হযরত জুনুন মিছরী (রহঃ) বলেন- একবার আমার নিকট একটি মেয়ের প্রশংসা করা হল। আমি তার ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে আমাকে বলা হল, সে অমুক এলাকার একটি গীর্জায় নীরবে আল্লাহ তায়ালার এবাদতে মশগুল রয়েছে। আমি ভ্রমন করে সেই গীর্জায় গিয়ে দেখতে পেলাম, এক শীর্ণদেহী মেয়ে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় বসে আছে। তার দেহের অবস্থা দেখে মনে হল, জীবনে সে দেহের প্রতি যত্ন নেয়নি। কখনো একটুর জন্যেও বিশ্রাম নেয়নি। জীবনে কোন রাত ঘুমিয়েছে কিনা সন্ধেহ। মেয়েটির কাছে গিয়ে তাকে ছালাম করলাম। সে জবাব দিল। তারপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম- বেটি! একাকী তুমি এখানে ভয় পাও না? একটু বিরক্ত হয়ে সে বলল- তুমি এখান থেকে চলে যাও। ঐ আল্লাহর শপথ! যিনি আমার অন্তরকে তাঁর দিদার ও হেকমত দ্বারা পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। আমার অন্তরে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন বস্তু স্থান পায় না। আমি বললাম, বেটী! তোমাকে বেশ বুদ্ধিমতি মনে হচ্ছে। আমাকেও তুমি বিপর্যয় হতে উপরে টেনে তোল।
মেয়েটি বলল- হে যুবক! তাকাওয়া ও খোদাভীতিকে জীবনের সম্পদ হিসেবে গ্রহন কর এবং পরহেজগারীকে জীবনের চলার পথের বাহন হিসেবে অবলম্বন কর। যদি এরুপ করতে পার, তবে তুমি একদিন এক জায়গায় গিয়ে উপনীত হবে, যেখানে তোমার উপর কোন নজরদারী থাকবে না এবং সকল নজরদারীদেরকে আদেশ করা হবে যেন তোমার পথের কোন অন্তরায় সৃষ্টি করা না হয়।
অতঃপর সে একটি কবিতা পাঠ করতে শুরু করল তার সার কথা হল-
সারকথাঃ- যে বেক্তি আল্লাহর পরিচয় পেয়েছে, অতঃপর সে মারফাতে এলাহী যদি তাকে পার্থিব সকল বস্তু হতে বে-পরওয়া না করে, তবে সে বড়ই হতভাগা। আর মানুষ আল্লাহর আনুগ্যত করতে গিয়ে যে সকল মুসীবতের শিকার হয়, তা দ্বারা সে কখনো ক্ষতিগ্রস্থ হয় না।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।