এক হাবশী কাঠুরিয়া
বর্ণিত আছে যে, শাম দেশের দ’ যুবক সর্বদা আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীতে লিপ্ত থাকত। ঘটনাক্রমে বেশ কিছুদিন তাদের আহারের কোন আয়োজন ছিল না।। ফলে একদিন তাদের একজন বলল, চল আমরা জঙ্গলে গিয়ে কাউকে দ্বীনের এলেম শিক্ষা দান করি। হয়তো আল্লাহ পাক এর উছিলায় আমাদের উপর রহম করতে পারেন।
বর্ণনাকারী বলেন, এরূপ আলোচনার পর তারা গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করে এক হাবশী কাঠুরিয়ার সাক্ষাত পেল। কাঠুরিয়ার মাথায় ছিল লাকড়ীর একটি বোঝা। তারা কাঠুরিয়াকে জিজ্ঞেস করল, তোমার প্রতিপালক কে? এই প্রশ্ন শুনে কাঠুরিয়া সাথে সাথে মাথার বোঝাটি ফেলে বলল, “আমার প্রতিপালক কে এ কথা জিজ্ঞেস না করে বরং বল, তোমার অন্তরে ঈমাদের অবস্থান কোথায়? কাঠুরিয়ার এ বক্তব্য শুনে তারা অবাক চোখে পরস্পরের দিকে তাকিয়ে রইল। সে পুনরায় বলল- কোন প্রশ্ন থাকলে বল। কারণ, প্রশ্ন করাই মুরীদের বৈশিষ্ট্য। যুবকরা এবারও নীরব থাকলে সে আকাশের দিকে মুখ তুলে বলল- হে পরওয়ার দিগার! তুমি যদি এরূপ হও যে, তোমার কোন বান্দা কিছু প্রার্থনা করলে তুমি সাথে সাথে তা কবূল করবে। তবে আমার জ্বালানী কাঠের বোঝাটি স্বর্ণে পরিণত করে দাও। তার এ কথা বলার সাথে সাথে সেই বোঝাটি স্বর্ণে রূপান্তরিত হতে দেখে যুবক দ্বয় চমকে উঠল। সে পুনরায় দোয়া করল, হে মাওলায়ে কারীম! তোমার কোন বান্দা গোপন থাকতে চাইলে তুমি যদি তা পছন্দ কর, তবে আমার এ জ্বালানী কাঠের বোঝাটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দাও। সাথে সাথে তার দোয়া কবূল হল এবং সে তা মাথায় নিয়ে একদিকে অদৃশ্য হয়ে গেল।