কয়েকটি বিশেষ ধরনের বেদআত

হযরত মাওলানা মুহেব্বুদ্দিন ছিলেন হাজী এমদাদুল্লাহ মক্কী (রহঃ)-এর খলীফা। তিনি কাশফওয়ালা বুযুর্গ ব্যক্তি ছিলেন। একদিন তিনি ভাবলেন, হাদীস শরীফে সে দুই রাকাত নামাজের ফল বড় ফজিলত আছে যা পরিপূর্ণ ওযূ সহ পড়া হয় এবং মনে কোন আলাপের সৃষ্টি হয় না। হায় আফসোস! আমার সারা জীবনে এ রকম দুরাকাত নামায নছীব হলো না। দেখি চেষ্টা করি।

এ বলে তিনি দুরাকাত নামাজ পড়লেন। নামাযের মধ্যে একাগ্রতা জন্যে দু চোখ বন্ধ করে রাখবেন। ফলে কামিয়াবীর সাথে নামায শেষ হলো। তিনি ভাবলেন, দেখি মেছালী জগতে এ নামায কী রূপ ধারণ করেছে। তিনি মোরাকাবা করলেন।

মোরকাবায় বসে দেখেন পরমা সুন্দরী এক বেহেশতী নারী মাথা থেকে পা পর্যন্ত পরিপাটি করে সাজানো। চোখ দুটিও অপূর্ব সুন্দর। মুগ্ধ নয়নে তিনি চেয়ে রইলেন। কিন্তু হায়! নারীর চোখে দৃষ্টি নেই। পরমা সুন্দরী এ নারীর চোখ কেন অন্ধ? এ কথা চিন্তা করতে করতে তিনি হাজী এমদাদুল্লাহ মক্কী সাহেবের স্মরণাপন্ন হলেন।

হাজী এমদাদুল্লাহ মক্কী (রহঃ) সাহেব বললেন, মনে হয় আপনি চোখ বন্ধ রেখে নামায পড়েছেন। চোখ খোলা রেখে নামায পড়া সুন্নত। নামাযে অবাঞ্ছিত চিন্তার উদ্রেক হওয়ার জন্যে পাকড়াও করা হবে না। পাকড়াও করা হয় সুন্নতের খেলাফ কাজ করার কারণে।

সুন্নতের জায়গায় অন্য কিছুকে গুরুত্ব দেওয়া এবং সওয়াবের কাজ মনে করা বেদআত। সুন্নতের কোন বিকল্প হয় না। যদি হয় তবে সেটা বেদআত।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।