
গোপাল মাঝে মাঝে কারও না কারোর সঙ্গে নিজের বাড়ির দাওয়ায় বসে দাবা খেলতো। গোপালের সঙ্গে দাবা খেলার জন্য প্রায়ই কেউ না কেউ দু’মাইল দুর থেকেও হেটে আসতেন। অন্তত এক বাজি খেলতে। না পারলে অথবা কারও সঙ্গে দাবায় হেরে গেলে গোপাল সে রাতে মোটেই ঘুমুতে পারত না। সারারাত বিছানায় শুয়ে শুয়ে শুধু ছটফট করত। দাবা খেলার ভীষণ নেশা গোপালের। বলতে গেলে, দাবা খেলার সময় গোপাল বাহ্যজ্ঞানই হারিয়ে ফেলত। একদিন গোপাল দাবা খেলছিল, ‘আর এক চাল দিলেই কিস্তিমাৎ হয় আর কি। এমন সময় বাড়ি থেকে একটা চাকর ছুটে এসে খবর দিলে, ‘বাবু, তাড়াতাড়ি বাড়ি চলুন। কর্তা- মাকে সাপে কামড়েছে। কর্তামা ভীষণ কষ্ট পাচ্ছেন। ডাক্তার আনতে হবে।’ গোপাল তখন দাবার নেশায় এমনই মত্ত যে চাল দিতে দিতে চাকরকে বললেন, ‘কাদের সাপ? কার হুকুমে কর্তা মাকে কামড়াল? সাপটার বিরুদ্ধে রাজার দরবারে নালিশ ঠুকে দিয়ে, এখনি ছুটে চলে যা একটু পরেই আমি যাচ্ছি।’ চাকর বেচারা কর্তা বাবুর কথা শুনে হা করে দাড়িয়ে রইল্