আলিমের কাছে আসল। এসে বলল—
“হুজুর, আমি তো এক তরুণ যুবক। কিন্তু সমস্যা হলো—আমার মাঝে প্রবল খায়েশ কাজ করে। আমি যখন রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করি, তখন আমি মেয়েদের দিকে না তাকিয়ে পারি না। আমি এখন কী করতে পারি?”
তখন ঐ আলিম কিছুক্ষণ চিন্তা করলেন। চিন্তা করার পর তিনি যুবকটিকে দুধভর্তি একটি গ্লাস দিলেন, যার পুরোটা দুধে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল।
আলিম তাকে বললেন—
“আমি তোমাকে বাজারের একটি ঠিকানা দিচ্ছি। তুমি এই দুধটি সোজা সেখানে পৌঁছে দিয়ে আসবে। তবে গ্লাস থেকে এক ফোঁটা দুধও যেন না পড়ে!”
যুবকটি বলল—
“তা কখনো হবে না হুজুর।”
এরপর আলিম তার এক ছাত্রকে ডেকে নির্দেশ দিলেন—
“তুমি তার সঙ্গে বাজারে যাবে। আর যদি যাওয়ার সময় গ্লাস থেকে এক ফোঁটা দুধও পড়ে—তবে তাকে তুমি চরমভাবে পিটাতে থাকবে।”
যুবকটি অত্যন্ত সাবধানে দুধটি বাজারে পৌঁছে দিল। তারপর সে দৌড়ে আলিমের কাছে ফিরে এসে খবর দিল।
হুজুর জিজ্ঞেস করলেন—
“তুমি যাওয়ার সময় কয়টি মেয়ের মুখ দেখেছ?”
যুবকটি বিস্ময়ে বলল—
“হুজুর, আমি তো বুঝতেই পারিনি আমার চারপাশে কী চলছিল! আমি শুধু এই ভয়েই তটস্থ ছিলাম—যদি দুধ ফেলে দিই, তবে রাস্তায় সবার সামনে আমাকে মার ও অপমান সহ্য করতে হবে!”
হুজুর হাসলেন এবং বললেন—
“মুমিনরা ঠিক এভাবেই আল্লাহকে ভয় করে। সে চিন্তা করে—যদি আল্লাহর উপর তার ঈমান ও বিশ্বাস এই দুধের মতো ছিটকে পড়ে যায়, তবে আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিনে সমগ্র সৃষ্টির সামনে তাকে অপমানিত করবেন।
এভাবেই বিচার দিবসের চিন্তা একজন মুমিনকে গুনাহ করা থেকে বাঁচিয়ে রাখে।”
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।