কুড়িয়ে পাওয়া ভালোবাসা— মাটির মানুষ মিজান

আমি এখন চায়ের দোকানে বসে চা খাইতেছি, হঠাৎ মনে হল চায়ের দোকান থেকে একটা গানের আওয়াজ শুনতে পেলাম আওয়াজটা হচ্ছে পুরুনো সেই কথা মনে পরে যায়, বন্ধ তুমি কি আসবে প্রিয়, আজও তোমায় অপেক্ষায় আছি দাড়িয়ে তুমি কি আসবে ফিরে। আমার জীবনের একটা ঘটনা মনে পরে গেল।

আমার একটা স্বরনীয় ঘটনা আপনাদের এখন বলব, সবে মাত্র অনার্স শেষ করলাম, চাকরি পাচ্ছিলাম না, টিউশনি করে কোন রকম চলতেছিল, আমি প্রায় সময় বাসে যাতায়াত করতাম। ঠিক প্রতিদিন এর মত আজ বাসে উঠলাম হঠাৎ যেন একটা মেয়ে আমার পাশে এসে বসে, সেই মেয়েটি ফোনে বলতে লাগল আমি ত আপনাকে চিনি না। আপনি এসে আমাকে নিয়ে যান কিংবা একটা কাজ করতে পারেন, না থাক আপনি দাড়ান আমি খুঁজে  নিব। ফোনটা কেটে যায় অনেক ক্ষন পরে আবার ফোন দেয় সেই মেয়েটির ফোনে ফোনের অপার থেকে মেয়েটিকে বলতে লাগল তুমি কেমন দেখতে মেয়েটি বলতে লাগল যে আপনার কাছে আমাকে পাঠাইছে  সে বলে নাই। মেয়েটি বলতে লাগল আচ্ছা আমি আপনাকে পরে ফোন দিব আমি এখন বাসে আছি এই বলে মেয়েটি ফোন কেটে দেয়, অনেক ক্ষন পর আবার মেয়েটির কাছে ফোন আ্সলে মেয়েটি বলতে লাগল স্যার আপনি কি আমাকে ঘন্টা খানেক এর মধ্যে ছেড়ে দিতে পারবেন, অপার থেকে কি যেন বলল মেয়েটি আবার বলতে লাগল আমাকে সারারাত রাখবেন, মেয়েটি বলতে লাগল আমাকে যদি সারারাত রাখেন তাহলে ডাবল টাকা দিতে হবে। আমি তার সব কথা শুনে আমি মেয়েটির প্রতি জ্বীদ ধরে বাস থেকে নেমে গেলাম, আমি নেমে প্রতিদিন এরমত আমি আমার টিউশনিটা করতে আসলাম, টিউশনি শেষে আমাকে বিমালা নামের ছাত্রী আমাকে চা খেতে দেয়, আমি তাকে বললাম তোমাদের চায়ের পাতি কি শেষ হয়েগেল নাকি। বিমালা বলতে লাগল তুমার মত ছেলেকে কে খেতে দেয়।

আর আমি বিমালাকে বলতে লাগলাম তোমার সামনে যদি কবি রবিন্দ্রনাথ, জসীম উদ্দিন, কাজী নজরুল এসে বসত তাহলে তুমি কি তাদের শুধু চা খেতে দিতে, বিমালা বলতে লাগল তুমি যদি তাদের মত হতে তাহলে রোজ ভাল ভাল খাবার দিতাম। আমি বলতে লাগলাম আমি কি তাদের মত না। বিমালা বলতে লাগল কবে থেকে । আমি বলতে লাগলাম আমার কাছে টাকা নাই যদি থাকত তাহলে আমার সব বই গুলো চাপাতাম। বিমালা বলতে লাগল আমি টাকা দিচ্ছি, বিমালা টাকা নিয়ে এসে বলল এটা এই মাসের বেতন সামনের মাস থেকে আর আসার ধরকার নেই!! তুমি তুমার কবিতা, উপন্যাস, নাটক, নিয়ে থাক, মেয়েটি বলতে লাগল সামনের মাসে আমার বিয়ে! আমার স্বামী আমাকে বিয়ে করে সে লন্ডন নিয়ে যাবে। আমাকে বিমালা বলতে লাগল তুমি যে স্বপ্ন দেখতাছ তা কোন দিনও পূরন হবে না, মেয়েটি বলতে লাগল আর শুন আমি ত চা খাইতে দিছি ,তুমার কপালে রাস্তার মেয়েও জুটবে না।

আর সে দিনই আমার এক মাত্র সম্বল টিউশনিটা হারালাম। তখন আমি রাস্তার দিয়ে হাটতেসিলাম হঠাৎ দেখি সেই মেয়ে যাকে আমি বাসে দেখিছিলাম আর সেই মেয়েটি আমাকে দেখে হাঁসতে থাকল। আমার বিমালার কথা মনে পরে যায়। বিমালা যে আমাকে বলছিল আমার বাথে রাস্তার মেয়ে ছাড়া কিছুই জোটবে না, আমার মনে চিন্তা আসল বিমালাত আমাকে চেড়ে ছলেগেছে, তাকে নিয়ে আমি একটু মজা করি। সব ভোলে গিয়ে সেই মেয়েটি কে জিজ্ঞাসা করলাম তুমি এক রাতে কত টাকা নাও মেয়েটি বলতে লাগল ১০০০ হাজার টাকা আর আমি বলতে লাগলাম ৫০০ টাকা দিব কিন্তু মেয়েটি রাজি হল না। তাই আমি চলে আসতে তাকলাম হঠাৎ মেয়েটি দেখি আমার পিছু পিছু আসতে শুরু করল মেয়েটি বলতে লাগল আমার সাথে নাকি যাবে কিন্তু মেয়েটি কে আমি বললাম না আমি তুমাকে নিব না মেয়েটি কাদঁতে কাদঁতে বলতে লাগল একজনের সাথে ২০০০ হাজার টাকা কন্টাক ছিল তা কেন্সল হইয়া গেছে আমি খালি হাতে বাড়ি ফিরবো কি করে। আমি বলতে লাগলাম আচ্ছা ঠিক আছে চল, আমার রাস্তা দিয়ে কিছু দূর হাটলাম মেয়েটি বলতে লাগল আমরা কি বাসায় যাব না, মেয়েটিকে উত্তর দিলাম আমি ত মেছে থাকি এই ব্যাপারে আমি নতুন, আমি আর সেই মেয়েটি রাস্তা দিয়ে হাটতে থাকি আর আমি বলতে থাকি আমি ত একজন বিশাল কবি!! হয় নাই কিন্তু হব।

মেয়েটি বলতে লাগল চল আমাদের কাজটা শেষ করে পেলি! আমি মেয়েটা কে নিয়ে একটা জায়গাই গেলাম কিন্তু সেই জায়গায় থেকে পুলিশ তারিয়ে দিল, সেখানেও কাজটা শেষ করতে পারলাম না মেয়েটিকে আমি বলতে লাগলাম একটা কথা বলি মেয়েটি বলতে লাগল আমি ত আপনার কাছে পোড়া রাতটা বিক্রি করেছি আপনি আমাকে যা কিছু আপনার মন চায় বলতে পারেন। আমি বলতে লাগলাম আছা তুমাকে দেখে ত মনে হয় তুমি একজন শিক্ষিত মেয়ে। মেয়েটি বলতে লাগল আপনি কি করে বুঝলেন। আমি মেয়েটিকে বলতে লাগলাম তুমি যদি পেশাদার হতে তাহলে জায়াগা কোজতে হত না। মেয়েটি বলতে লাগল তাহলে কি আপানার ৫০০ টাকা দিয়েদিতে হবে। আমি বললাম না টাকা দেওয়া লাগবে না, তার পর মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করলাম তার সবকিছু একের পর এক। সে উত্তর দিল তার বাবা নাকি অসুস্থ টাকার অভাবের কারনে তার বাবার চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই সে আজ থেকে এই প্রথম। আমি সেই পুরুষ যে তাকে কন্টাক করলাম। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে তুমি ত চাকরি বাকরি নিতে পারতে। মেয়েটি বলতে লাগল কে আমাকে চাকরি দিবে। আমার ত এত টাকার জোড় নাই বা মামা কালোর জোড় নাই। আমি জিজ্ঞাসা কররাম তুমি অন্নকিছু পার না, মেয়েটি বলতে লাগল আমি কবিতা লিখতে পারি কিন্তু কবিতা দিয়ে কি হবে। ভাল গান ও জানি তা দিয়ে কি হবে। মেয়েটির সাথে কথা বলতে বলতে যে মেয়েটিকে নিজের অজান্তে ভালবেসে ফেলেছি তা মেয়েটির সাথে কথা বলতে বলতে যেন রাত বোর হয়ে গেল। আমি মেয়েটিকে নিয়ে চায়ের দোকানে চা খেলাম এবং মেয়েটি বলতে লাগল আমি এবার জায় আমি আপনার টাকাটা পিরত দিয়ে দিব। আমি এখন বাড়ি চলে যায়। সেই মেয়েটা অনেক দূরে চলে গেছে আমার মনে হল তাকে আমার ভালবাসার কথাটা বলব কিন্তু সেই মেয়েটা অনেক দূরে চলে যাওয়া্র কারণে আমি তার কাছে দৌউড়ে যায় কিন্তু আমি যে কোন একটা কিছুর সঙ্গে দাক্কা খায়। তারপর আমি নিজেকে আবিস্কার করি হসপিটালে। আজও খোজি তুমাকে অন্তরা “আমি তুমাকে ভালবাসি” (অন্তরা)
লেখক: মাটির মানুষ মিজান।

দুঃখিত!