কবরে দেখা গেল মেয়েটির মাথার চুল দিয়ে তার পা বেঁধে দেয়া হয়েছে

১৪১৪ হিজরির শাবান মাসের শেষ জুমার রাতে করাচীর কোরাঙ্গি এলাকায় এক যুবকের সাথে আমার দেখা হয়। যুবকের চেহারায় আতঙ্কের ছাপ দেখতে পেলাম। যুবক কসম করে আমাকে একটি ঘটনার বিবরণ দিলো। সে বলল, আমার এক আত্মীয়ের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। মেয়েটিকে কবরে দাফন করে ফিরে আসার পথে মেয়ের  পিতা বলল, সর্বনাশ হয়ে গেছে।

আমার হাতব্যাগ কবরে রয়ে গেছে। ব্যাগে আমার খুবই জরুরি কাজগপত্র আছে। অল্প কিছুক্ষণ আগে কবর দেয়া হয়েছে কবর খুঁড়লে কি আর হবে এ কথা ভেবে কবর খনন করা হলো। উপরের মাটি সরিয়ে একটি তক্তা সরাতেই দেখা গেল মেয়ের গায়ের কাফন ছিঁড়ে টুকরো টুকরো হয়ে আছে।

মেয়েটি ধনুকের মত বাকা হয়ে বসে আছে। তার মাথার চুল দিয়ে দুই পা বেঁধে দেয়া হয়েছে। ছোট ছোট বিচ্ছু তার দেহ কামড়ে ধরে আছে। মেয়ের পিতা এ ভয়ানক দৃশ্য দেখে তাড়াতাড়ি সরানো তক্তা সাজিয়ে উপরে মাটি চাপা দিয়ে দিলো। হ্যাণ্ডব্যাগের চিন্তা তার মনেই এলোনা।

ঘরে এসে মেয়েটির চালচলন সম্পর্কে খবর নিলাম। জানা গেল তার মধ্যে আপত্তিকর কোন দোষ ছিল না, তবে সাধারণ মেয়েদের মতো সে ছিল ফ্যাশনপ্রিয়। সে পর্দা পালন করতো না। মৃত্যুর কয়েক দিন আগে বিউটি পার্লারে সেজে এসে এক বিয়ের অনুষ্টানে অন্য নারীদের সাথে সে অংশগ্রহণ করেছিল।

আরো পড়তে পারেন...

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন প্রাচ্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী, শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ, লেখক, গবেষক ও সমাজ সংস্কারক।…

অপু ও ফলচুরি রহস্য

মহানগরের কোলাহলের মাঝে, ব্যস্ত জনপথের কিছুটা দূরে একফালি সবুজ ল্যান্ডস্কেপ । সদ্য গড়ে ওঠা আবাসন…

ভালুক ও কাঠবিড়ালী

কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘খুকি ও কাঠবিড়ালী’ কবিতাটি কম-বেশি সবাই পড়েছে। এ কবিতাটির কারণেই ছোট্ট…

কবরে দেখা গেল মেয়েটির মাথার চুল দিয়ে তার পা বেঁধে দেয়া হয়েছে

১৪১৪ হিজরির শাবান মাসের শেষ জুমার রাতে করাচীর কোরাঙ্গি এলাকায় এক যুবকের সাথে আমার দেখা হয়। যুবকের চেহারায় আতঙ্কের ছাপ দেখতে পেলাম। যুবক কসম করে আমাকে একটি ঘটনার বিবরণ দিলো। সে বলল, আমার এক আত্মীয়ের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। মেয়েটিকে কবরে দাফন করে ফিরে আসার পথে মেয়ের  পিতা বলল, সর্বনাশ হয়ে গেছে।

আমার হাতব্যাগ কবরে রয়ে গেছে। ব্যাগে আমার খুবই জরুরি কাজগপত্র আছে। অল্প কিছুক্ষণ আগে কবর দেয়া হয়েছে কবর খুঁড়লে কি আর হবে এ কথা ভেবে কবর খনন করা হলো। উপরের মাটি সরিয়ে একটি তক্তা সরাতেই দেখা গেল মেয়ের গায়ের কাফন ছিঁড়ে টুকরো টুকরো হয়ে আছে।

মেয়েটি ধনুকের মত বাকা হয়ে বসে আছে। তার মাথার চুল দিয়ে দুই পা বেঁধে দেয়া হয়েছে। ছোট ছোট বিচ্ছু তার দেহ কামড়ে ধরে আছে। মেয়ের পিতা এ ভয়ানক দৃশ্য দেখে তাড়াতাড়ি সরানো তক্তা সাজিয়ে উপরে মাটি চাপা দিয়ে দিলো। হ্যাণ্ডব্যাগের চিন্তা তার মনেই এলোনা।

ঘরে এসে মেয়েটির চালচলন সম্পর্কে খবর নিলাম। জানা গেল তার মধ্যে আপত্তিকর কোন দোষ ছিল না, তবে সাধারণ মেয়েদের মতো সে ছিল ফ্যাশনপ্রিয়। সে পর্দা পালন করতো না। মৃত্যুর কয়েক দিন আগে বিউটি পার্লারে সেজে এসে এক বিয়ের অনুষ্টানে অন্য নারীদের সাথে সে অংশগ্রহণ করেছিল।