ক্রিপচার — তারমিন সুলতানা লিমা

এক.

সাল ৩০৩১। জানুয়ারি।
স্থান- GRC ( জেনেটিক্যাল রিসার্চিং সেন্টার)। প্রধান বিজ্ঞানী ড.জন ব্রায়েনের রুম।

ড. জন ব্রায়েন ও ড. ডেভিড পল মুখোমুখি বসে আছেন। দুজনই নিশ্চুপ। ব্রায়েনের রুমটা বেশ বড়। সে তুলনায় আসবাবপত্র কম। একটা কাঁচের টেবিল,তিনটে চেয়ার, থ্রি ডি কম্পিউটার আর একটা বিশাল সেলফ। সেলফে নানা রকমের যন্ত্রপাতি রাখা। ড. পল ঘাড় ঘুড়িয়ে সে সব যন্ত্রপাতি দেখছেন।
ড. পলকে খুবই জরুরি কথা বলার জন্য ডাকা হয়েছে। গত কাল রাতে ড. ব্রায়েন তাকে বার্তা পাঠিয়ে বলেছেন – “Very urgent meeting. Come sharp and alone.” ব্রায়েন দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রহরী রোবটদের আগেই বলে রেখেছেন ড. পলের সাথে মিটিংয়ের সময় যেন অন্য কাউকে প্রবেশ দেয়া না হয় । ড. পল ধৈর্য ধরে জরুরী কথা শোনার জন্য অপেক্ষা করছেন।
ড. ব্রায়েন উঠে গিয়ে সেলফ থেকে একটা কাঁচের টেস্ট টিউব এনে টেবিলে রেখে বললেন , “ এটা দেখুন ড. পল।”
ড. পল টেস্ট টিউব হাতে নিলেন। ডিএনএ’র মত দেখতে কিছু একটা এটার ভিতরে নড়ছে।
ড. পল বললেন, “এটা কি স্যার?”
ড. ব্রায়েন কম্পিউটার অন করতে করতে বললেন, “ এটা নতুন ভাইরাস। নাম-‘স্ক্রচার’। এটা পৃথিবীর উত্তর ভাগটা প্রায় শেষ করে দিয়েছে।”
কথাটা শুনে ড. পল ভ্রু কুচকালেন। ব্রায়েনের দিকে তাকিয়ে বললেন, “ একটা ভাইরাস পৃথিবীর একাংশ প্রায় শেষ করে দিয়েছে অথচ আমরা তা এখন শুনছি?? এটা কিভাবে সম্ভব? আমি জানি, আমাদের সেন্টার পৃথিবী সব চেয়ে বড় সায়েন্স সেন্টার।”
ড. ব্রায়েন বললেন, “ সম্ভব ড. পল। কেননা এটা এত বড় এলাকায় ছড়িয়ে পরতে সময় নিয়েছে ১২ ঘন্টারও কম। বুঝতেই পারছেন কত শক্তিশালী এই ভাইরাস। আমি এটা হাতে পেয়েছি ৭ ঘন্টা আগে।”
ড. পল বললেন, “ আমি আপনার কথা পুরোপুরি বুঝতে পারছি না। একটু খুলে বলবেন কি?”
“অবশ্যই বলব,” ড. ব্রায়েন কীবোর্ডে বাটন টিপে বললেন, “আগে এইগুলো দেখুন।”
ড. পল কম্পিউটার স্ক্রিনে তাকালেন। ভাইরাসটার বড় ছবি এবং একটা চতুষ্পদ জন্তু ছবি পর্দায় ভাসছে।
ড. ব্রায়েন বললেন, “ এখনো আমরা জানি না কিভাবে এই ভাইরাসটার জন্ম হল। এই ভাইরাস কোনো মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে। মুহূর্তেই মানুষের DNA’র স্ট্রাকচার পরিবর্তন করে দিচ্ছে। মানুষ রূপ নিচ্ছে এই চার পেয়ে জন্তুতে।”
কথাটা শুনে ড. পল আঁতকে উঠলেন । অবিশ্বাস ও কৌতুহল নিয়ে ড ব্রায়েনের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
ব্রায়েন বলে চলেছেন, “ এই জন্তু চার হাত-পার উপর ভর দিয়ে হাঁটছে। অনেকটা বাচ্চাদের হামাগুড়ি দেওয়ার মত। তাই এদের নাম রাখা হয়েছে – ‘Creepture’ । সবচেয়ে বড় কথা হল এই প্রাণী গুলো খুবই হিংস্র। নিজের চোখেই দেখুন।”
ড.ব্রায়েন বাটন টিপলেন। কম্পিউটার স্ক্রিনে একটা ভিডিও ফুটেজ চালু হল। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এই প্রাণী মানুষ মেরে দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে মাংস খাচ্ছে।
ড পল নিজের অজান্তেই বললেন, “হলি কাউ”

ড. ব্রায়েন চেয়ারে বসতে বসতে বললেন, ” ক্রিপচার গুলোকে দেখুন ড. পল। ভাইরাস দেহে প্রবেশের পর পর পরই মানুষদের DNA চেঞ্জ করে দিচ্ছে। হাত পায়ে নখ বড় বড় হয়ে যাচ্ছে। দাঁত বড় হচ্ছে। কোনো ঠোঁট দেখা যাচ্ছে না। দেহের আকৃতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর অদ্ভুত হল – ক্রিপচার দের কোন হৃদপিন্ড নেই।”
ড. পল বিস্ময় কাটাতে কাটাতে বললেন, এই ভাইরাসের সেম্পলটা আপনি কোথায় পেলেন?”
“রাশিয়ান সায়েন্স এসোসিয়েশন থেকে পাঠিয়েছে। তারা অনেক রোবট নামিয়েছে। যাদের কাজ হলো ক্রিপচারদের গুলি করে মারা।”

ড .পল বললেন, “ব্যাপারটা আমাদের সব বিজ্ঞানীদের জানানো উচিৎ। ”

“অবশ্যই জানানো হবে। আমি আজ সন্ধ্যায় মিটিং ডেকেছি। সেখানে সবাইকে জানাবো। আপনাকে আলাদা বললাম কারণ আমার বিশ্বাস আপনি বেশ সাহসী। আপনি অন্যদের চেয়ে বুদ্ধিমান। প্রতিশেধক আপনাকেই তৈরী করতে হবে। ”
ড. পল বললেন, “আমি চেষ্টা করব স্যার। আপনার কাছে যা ডেটা আছে সেগুলো আমি কপি করে নিতে চাই। আর হ্যাঁ, এই ভাইরাসটা যদি আমি আমার কাছে রাখতে চাই তাহলে কোনো আপত্তি আছে??
“অবশ্যই না। আপনি রাখুন আপনার কাছে।”

দুই .
ড. পল তার নিজের বাড়িতে ল্যাবে বসে আছেন। তার এক হাতে স্ক্রচার ভাইরাস অন্য হাতে একটা সাদা ইঁদুর। তিনি স্ক্রচার ভাইরাসের কিছুটা ইঁদুরের দেহে প্রবেশ করিয়েছেন। কিন্তু ইঁদুরটার কোনো পরিবর্তনন দেখা যাচ্ছে না।

দরজায় খট করে শব্দ হলো। ড. পল চমকে তাকালেন। তার ব্যক্তিগত রোবট রুমে প্রবেশ করেছে। অতি বুদ্ধিসম্পন্ন এই রোবটের নাম – অনিক লুম্বা। ড. পল নিজ হাতে একে বানিয়েছেন। ড. পলের মাঝে মাঝে মনে হয় লুম্বার বুদ্ধি তার থেকেও বেশি।

লুম্বা ড. পলের সামনে দাঁড়িয়ে বলল, ” স্যার, আপনার বান্ধবী এসেছে। তাকে বলেছিলাম আপনি ব্যস্ত। সে শুনল না। হন হন করে ঘরে ঢুকে গেল। আপনার জন্য স্যান্ডউইচ নিয়ে এসেছে।”
ড. পল ইঁদুরটাকে কাচের জারে রাখতে রাখতে বললেন, ” স্যান্ডউইচ নিয়ে এসেছে তুমি কিভাবে জানলে?”
লুম্বা বলল,”বক্সে এনেছে,আমি স্ক্যান করে দেখেছি।”
“ভাল করেছ, এখন এই ইঁদুরটার দিকে লক্ষ্য রাখো। কোন চেঞ্জ দেখলে আমাকে ডাকবে।”
লুম্বা ইঁদুরটার দিকে তাকিয়ে বলল, ওকে স্যার।
ড. পল বসার ঘরে এলেন। নায়িরা সোফায় বসে আছে। তার এক হাতে বেগুনী কালারের একটা ব্যাগ, হালকা সবুজ জামা পরা। মাথায় এলোমেলো বাদামি চুল। জানালা দিয়ে আসা ঠান্ডা বাতাসে সে চুল মুখের উপর এসে পড়েছে।
ড. পল নায়িরার পাশে বসতে বসতে বলল, “হঠাৎ অসময়ে?”
নায়িরা হাসিমুখে বলল, “এমনি,। তুমি ব্যস্ত ছিলে?”
“খানিকটা ছিলাম। স্যান্ডউইচ নাকি এনেছো। দাও ক্ষিধে পেয়েছে।”
নায়িরা বলল ” লুম্বার বুদ্ধি কমিয়ে দাও। ও বেশি চালাক।”
ড .পল হাসতে হাসতে স্যান্ডউইচে কামড় দিলেন।
নায়িরা বলল, ” আবহাওয়াটা বেশ না? হাঁটতে বের হবে?”
“মাথা খারাপ?? এই ঠান্ডায়? দেখছ না তুষার পড়ছে?”
নায়িরা অভিমানের সুরে বলল, “গায়ে তুষার মাখতে অন্যরকম মজা আছে। তুমি তো কিচ্ছু বোঝো না।”
ড পল ‘হুম’ শব্দ করে মাথা নাড়লেন।
কিছুক্ষণ দুজনেই চুপচাপ। বাইরে বাতাসের মৃদু শব্দ।
নায়িরা নিরবতা ভেঙে বলল,”আমরা বিয়ে করছি কবে?”
ড পল বললেন, ” এপ্রিলে”
নায়িরা কিছু একটা বলতে চাচ্ছিল এমন সময় লুম্বা এসে বলল, “স্যার একটু আসুন।”
ড .পল লুম্বার দিকে তাকালো। লুম্বার প্রোগামে বিভিন্ন অনুভূতির জন্য বিভিন্ন রং দেয়া আছে। ভয়ের রং দেয়া আছে নীল ।
লুম্বার চোখ এখন গাঢ় নীলবর্ণ।
ড. পল ছুটে ল্যাবে ঢুকলেন। পেছনে পেছনে গেল নায়িরা আর লুম্বা।
ড. পল দেখলেন ইঁদুরটার নখ বড় বড় হয়ে গেছে। দাঁত থুঁতনি অবধি চলে এসেছে। ইঁদুরটা এখন স্ক্রচারে আক্রান্ত। এটা এখন ক্রিপচার।

নায়িরা অবাক হয়ে বলল, কি এটা?

ড পল নায়িরা আর লুম্বাকে সব বুঝিয়ে বললেন। লুম্বাকে বললেন, লুম্বা তুমি এমন কিছু দেখলে সাথে সাথে গুলি করবে। আমার আদেশের অপেক্ষা করবে না।
লুম্বা বলল, জ্বি স্যার।
এই ঠান্ডা আবহাওয়াতেও ড. পল ঘামছেন।

তিন.
“পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে মানুষ ক্রিপচারে পরিণত হয়েছে তিন কোটিরও বেশি।মানুষ নিহত হয়েছে লক্ষাধিক। পৃথিবীময় বিরাজ করছে থমথমে পরিবেশ।প্রচুর রোবট নামানো হয়েছে।তারা ক্রিপচারদের মারছে।তবুও কুলিয়ে উঠা যাচ্ছে না।মানব সভ্যতা ধ্বংসের বেশি বাকি নেই।

চার

ড. পল দিন রাত ল্যাবে কাজ করতে শুরু করলেন। তাকে সাহায্য করছে লুম্বা। ড. পলের কেন যেন মনে হচ্ছে এই ভাইরাস পৃথিবীর না। ভিন গ্রহের কেউ এই ভাইরাস পৃথিবীতে দিয়েছে মানব সভ্যতা শেষ করার জন্য।

ভাইরাসের গঠন, জন্ম নেয়ার পদ্ধতি ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে সাত দিনের মাথায় ড পল সাদা জেলীর মত একটা বস্তু তৈরী করলেন। নাম দিলেন এন্টি-স্ক্রচার। আক্রান্ত ইঁদুর কে এন্টি-স্ক্রচার দেয়া হল। কিন্তু সে সুস্থ হল না।
ড .পল হতাশ হয়ে গেলেন। অনিক লুম্বা একটা ইঁদুর এনে বলল, স্যার এই দেখুন,এটার উপর স্ক্রচারের কোন প্রভাব খাটবে না। কেননা আপনার বানানো এন্টিবডি আগেই দেহে প্রবেশ করানো হয়েছে।
ড পল ইয়েস বলে লাফিয়ে উঠলেন।
“তাড়াতাড়ি গাড়ি বের কর। GRC. তে যেতে হবে। আর থ্যাংক ইউ লুম্বা।”
লুম্বা মাথা নিচু করে বলল, এনি টাইম স্যার।

পাঁচ .
ড .পল তাড়াহুড়ো করে ড ব্রায়েনের রুমে ঢুকে বললেন, “স্যার এন্টিভাইরাস বানিয়ে ফেলেছি।
“তাই নাকি” ড ব্রায়েন আনন্দিত হয়ে বললেন, ” আমি জানতাম আপনি পারবেন”
ড পল পকেট থেকে ছোট্ট টিউব বের করে বললেন, এটা ক্রিপচারদের দেহে প্রবেশ করালে তারা সুস্থ হবে না। আগেই এটা টিকা হিসেবে নিতে হবে। তাহলে আর স্ক্রচার আক্রমণ করবে না। দুটো গিনিপিগ আনতে বলুন স্যার।

ড .ব্রায়েনের রোবট দুটো গিনিপিগ আনল। ড. পল প্রমাণ করে দিলেন।
ড. ব্রায়েন পলকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন।

ছয়

অনিক লুম্বা আর ড .পল বসে টিভি দেখছে। সারা টিভিতে কেবল তার কথা। কিছুক্ষন হল তারা ব্রায়েনের কাছ থেকে এসেছেন। এরি মধ্যে ব্রায়েন সারা পৃথিবীতে খবর ছড়িয়ে দিয়েছেন।
সব জায়গায় আনন্দঘন পরিবেশ।
ড .পল কোমল পানীয়তে চুমুক দিলেন। এমন সময় তার ফোন বেজে উঠল।
“হ্যালো, ড. পল বলছি।”
“স্যার আমি মিসেস নায়িরা ম্যাডামের বাড়ি থেকে ফোন দিয়েছি। আমি তার ব্যক্তিগত রোবট সাবেরি। আপনাকে এক্ষুনি নায়িরা ম্যাডামের বাড়িতে আসতে হবে। খুবই জরুরি। ”
“কেন কি হয়েছে?”
উত্তর দেবার আগেই লাইন কেটে গেল।
ড পল দ্রুত উঠে দাঁড়ালেন।
“লুম্বা তুমিও আমার সাথে চল।”
খুব দ্রুত তারা বের হয়ে গেল। ড পল এপ্রন খুলতেও ভুলে গেলেন।

সাত.
নায়িরার বাড়িতে থমথমে পরিবেশ। নায়িরার বাবা-মা চুপ করে ঘরে বসে আছেন।ড.পলকে আসতে দেখে তারা উঠে দাঁড়িয়ে বললেন,”নায়িরার ঘরে যাও।”
ড.পল নায়িরার রুমে এসে যা দেখলেন তার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না।দেখলেন এক কোণায় নায়িরা হামাগুড়ি দিয়ে আছে। তার হাত-পায়ে নখ বড়।দাঁত বড় হয়ে গেছে,ঠোঁট নেই।
নায়িরা এখন ক্রিপচার।ড.পলকে দেখে সে ছুটে এলো কিন্তু আক্রমণ করল না।
ড.পল বড় বড় নিঃশ্বাস ফেললেন।এ্যাপ্রনের পকেটে হাত দিয়ে এন্টিভাইরাস বের করলেন।কিন্তু এখন কোন লাভ নেই।এন্টিভাইরাস আক্রান্ত হবার আগেই প্রবেশ করাতে হবে।
ড.পল মেঝেতে বসে পড়লেন।এপ্রিলে তাদের বিয়ে হবার কথা ছিল।ড.পলের চোখ ভিজে উঠল।
এ্যাপ্রনের অন্য পকেট থেকে সে আরেকটি টেস্টটিউব বার করলেন।এটি স্ক্রচার ভাইরাস যা তার ভালোবাসার মানুষকে শেষ করে দিয়েছে।
ড.পল কিছুক্ষণ পর স্ক্রচার নিজ দেহে প্রবেশ করালেন।তিনি শিউরে উঠলেন।সমস্ত কিছু যেন ঘোলাটে হয়ে যেতে লাগল তার কাছে।ড.পল জ্ঞান হারালেন।
আট.
জ্ঞান যখন ফিরল তখন ড.পল ক্রিপচার হয়ে গেছেন।সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোকে তার খাদ্য মনে হলো।পাশে তাকিয়ে দেখলেন তার মতোই একজন। ঘরে উপস্থিত মানুষগুলো দেখল দুটো জঘন্য প্রাণী একে অপরের দিকে পরম ভালবাসা ভরে তাকিয়ে আছে।

একটু পরেই খচ খচ শব্দ হলো।
ড.পল আর নায়িরা শব্দ অনুসরণ করে তাকালো।অনিক লুম্বা তাদের দিকে পিস্তল তাক করে দাঁড়িয়ে আছে।লুম্বার চোখ এখন কালো রঙের। এটা শোকের রঙ।
………………………………………………

( মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের ‘সায়েন্টিস্ট অনিক লুম্বা’ নামক উপন্যাস থেকে অনিক লুম্বার চরিত্র এবং নায়িরা সায়েন্টিস্ট থেকে নায়িরার চরিত্র নিয়েছি। )

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!