বয়স হয়েছে,রাতে ঘুম হতে চায় না,আর জেগে থাকার মুহূর্তগুলিতে দুখের স্মৃতিরা এসে মনের দোরে ভিড় জমায়।
ছোটবেলার এক ভোরের কথা খুব করে মনে আসছিল।সে বয়সে ভাবনার মধ্যে সবুজতা বেশী থাকে,পৃথিবীর বাস্তবতা অনেকটা দুরে থেকে যায়। রংমন নীলাকাশের সূর্য করোজ্বলে উড়ে বেড়ায়।ফুল,প্রজাপতি,হরিত অরণ্য,গ্রামের আল রাস্তার দু পারের ঢেউ খেলা ফসলের দিগন্ত ভালো লাগে–খুব ভালো লাগে।মনে প্রাণে খুশির
জোয়ার বয়ে যায়।কোথা থেকে আসত এত আনন্দ,এত উচ্ছ্বাস,এত সৌন্দর্য লাগা মন?আজ সে সবের রহস্য কোথাও হয়তো খুঁজে পাব না।
মনে পড়ে…আমাদের পাড়ায় একটি মেয়ে থাকত–তার নাম ছিল,টুসি।ওটা তার ডাক নাম হবে হয় তো।বয়স নয় কিম্বা দশ হবে।ওই বয়সে ওকে আমার খুব ভালো লাগত।ভাল লাগার কারণ ছিল,ও দেখতে ছিল আর দশটা মেয়ে থেকে অনেক বেশী সুন্দর–অন্তত আমার সেই বয়সের চোখে। খুব চঞ্চল ছিল।আমার মনে হত ওর চোখগুলি বড় অস্থির,পাশ দিয়ে যখন ও যেত আমার দিকে মুহূর্ত তাকাতে না তাকাতে অন্য দিকে তার চোখ ঘুরে যেত।দেখেছি শুধু আমার বেলায় নয়,অন্য ছেলেদের বেলাতেও এমনি ক্ষণ দৃষ্টি ছিল ওর।শুরুতে ওর সঙ্গে দুটো কথা বলার ভীষণ ইচ্ছে হত।কিন্তু কি করে?মনের পছন্দ,কত দিন আর আনমনে আটকে রাখা যায়!মাঝে মাঝে উঠে আসে মাথায় আর ঘুরপাক খেতে খেতে আমায় প্রশ্ন করে,কি রে টুসিকে ভুলে গেলি নাকি?
মন জুড়ে থাকে টুসি,স্বপ্নেও ওকেই দেখি।তবে স্বপনের তো কোন বেড়া জাল নেই–ও অনায়াস টুসিকে দেখে মনের কথা কয়!স্বপ্নে একদিন টুসিকে পেলাম,আর ফস করে বলে ফেললাম,তোমার নাম টুসি?
টুসি তার নিত্য উচ্ছল স্বভাব নিয়ে যেন বলে উঠলো,তুমি কি করে জানলে?
–আমি জানি–তোমাকে চিনি–আগ্রহ ভরে টুসির দিকে তাকিয়ে বলে উঠি।
–আমিও তোমায় চিনি তপন দা!টুসি এক গাল হাসি ছড়িয়ে বলে উঠে ছিল।
ঠিক এমনি সময় আমার পিঠে এসে ধাক্কা লাগলো,এই তাপু! ওঠ,আজ না তোর সকালে স্কুল!
পিঠে মা’র ধাক্কা খেয়ে ধড়ফড় করে উঠে বসলাম।চোখ কচলেই বুঝতে পারলাম,সব ফক্কা!নিরেট স্বপন–মনে মায়া মরীচিকা ছড়িয়ে গেছে!এত সুন্দর স্বপ্নটা মাঝখানে গুবলেট হয়ে গেল!মনটা বড় বিষণ্ণ হয়ে পড়ে ছিল।
স্বপ্ন দেখার পর থেকে টুসি আরও মন জুড়ে বসে গিয়েছিল।যে কোন অবসর,নিরালা এলেই ওর কথা মনে পড়ে যেত।মনে মনে ভেবে নিয়ে ছিলাম যেনতেন প্রকারেণ ওর সঙ্গে ভাব জমাতে হবে।
আমার ভোরে সামান্য হাঁটা চলা করার অভ্যাস হয়ে গিয়ে ছিল।ওই সময়ে নাকি মুক্ত হওয়া,যাকে বলে খাঁটি বিশুদ্ধ হওয়া পাওয়া যায়–তা নাকি অক্সিজেনে ভরপুর থাকে।কথাগুলি নিশ্চয় বাবা থেকে মা শিখে ছিলেন। শুরুতে মা রোজ ভোর হতে না হতে আমায় ঘুম থেকে ডেকে দিতেন।শুরু শুরুতে অনেক কষ্টে আড়মোড়া ভেঙ্গে,দু একবার হাই তুলে ঘর থেকে বের হতাম পদচালনায় ! পরে অবশ্য অভ্যাস হয়ে গিয়ে ছিল।
সে দিন ভোরের ফ্রেশ হওয়া খেতে হাঁটছিলাম।রাস্তায় সূর্য মামা তখন সবে মাত্র গায়ে রাঙ্গা জামা চড়াতে ব্যস্ত ছিলেন।ছায়া প্রচ্ছায়ার মাঝ দিয়ে সুরজ দেবের লালাভ আবির আলো ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছিল।তারই মাঝে এক সময় আমার তাক লেগে গেল–চোখ পড়ল দুটি মেয়ে–ওদের হাতে মনে হল ফুলের সাজি–হাসাহাসি করে পথ চলছিল।আমার টুসির কথা মনে হল–ওদের মধ্যে একজন টুসি তো নয়?একটি মেয়ে সামান্য এগিয়ে গিয়ে একটা ঘরে ঢুকে গেল।আর অন্য মেয়েটি তবে কি টুসি?–হ্যাঁ,ওদের ঘরের দিকেই তো যাচ্ছে!আমি দ্রুত পায়ে এগিয়ে গেলাম।মেয়েটি টুসি হলে কথা বলার সুযোগ যদি পাই–সেই আশাতেই তাড়াতাড়ি এগিয়ে গিয়ে বলে উঠলাম,তোমার নাম কি টুসি?
প্রথমটা অবাক হল সে–আমার কথার উত্তর না দিয়ে জিজ্ঞেস করল,তুমি কে?
টুসি আমায় চেনে না!একটু বিমর্শ হলাম,নিজের নাম বললাম,তপন।
–তপন,মানে রায় বাড়ির ছেলে তুমি?এবার ও অনেকটা পরিচিতের মত বলে উঠলো।
আমি প্রশ্ন করে উঠি,তুমি কোথায় গিয়ে ছিলে?
ও নির্দ্বিধায় বলে ওঠে,ফুল তুলতে।
–তোমার ভয় করে না,এত সকালে ফুল তুলতে যাও?আমার মধ্যে কথা বলার প্রবণতা কি ভাবে যেন জন্ম নিচ্ছিল।
টুসিও ওদের ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলে যাচ্ছিল,ভয় কিসের? আমার সঙ্গে রুণু যায়–আমরা রোজ সকালে পূজার ফুল তুলতে যাই।
অন্য প্রসঙ্গ নিয়ে আমি বললাম,আমার নাম আগে থেকে জানতে তুমি?
এবার মিষ্টি হাসল টুসি.লাজুক লাজুক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো,তোমার নাম তপন,মানে তপন দা তুমি।
পথে ইতিমধ্যে লোকজন চলাচল শুরু হয়ে গিয়ে ছিল।কেউ আমাদের দেখে নেবে ব্যাপারটা সে বয়সেও বাধো বাধো লাগছিল।একটা ছেলের সঙ্গে একটা মেয়ের মেশামেশির সঙ্গে কোথাও যেন নিষিদ্ধ বেড়া তৈরি থাকে।সে দিন,আমি যাই,বলে টুসি হাসির রেখা মুখে মেখে টুক করে নিজের ঘরে ঢুকে গিয়েছিল।
ওই দিন আনন্দে মন আপ্লুত হয়ে গিয়েছিল।জাদুকরী ভালো লাগার এক ছোঁয়া কখন যেন মন ছুঁয়ে চাঙ্গা করে গিয়ে ছিল!
সময় এগিয়ে যাচ্ছিল,ইতিমধ্যে একটা বছর ঘুরে গেছে–টুসির সঙ্গে প্রায়ই আমার দেখা হয়,সঙ্গে ওর বান্ধবী রুণু কিম্বা অন্য কেউ থাকে।আবার একলা দেখা হলেও সাগ্রহে কথা বলি আমরা।মাঝে ফুল তুলতে এক আধ বার রুণুকে নিয়ে আমাদের বাড়িতেও এসেছে টুসি।মাকে মাসিমা,সম্বোধন করে বাগান থেকে ফুল তুলে নিয়ে গেছে।এমনি ভাবে ভালোবাসা ভালোলাগার মর্ম ছুঁয়ে ছুঁয়ে সবার অলক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছিলাম আমরা !
তারপরই অঘটনটি ঘটে ছিল–শীতের শেষ দিক ছিল।মাঘ মাস চলছিল। পর দিন ছিল সরস্বতী পূজা।টুসি ও আমাদের দু বাড়িতেই ছিল পূজো।
পূজার দিনের ভোর বেলার কথা–সবে মাত্র ভোরের পূর্ব মুহূর্তের অন্ধকারের ছাঁট সরে গেছে।এমনিতেই নিয়ম মত আমার ঘুম ভাঙ্গার সময় হয়ে আসছিল–হঠাৎ আমার কানে একটা ক্ষীণ আওয়াজ ভেসে আসলো–ঘুম পুরোপুরি ভেঙ্গে গেল–বাইরের দিকে কান পাতলাম।হ্যাঁ,সুরেলা কোন মেয়ের কণ্ঠে যেন আমারই নাম উচ্চারিত হচ্ছিল !
তপন দা…তপন দা…
বুঝতে পারছিলাম টুসির গলা।ও আমায় ডাকছে।এমনি সময় ও কোন দিন আসে নি।ঝটপট বিছানা ছেড়ে গেটের কাছে এগিয়ে গেলাম।গেট খুলে দেখলাম,হ্যাঁ,টুসি!
–তুমি এ সময় ?
–হ্যাঁ,আমার সঙ্গে ফুল তুলতে যাবে?টুসি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে উঠলো।
আমি!অনেকটা অবাক হলাম।
–হ্যাঁ,আজ রুণু নেই–ও অন্যদের সঙ্গে ফুল তুলতে চলে গেছে–টুসি বলে ওঠে।
তৎক্ষণাৎ রাজি হয়ে গেলাম,একটু দাঁড়াও,এখনি আসছি,বলে পোশাক পাল্টে ফিরে এলাম।
টুসি আর আমি ফুল তুলতে চলেছি…রোমাঞ্চ জাগছিল মনে…সেই সূর্য, কমলা লেবুর রং ছড়াতে তখন ব্যস্ত।আকাশের এক পারে মনে হোল গুচ্ছ গুচ্ছ পলাশ ফুল কেউ যেন ছড়িয়ে দিয়ে গেছে।
আশ পাশের বাগানগুলিতে তেমন ফুল পেলাম না।
–ইশ,আজ সব ফুল ওরা তুলে নিয়েছে–আক্ষেপ করে বলে উঠলো টুসি। তবু আমি ওপরের ডাল ঝুঁকিয়ে দু একটা ফুল তুলে টুসির হাতে ধরিয়ে দিলাম।মনের ভেতর আমার যেন গুঞ্জন হয়ে চলছিল…কি আনন্দ,কি আনন্দ,আজ আকাশে বাতাসে…হঠাৎ আমার মনে পড়ে গেল,বড় বাজারের শিব মন্দিরের পাশটিতে বড় এক বকুল গাছ আছে,সেখানে হাজারো ফুলের মেলা!ভোরের বেলায় নাকি অজস্র ফুল মাটিতে আকাশের তারাদের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে !
–টুসি,যাবে একটা জাগায়?আমি বলে উঠলাম।
–কোথায়?
–শুনেছি অনেক ফুল পাওয়া যায়।
–চল তা হলে–বেশী দুরে নয় তো?
–না,বড় বাজারের মাঠের কোনায় যে মন্দির আছে না,তার পাশেই,বকুল ফুল কুড়বো আমরা।
–বকুল ! আঃ,সুন্দর গন্ধ ওর,চল যাই।
পাঁচ মিনিটে পৌঁছে গেলাম বকুল তলায়।গাছের কাছাকাছি আসতেই ফুলের মিষ্টি গন্ধ নাকে ভেসে এলো–মন মোহ করা গন্ধ বকুলের। জাগাটা ছোট বড় লতানো ঝোপ ঝাড়ে ভরা–লোকালয় থেকে একটু দুরে। পাশের মন্দির বন্ধ পড়ে ছিল। চারদিক কেমন নির্জন নির্জন ভাব।
রোমাঞ্চিত হচ্ছিলাম আমরা–সে সঙ্গে দুজনের ঘেরা একাকীত্ব ভালই লাগছিল।বেদী দিয়ে ঘেরা বকুল তলা–ফুল বেশী ছিল না–ফুলের মরসুম ছিল না হবে!গাছের দিকে তাকিয়ে মনে হল দু চারটে ফুল পল্লবের শীর্ষে শীর্ষে লেগে আছে।
দুজনেই ফুল কুড়াতে লেগে গেলাম।সাজিতে ফুল রাখার সময় টুসির হাত আমার হাতে ছুঁয়ে যাচ্ছিল–ভালো লাগছিল বেশ !
এদিক ওদিক ঝাপড়ানো লতা গাছ ছড়িয়ে ছিল।টুসি বলল,তপন দা জানো তো–এই লতা দিয়ে বকুল ফুলের মালা গাঁথা যায়।
আমি বললাম–সুঁই ছাড়া কি করে মালা গাঁথবে?
–হ্যাঁ,বকুল ফুল দিয়ে হয়,বলে টুসি একটা লতা ছিঁড়ে আনল। বেদিতে বসে দিব্বি মালা গাঁথা শুরু করল।আমি ঠিক তার পাশটিতে বসে–কখনো ওর শরীর আমার শরীর স্পর্শ করে যাচ্ছিল।দেহে ওই বয়সে শিহরণ জেগে উঠছিল কি না তা এখন আর মনে নেই।
সত্যি সুন্দর একটা মালা গাঁথল টুসি।আমার সামনে তুলে ধরে বলে উঠলো, দেখো,দেখো,কি সুন্দর মালাটা!এটা সরস্বতী ঠাকুরের গলায় পরিয়ে দেব।
ওই দিন বারো বছরের ছেলের মনেও পরিণত ভাবনাগুলি বারবার উঁকিঝুঁকি মেরে যাচ্ছিল–কথাটি ভাবতে ভাবতে শেষে টুসিকে বলেই ফেললাম, কেন?আমায় যদি পরাও মালা!
টুসি মনে হল প্রথমে চট করে বুঝতে পারেনি,আমার মুখের দিকে পলক তাকিয়ে যখন বুঝল তখন লজ্জানত হয়ে বলে উঠলো,ধ্যাত !
আর একটা মালা হলে কেমন হয়?এমনি কথা মনে আসছিল।কেন এমন মনে হওয়া?তবে কি বয়স ভেঙে আরও একটু এগিয়ে গিয়েছিলা–তাই মালা বদলের ভাবনা আমার মনে উদয় হচ্ছিল!এমনি ভাবনা টুসির মনেও বোধ হয় খেলে বেড়াচ্ছিল।সে ছুটে গেল লতা ঝোপের কাছে,আর লতা ছিঁড়তে লেগে গেল।লতার এক দিক টেনে বের করে গোঁড়ার দিক ছিঁড়তে পারছিল না বলে,আমায় ডেকে বলে উঠলো,তপন দা,এস না, লতাটা ছিঁড়ে দাও !
–কেন?আর কি হবে?
–আর একটা মালা বানাবো–এসো।
ব্যাস,ঐটুকুই কথা বলে ছিল,তারপর,আঃ,করে জোরে চীৎকার দিয়ে উঠেছিল টুসি।আমি ছুটে গেলাম ওর দিকে।ও ততক্ষণে মাটিতে বসে পড়েছে।ওর মুখ দিয়ে থেকে থেকে যন্ত্রণা কাতর চীৎকার বেরিয়ে আসছিল।
–কি হল?কি হল??উদ্বিগ্ন হয়ে টুসিকে ধরে বলে উঠলাম।
টুসি তখন টেনে টেনে অপেক্ষাকৃত ক্ষীণ কণ্ঠে বলে চলেছে,কিসে…যেন… কামড়ে দিয়েছে …
দেখলাম,কালো কুচকুচে লম্বা একটা সাপ লতা ঝোপ বেয়ে মাটিতে নেমে যাচ্ছে।তখনও তার ফণা সবটা গুটিয়ে নিতে পারেনি! সাপ,আমার মুখ থেকে ভয়ার্ত চীৎকার বেরিয়ে এলো।
টুসি তখন চুপ হয়ে গেছে।ওর শরীর ধরে ঝাঁকাচ্ছিলাম,আর টুসি,টুসি,বলে ডেকে চলে ছিলাম।ওর দেহ ক্রমশ:নীল বর্ণ হয়ে যাচ্ছিল। চার পাশ তখন খানিকটা ফর্সা হয়ে উঠে ছিল।দু তিনজন লোক জড় হয়ে গেল।ওরাই টুসিকে পৌঁছে দিল ঘরে।
টুসিদের ঘরের দরজা পার করে ভেতরে ঢুকি নি আমি।বুক ঠেলে প্রচণ্ড কান্না বেরিয়ে আসছিল–কোন রকমে নিজেকে সামলে বাড়ি পৌঁছুলাম।মা আমায় দেখে আশ্চর্য হয়ে বলে উঠলেন,কি হল তাপু?
আমি চুপ করে থাকতে পারলাম না–এত সময় চেপে রাখা কান্না যেন ছিটকে বেরিয়ে এলো বাইরে-এক সময় আমি হাউ হাউ করে কান্নায় ভেঙ্গে পরলাম।
হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর টুসি বাঁচে নি।ভোর বেলায় নদীর পারে আমিও গিয়ে ছিলাম।দেখেছিলাম,কলার ভেলার ওপর বিছানায় ও চির নিদ্রায় মগ্ন হয়ে আছে ! ওর ওপরে মশারি টানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।মশারির গায়ে কাগজ এঁটে টুসির নাম,ঠিকানা লিখে দেওয়া হয়েছিল।
চোখের সামনে দিয়ে নদীর খরা স্রোতে টুসির ভেলা ছুটে চলেছিল অজানার উদ্দেশ্য…
আজও আমার কাছে ভোর এক অভিশাপ হয়ে রয়ে গেল ! ভোরের আকাশ দেখি না আমি–রক্তস্নাত ভোরের আকাশকে আর দেখতে চাই না…
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।