এক স্টেশন মাস্টার কবরের সুবাসিত পানির স্বাদ পেলেন

মোহাম্মাদ হুসাইন এমএ লিখেছেন, মুলতানের কাছে শেরশাহ নামে একটি স্টেশন আছে। কয়েক বছর আগে সেখানে এক স্টেশন মাস্টার দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি তাঁর ডান হাতের তালুতে ব্যান্ডেজ বেঁধে রাখতেন। প্রতিদিন দুই তিন বার সেই ব্যান্ডেজ খুলে হাতের তালু জিহ্বা দিয়ে চাটতেন।

স্টেশন মাস্টারের একজন ঘনিষ্ট বন্ধুর বিশেষ অনুরোধে তিনি হাতের তালুর ব্যান্ডেজ এবং চেটে খাওয়ার রহস্য জানালেন। তিনি বললেন, এখানে চাকরী নেওয়ার আগে আমি ছিলাম একজন পেশাদার কাফনের কাপড় চোর। যেসব লাশকে সকালে মাটি দেওয়া হত রাতে তাঁদের কবর খুঁড়ে আমি কাফন চুরি করতাম। তারপর সেই কাফন ধুয়ে ইস্ত্রী করে বিক্রি করে দিতাম।

এক রাতে একটি কবর খননের পর টর্চ জ্বালিয়ে অবাক হয়ে দেখি লাশের মুখ খোলা। কবরের ছাদ থেকে টপ টপ করে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি সেই লাশের মুখে পড়ছে। অথচ কবরের বাইরে বিস্তীর্ণ এলাকায় কোথাও পানি ছিল না। কবরের ছাদে যে জায়গা থেকে পানি পড়ছিল আমি সেখানে হাত পেটে দিলাম। কয়েক ফোঁটা পানি আমার হাতে পড়লো। আমি চেটে খেলাম। এমন সুস্বাদু সুবাসিত জিনিস জীবনে খাইনি। বাম হাতে কবরের মাটি চাপা দিয়ে আমি ঘরে ফিরে এলাম এবং খাঁটি মনে তাওবা করলাম। আমার ডান হাতের তালুতে এখনও সেই পানির স্বাদ এবং সুবাস লেগে আছে। এ কারণে আমি হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে নিয়েছি। প্রতিদিন দুই তিন বার ব্যান্ডেজ খুলে দিয়ে হাত চেটে সে পানির স্বাদ গ্রহণ করি।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!