Categories রূপকথা

কার্তবীর্যার্জুনের দেশপ্রেম

পুরাকালে কার্তবীর্য নামে এক রাজা ছিলেন। তাঁর পূর্ণনাম কার্তবীর্যার্জুন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সৎ ও ধার্মিক। রাজকার্য করতে করতে তিনি খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েন। ক্লান্তি দূর করা দরকার। তাই তিনি রাজধানী থেকে একটি নির্জন স্থানে চলে গেলেন। জায়গাটা খুব সুন্দর। চারপাশে বন। বনের মাঝে সুন্দর একটি রাজপ্রাসাদ। রাজপ্রাসাদের তিনদিকে বদ সরোবর। সরোবরগুলোতে অনেক পদ্ম ফুটে আছে। ঝিরঝির করে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায়। এখানে এল এমনিতেই ক্লান্তি দূর হয়।

রাজা কার্তবীর্য সেখানে কিছুদিন থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন। সে সময়ে লঙ্কার রাজা ছিলেন রাবণ। তিনি ছিলে খুবই অত্যাচারী। সুযোগ পেলেই তিনি অন্যের রাজ্য আক্রমন করতেন। যুদ্ধ করে সে রাজ্য দখল করে নিতেন। তিনি জানতে পারলেন, রাজা কার্তবীর্য রাজধানীতে নেই। এ সুযোগে তিনি কার্তবীর্যের রাজ্য আক্রমন করলেন। রাজা কার্তবীর্যকে জানানো হল। তাঁর দেশ আক্রান্ত হয়েছে জেনে তিনি ক্রোধে আগুনের মতো জ্বালে উঠলেন। তিনি দেরি করলেন না। তখনই রাজধানীতে ফিরে গেলেন। সোজা চলে গেলেন যুদ্ধক্ষেত্রে। দুপক্ষে দা্রুণ যুদ্ধ হলো।

একপক্ষ আক্রমনকারী ও দখলদার আরেক পক্ষ আক্রান্ত। দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ। কার্তবীর্য সৈন্যদের উচ্চকন্ঠে বললেন, ‘সৈন্যগণ, পরাজিত হলে দেশ হবে পরাধীন। প্রাণপণ যুদ্ধ কর। দেশের স্বাধীনতা রক্ষা কর।’ কার্তবীর্যের কথায় সৈন্যদের উৎসাহ বেড়ে গেল। তারা প্রাণপণ যুদ্ধ করল। কার্তবীর্যের জয় হলো। আর রাবণ হলেন পরাজিত। পরাজয় স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন রাবণভ। কার্তবীর্য তাঁকে ক্ষমা করে দিলেন। কিন্তু এক শর্তে। শর্তটা হলো, রাবণ আর অন্যের রাজ্য আক্রমণ করতে পারবে না। রাবণ মাথা নিচু করে নিজের রাজ্যে ফিরে গেলেন। দেশকে রক্ষা করলেন কার্তবীর্য। দেশপ্রেমিকরূপে কার্তবীর্য অমর হয়ে রইলেন।

আরো পড়তে পারেন...

মিথ্যার মুখোমুখি প্রতিদিন– ঢাকা মেডিকেলের পরী

ঢাকা মেডিকেলের ছাত্ররা পরী দেখছে। পিলে চমকানো সুন্দরী পরী। পরীরা কাউকে ডাকছে (ছুটির নিমন্ত্রণে), কাউকে…

সরকার সাহেবের গাধা || হুমায়ূন কবীর ঢালী

হেলাল সরকারের একটা পোষা কুকুর আর একটা গাধা আছে। কুকুরটা খুবই স্নেহবৎসল। বিশ্বস্তস্ন। সব সময়…

নাইটিঙেল পাখির কথা — হ্যান্স অ্যান্ডারসন

চীন-সম্রাটের প্রাসাদের মতো চমৎকার প্রাসাদ পৃথিবীতে আর একটিও ছিল না। আগাগোড়া মিহি চীনে-মাটির তৈরি, এমনি…