কাঠুরে ও জলদেবী

এক গ্রামে ছিল এক কাঠুরে। তার ছিল একটি লোহার কুঠার। কুঠার দিয়ে সে নিত্য কাঠ কাটতো। সেই কাঠ বাজারে বিক্রি করে তার সংসার চলতো।
গ্রামের পাশে ছিল এক নদী। তার পাশেই ছিল বন। একদিন কাঠুরে সেই বনেই কাঠ কাটতে গেলে। কাঠ কাটতে গিয়ে হঠাৎ তার কুঠার নদীতে পড়ে গেল। কাঠুরে তার মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো। কুঠার না থাকলে সে কাঠ কাটতে পারবে না। আর কাঠ না কাটলে পারলে তার সংসারও চলবে না। স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে না খেয়ে থাকবে। কাঠুরের কাছে আর কোন দ্বিতীয় কুঠার ছিল না।
এমন সময় নদীর মধ্যে থেকে জলদেবী উঠে এলেন তার কাছে। হাতে একখানা রূপার কুঠার। জলদেবী কাঠুরেকে বললেন,‘দেখতো এটা তোমার কুঠার কিনা।’
কাঠুরে দেখে বলল,‘না, এটা আমার কুঠার নয়।’
জলদেবী চলে গিয়ে আবার এলেন। হাতে একখানা সোনার কুঠার। কাঠুরেকে বললেন, “দেখ তো এবার, এটা তোমার কি না।’
কাঠুরে এবারও জবাব দিল,‘ না, এটা আমার কুঠার নয়’।

জলদেবী জলে নেমে পুনরায় উঠে এলেন। তাঁর হাতে একখানা লোহার কুঠার। তিনি কাঠুরেকে বললেন, “এখন দেখতো এটা তোমার কি না।’
কাঠুরে বলল, ‘হ্যাঁ, এটাই আমার কুঠার।’
কাঠুরের এ সততায় জলদেবী মুগ্ধ হলেন। তিনি কাঠুরেকে তিনটি কুঠারই দিয়ে দিলেন। তারপর থেকে কাঠুরের সংসারে আর অভাব থাকলো না।

উপদেশ:সততা মানুষের একটি মহৎগুণ। সৎ ব্যক্তি দেরিতে হলেও তার সততার পুরষ্কার পায়।

দুঃখিত!