এক বৃদ্ধা বুজুর্গের কাহিনী

একজন শায়েখ বর্ণনা করেন, একবার আমি এবং আবূ আলী ইফরে রওনা হলাম। উদ্দেশ্য হল হযরত আবূ নছর সমরকান্দীর সাথে সাক্ষাৎ করা। দীর্ঘ পথ অতিক্রমের পর আমরা এক মরুভুমিতে খাদ্যের অভাবে কষ্ট পেতে লাগলাম। এমন সময় আমরা দেখতে পেলাম, এক শৃগাল মাটি খুঁড়ে কিছু সরূম আমাদের সামনে নিক্ষেপ করতে লাগল। আমরা আমাদের চাহিদা অনিযায়ী তা গ্রহণ করে সামনে এগুলাম।

কিছুক্ষণ পর দেখতে পেলাম, একটি নেকড়ে বাঘ মাটিতে শুয়ে আছে। নিকটে যাবার পর আমরা টের পেলাম যে, বাঘটি অন্ধ। আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে বাঘটিকে দেখছিলাম। আর তার জন্য আমাদের অন্তরে মায়া হচ্ছিল। এমন সময় কোথা থেকে সেখানে একটি কাক এসে উপস্থিত হল। কাকের ঠোটে ছিল একটি গোস্তের টুকরা। কাক নিকটে গিয়ে তার পা দ্বারা বাঘের মুখে তুলে দিল। এ দৃশ্য দেখে আবূ আলী আমাকে বলল, আল্লাহ্‌র কুদরতের পরিচয়ের জন্য এ ঘটনাটিই যথেষ্ট।

সেই মরুভূমিতে ক্রমাগত কদিন পথ চলার পর আমরা একটি ছোট্র উদ্যনের সন্ধান পেলাম। নিকটে গিয়ে দেখলাম, সেখানে একটি কুড়ে ঘরে এক বৃদ্ধা আল্লাহ্‌র এবাদত করছে। ঘরের দরজায় বাইরে ছিল একটি বিরাট পাথর। পাথরের মধ্যভাগটি ছিল খোদাই করা। এই একটি মাত্র পাথর ছাড়া বৃদ্ধার ঘরের বাইরেও ভিতরে অপর কোন বস্তু আমাদের চোখে পড়ল না আমরা নিকটে গিয়ে সালাম করে বৃদ্ধার পাশে বসে পড়লাম। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর মাগরিবের নামায আদায় করে সে ঘর থেকে বের হয়ে আসল। তখন তার হাতে দুটি রুটি ও কিছু খেজুর ছিল। সে আমাদেরকে বলল, ঘরের ভিতর হতে তোমাদের খাবার নিয়ে আস।

আমরা ভেতরে গিয়ে দেখলাম, সেখানে চারটি রুটি ও কিছু খেজুর রয়েছে। অথচ মুহুর্তকাল পূর্বেও ঘরে রুটি ও খেজুরের অস্তীত্বও ছিল না। সেই বিজন ভূমির আশেপাশেও কোন খেজুর বৃক্ষ নেই। আমরা তৃপ্তির সাথে সেই খাবার গ্রহণ করলাম। কিছুক্ষণ পর কোথা হতে এক খন্ড মেঘ ভেসে এসে সেই পাথরের উপর বৃষ্টি বর্ষন করল। এক ফোটা পানিও বাইরে পড়ল না, এবার আমি বৃদ্ধাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কত বছর যাবত এখানে আছ?

সে জবাব দিল সত্তর বছর যাবত আমি এই হালতেই এখানে পড়ে আছি। প্রতি দিনের বরাদ্দ দুটি রুটি এবং কিছু খেজুর নিয়মিত এসে হাজির হয়। আর শীত গ্রীস্ম সকল মৌসুমেই সন্ধার পর এক খণ্ড মেঘের বর্ষনে ঐ পাথর পাত্রটি ভরে যায়।

বৃদ্ধা তার নিজের অবস্থা বর্ণনা করার পর আমাদেরকে জিজ্ঞেস করল, তোমরা কোথায় যাচ্ছ? আমরা বললাম, আবু নছর সমরকান্দীর সাথে সাক্ষাৎ করতে। সে বলল আবু নছর বড় ভাল মানুষ। অতঃপর  বলল, আস, তার সাথে তোমাদের সাক্ষাৎ করিয়ে দেই।

বৃদ্ধা এ কথা বলার সাথে সাথেই অবাক হয়ে আমরা দেখতে পেলাম, হযরত আবূ নছর সমরকান্দি আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি আমাদেরকে সালাম করলেন এবং আমরাও তাঁকে সালাম করলাম। পরে তিনি বললেন, বান্দা-যখন আল্লাহ্‌ পাকের পরিপূর্ণ আনুগত্য করে তখন আল্লাহ্‌ পাক তার কোন ইচ্ছাকেই অপূর্ণ রাখেন না।

এক বৃদ্ধা বুজুর্গের কাহিনী

একজন শায়েখ বর্ণনা করেন, একবার আমি এবং আবূ আলী ইফরে রওনা হলাম। উদ্দেশ্য হল হযরত আবূ নছর সমরকান্দীর সাথে সাক্ষাৎ করা। দীর্ঘ পথ অতিক্রমের পর আমরা এক মরুভুমিতে খাদ্যের অভাবে কষ্ট পেতে লাগলাম। এমন সময় আমরা দেখতে পেলাম, এক শৃগাল মাটি খুঁড়ে কিছু সরূম আমাদের সামনে নিক্ষেপ করতে লাগল। আমরা আমাদের চাহিদা অনিযায়ী তা গ্রহণ করে সামনে এগুলাম।

কিছুক্ষণ পর দেখতে পেলাম, একটি নেকড়ে বাঘ মাটিতে শুয়ে আছে। নিকটে যাবার পর আমরা টের পেলাম যে, বাঘটি অন্ধ। আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে বাঘটিকে দেখছিলাম। আর তার জন্য আমাদের অন্তরে মায়া হচ্ছিল। এমন সময় কোথা থেকে সেখানে একটি কাক এসে উপস্থিত হল। কাকের ঠোটে ছিল একটি গোস্তের টুকরা। কাক নিকটে গিয়ে তার পা দ্বারা বাঘের মুখে তুলে দিল। এ দৃশ্য দেখে আবূ আলী আমাকে বলল, আল্লাহ্‌র কুদরতের পরিচয়ের জন্য এ ঘটনাটিই যথেষ্ট।

সেই মরুভূমিতে ক্রমাগত কদিন পথ চলার পর আমরা একটি ছোট্র উদ্যনের সন্ধান পেলাম। নিকটে গিয়ে দেখলাম, সেখানে একটি কুড়ে ঘরে এক বৃদ্ধা আল্লাহ্‌র এবাদত করছে। ঘরের দরজায় বাইরে ছিল একটি বিরাট পাথর। পাথরের মধ্যভাগটি ছিল খোদাই করা। এই একটি মাত্র পাথর ছাড়া বৃদ্ধার ঘরের বাইরেও ভিতরে অপর কোন বস্তু আমাদের চোখে পড়ল না আমরা নিকটে গিয়ে সালাম করে বৃদ্ধার পাশে বসে পড়লাম। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর মাগরিবের নামায আদায় করে সে ঘর থেকে বের হয়ে আসল। তখন তার হাতে দুটি রুটি ও কিছু খেজুর ছিল। সে আমাদেরকে বলল, ঘরের ভিতর হতে তোমাদের খাবার নিয়ে আস।

আমরা ভেতরে গিয়ে দেখলাম, সেখানে চারটি রুটি ও কিছু খেজুর রয়েছে। অথচ মুহুর্তকাল পূর্বেও ঘরে রুটি ও খেজুরের অস্তীত্বও ছিল না। সেই বিজন ভূমির আশেপাশেও কোন খেজুর বৃক্ষ নেই। আমরা তৃপ্তির সাথে সেই খাবার গ্রহণ করলাম। কিছুক্ষণ পর কোথা হতে এক খন্ড মেঘ ভেসে এসে সেই পাথরের উপর বৃষ্টি বর্ষন করল। এক ফোটা পানিও বাইরে পড়ল না, এবার আমি বৃদ্ধাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কত বছর যাবত এখানে আছ?

সে জবাব দিল সত্তর বছর যাবত আমি এই হালতেই এখানে পড়ে আছি। প্রতি দিনের বরাদ্দ দুটি রুটি এবং কিছু খেজুর নিয়মিত এসে হাজির হয়। আর শীত গ্রীস্ম সকল মৌসুমেই সন্ধার পর এক খণ্ড মেঘের বর্ষনে ঐ পাথর পাত্রটি ভরে যায়।

বৃদ্ধা তার নিজের অবস্থা বর্ণনা করার পর আমাদেরকে জিজ্ঞেস করল, তোমরা কোথায় যাচ্ছ? আমরা বললাম, আবু নছর সমরকান্দীর সাথে সাক্ষাৎ করতে। সে বলল আবু নছর বড় ভাল মানুষ। অতঃপর  বলল, আস, তার সাথে তোমাদের সাক্ষাৎ করিয়ে দেই।

বৃদ্ধা এ কথা বলার সাথে সাথেই অবাক হয়ে আমরা দেখতে পেলাম, হযরত আবূ নছর সমরকান্দি আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি আমাদেরকে সালাম করলেন এবং আমরাও তাঁকে সালাম করলাম। পরে তিনি বললেন, বান্দা-যখন আল্লাহ্‌ পাকের পরিপূর্ণ আনুগত্য করে তখন আল্লাহ্‌ পাক তার কোন ইচ্ছাকেই অপূর্ণ রাখেন না।