কাবুসের বাদশাহী লাভ-শেষ পর্ব

কাবুসের বাদশাহী লাভ-পর্ব ২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

 তাদের দুরবস্থা দেখে তাঁর মন অতিশয় কাতর হয়ে পড়ল। তিনি স্থির করলেন তাঁর সম্পদরাশি তাদের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে ঐ সঙ্কট দূর করবেন। মনে মনে এ প্রতিজ্ঞা করে একদা বনী ইসরাঈলগণকে নিজের বাড়িতে দাওয়াত দিলেন। দাওয়াত পেয়ে তারা তাঁর বাড়ীতে এসে উপস্থিত হলেন।

তিনি তখন সকলকে তাঁর দাওয়াতের কারণ জানিয়ে প্রত্যেককেই যোগ্যানুরূপ অর্থ এবং জায়গা জমি দান করলেন। নিজে তিনি কোনরূপ জীবন যাপন করতে পারেন এ পরিমাণ অর্থ রেখে বাকী সমস্তই বিলিয়ে দিলেন।

বনী ইসরাঈলগণ তাঁর এ অভাবিত দানে যারপরনেই খুশী হয়ে তাঁর জন্য আল্লাহর কাছে প্রাণ খুলে দোয়া করলেন। অতঃপর তারা তাঁর নিকট হতে বিদায় নিয়ে যে যার বাড়ীতে চলে গেলেন।

যতদিন আছিয়ার কাছে ধনের প্রাচুর্য ছিল ততদিন ইচ্ছা সত্ত্বেও মনের মত আল্লাহর উপাসনা করতে পারেন নি। পার্থিব বিষয়, ধন-সম্পদ মানুষকে বড়ই বিব্রত রাখে। নিরিবিলি ভাবে ও একাগ্র মনে আল্লাহর কাজে বাধা জন্মিয়ে থাকে। এ জাতীয় বিপদে লিপ্ত আছিয়াও হয়েছিলেন। সুতরাং ধনের ঝঞ্চাট মুক্ত হয়ে তিনি এ বিপদ হতে রেহাই পেয়ে গেলেন। এবার তিনি নিরুদ্বিগ্ন হৃদয় নিয়ে প্রভুর ধ্যানে নিবিষ্ট হতে পারলেন। উদ্বেগ এবং অশান্তি তাঁর না ছিল এমন নহে।

স্বামীর কীর্তি তাঁর হৃদয়ে তুষের অনল জ্বালিয়ে রেখেছিল। সে অনল তাঁর মর্মস্থলে রয়ে রয়ে জ্বলতেছিল। এটা অপেক্ষা তীব্র অশান্তি নারীদের আর নেই। তবে এ অশান্তির স্বরূপ ভিন্ন। এটা নারীকে কখনও আল্লাহর পথ ভুলিয়ে দেয় না; বরং এটা বেশী পরিমাণে পভু-স্মরণের সহায় হয়ে থাকে। বিবি আছিয়ার তা-ই হল। তিনি তাঁর ব্যথিত হৃদয় নিয়ে দিবানিশি শুধু প্রভুর আরাধনা করতে লাগলেন। ক্রন্দন, প্রার্থনা ও উপাসনা ছাড়া সংসারে তাঁর আর কোন কাজ রইল না।

কাবুসের বাদশাহী লাভ- পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।