বর্তমান সময় হলো প্রতারণার যুগ। পূর্বের যুগে এ রূপ প্রতারণা ছিল না। বেদআতীরাও ‘আল্লাহ আল্লাহ’ করত। ভুল-ক্রুটি থাকা সত্ত্বেও তাদের মধ্যে কিছু না কিছু দীনী আছার থাকত। কিন্তু বর্তমানের বেদআতীরা প্রতারণা, ফাসেকি, ফাজেরিসহ বিভিন্ন প্রকার কবীরা গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। অর্থ রোজগারের নানা রকম কৌশল আবিষ্কার করছে।
এরূপ এক বেদআতী পীরের ঘটনা বর্ণিত আছে।
এক গৃহবধূ এ পীরের মুরিদ ছিল। মুরিদনীর বাড়ি গিয়ে পীর মেহমান হলেন। দস্তরখানার সামনে বসে ভাবতে লাগলেন—কীভাবে বেশি মুরিদ পাওয়া যায়। হঠাৎ একটি লাঠি নিয়ে ছুটতে লাগলেন। একবার এদিকে যান, একবার ওদিকে যান, সজোরে মাটিতে বাড়ি দেন আর বলেন, “খবীছ, দূর হ এখান থেকে, বের হয়ে যা এখান থেকে!”
এরপর হাঁপাতে হাঁপাতে এসে খেতে বসলেন। মুরিদনী বলল, “হুজুর! কী হয়েছিল?”
পীর বললেন, “কাবা ঘরে কুকুর ঢুকেছিল। বের করে দিলাম।”
মুরিদনী ভাবল, পীর সাহেব হাকীকতপ্রাপ্ত হয়েছেন! পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
গৃহবধূটি ছিল খুব বুদ্ধিমতী। পীর সাহেব ভাতের থালা সামনে নিয়ে বসে রইলেন। মুখে ভাত দেন না। অনেকক্ষণ এভাবে কেটে যাওয়ার পর মুরিদনী জিজ্ঞেস করল, “হুজুর, কী হয়েছে? ভাত খাচ্ছেন না কেন?”
পীর বললেন, “তরকারি দিচ্ছ না যে? তরকারি ছাড়া ভাত খাই কী দিয়ে?”
মুরিদনী বলল, “এত দূরে কা‘বা শরীফে কুকুর ঢুকেছে দেখতে পেলেন আর সামনে প্লেটে ভাতে ঢাকা তরকারি দেখতে পান না?”
পীর মুরিদনীর কৌশল বুঝতে পারলেন, অত্যন্ত লজ্জিত হলেন। তিনি জীবনে এরূপ কাজ আর করবেন না বলে ওয়াদা করলেন।
সুতরাং এদের এভাবে জব্দ করা উচিত।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।