কাবুসের বাদশাহী লাভ-পর্ব ১

ক্রমান্বয়ে অবস্থা এমন পর্যায়ে উপনীত হল যে, মিশরের বাদশাহ এখন নগর রক্ষক কাবুসকে দেশের জনৈক মন্ত্রীর ন্যায় মর্যাদা দিলেন। এমনকি খোদ প্রধান মন্ত্রী তাকে যথেষ্ঠ সম্মান করতে লাগলেন।

কাবুসের ভাগ্য ক্রমশঃ সুপ্রসন্ন হয়ে উঠতেছিল। অতএব পারিপার্শ্বিক অবস্থাগুলোও তার অনুকুল হয়ে উঠতেছিল। ইতিমধ্যে সহসা প্রধানমন্ত্রী মৃত্যুমুখে পতিত হলেন। মিশররাজ সাথে সাথে কাবুসকে ডেকে প্রধান মন্ত্রীর পদে তাকে নিযুক্ত করে দিলেন।

এ পদে উন্নীত হয়ে কাবুস তার কর্মকুলতা গুণ সম্পূর্ণই কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ করল। সে তার সুব্যবস্থার ফলে দেশের কৃষির উন্নতি, স্বাস্থ্য বিধি ব্যবস্থা, জনসাধারণের নিরাপত্তা বিধান এবং আর্থিক সচ্ছলতা প্রভৃতি ঘটিয়ে দিয়ে প্রজাবৃন্দের মন জয় করে ফেলল। সত্যি বলতে কি মিশরবাসীরা এরূপ প্রজাহিতৈষী মন্ত্রী বহুদিনেও দেখেনি। এতে তারা কাবুসের পরম ভক্ত এবং অনুরক্ত হয়ে পড়ল।

মিশরের বাদশাহ এখন নামে মাত্র শাসক হিসাবে সিংহাসনে বসে রইলেন। দেশ পরিচালনার সমস্ত ক্ষমতা ও দায়িত্বসমূহ কাবুসের হাতেই ন্যস্ত হল। এ সময় কাবুসের অন্তর্নিহিত উচ্চাকাঙ্খা প্রবলতর হয়ে উঠেছিল। অতএব সে এ প্রাপ্ত সুযোগকে সর্বোতভাবে কাজে লাগিয়ে দেশবাসীকে এমন বাধ্য করল যে, তারা এখন মিশর-রাজের বদলে কাবুস বাদশাহ হলেই যেন সন্তুষ্ট হয়।

ভাগ্য একেই বলে, ভাগ্যের জোরে কখনও মানুষ উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করে, আবার ভাগ্যের ফেরে মানুষ অবনতির নিম্নস্তরে নিপতিত হয়। কাবুস একটি কৃষকের ছেলে-দুরাচার, লম্পট, মদ্যপ, ব্যভিচারী অথচ সৌভাগ্যের বলে সে আজ কোথায় উঠেছে! বরং তার বেলায় সৌভাগ্যের অগ্রগতি এখনও স্তব্দ হয়নি। এখনও ভাগ্য তাকে নিয়ে উর্দ্ধে উঠতে চায়। তেমন অনুকূল পরিবেশও সৃষ্টি হয়ে গেল। হঠাত মিশর রাজের রোগ দেখা দিল এবং মাত্র কয়েকটি দিন রোগ ভোগ করেই তিনি মৃত্যুবরণ করলেন।

কাবুসের বাদশাহী লাভ- পর্ব ২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।