কাজের জমি

একটুখানি জায়গা । লম্বায় কিছুটা বড়। নবীন ভাল চাষী নয়। তাও বছরের শুরুতে কুপিয়ে তারপর জল ঢেলে কুড়ে কুড়ে মসৃণ করে ফেলল। সেখানেই রবিশস্য ধান তুলে ঝাড়াই মাড়াই করে । তারই একপাশে বিচুলী গাদা করতে হল । সারাবছর গরু ছাগল খাবে আর কিছু জ্বালানির কাজে লাগবে।
ধান তুলে আবার মাটি কুপিয়ে কিছু শাক বেগুন আলু এমন কি কটা লঙ্কা গাছও বসিয়ে দিল নবীন। বর্ষা এসেও আসছে না। সকাল বিকেল জল দেওয়াও বেশ খাটুনি।
নবীনের বউ বলে – আমি পারব না, যা হয় হোক । এইটুকুতে কি হবে ?
নবীন সান্ত্বনা দেয় – পড়ে থাকার চেয়ে ভাল।
আবার সেইসব সবজি তুলে আউশ ধানের জন্য জায়গা করতে হল। ঘরের পাশে বলে আউশ ধান গোলায় ভরার পরে আবার পাড়ার একজনের বিয়ের জন্য ছেড়ে দিতে হল। তাতে বিচুলি গাদার পাশে আমগাছের কিছু ডাল কাটলে ভাল হত। নবীন তা হতে দিল না।
এর কিছুদিন পরে ওই জমিতে এবার রবি শস্যের চারা বসাল নবীন । মাস খানিকের মধ্যে সে পাঠ চুকিয়ে নবীন সাধ করে পিঁয়াজ বসাল।
পিঁয়াজ দারুন ফলছে দেখে কাজের উঁচু জমিটুকুকে নবীন আদরে আহ্লাদে ভরিয়ে রাখে বারমাস ।
নিজের জীবনের মত।
চষলেই ফসল ফলবেই।

দুঃখিত!