
৪ দিন আগের এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে আমাদের পরিচিত এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি গ্রামের পৌরসভায় কাজ করেন, আর নিজের বাড়ি দূরে হওয়ায় রাতের বেলা পৌরসভার গেস্ট রুমেই থাকেন।
সেদিন রাত ১০:৩০-এর দিকে তাঁর হঠাৎ ঘুম চলে আসে। বেশ গভীর ঘুমেই ছিলেন, কিন্তু আচমকা রাত ৩টার দিকে জেগে ওঠেন এক করুণ কান্নার শব্দে। প্রথমে তিনি ভাবলেন, হয়তো কেউ বিপদে পড়ে পৌরসভার সামনে এসে কাঁদছে। কিন্তু যখন ঘড়ির দিকে তাকালেন, দেখলেন সময় তখন গভীর রাত!
সাহস করে দরজা খুলে বারান্দায় গিয়ে নিচে তাকাতেই দেখলেন—এক বৃদ্ধ লোক বসে আছেন। বয়স ৭০-৭৫ বছর হবে। তিনি অঝোরে কাঁদছিলেন আর একটা পাটের ব্যাগে কিছু একটা ঢুকাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই ব্যাগে কী ছিল, তা কিছুতেই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল না।
বৃদ্ধ কেঁদে কেঁদে বলছিলেন, “ওরা আমার সবকিছু নিয়ে গেল! এখন আমার ছেলেমেয়েদের কী হবে?”
লোকটি স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। বৃষ্টি শুরু হয়েছে, ভারী বর্ষণ। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়—বৃদ্ধের গায়ে একফোঁটাও পানি পড়ছে না! তাঁর সাদা পাঞ্জাবি, সাদা দাড়ি সম্পূর্ণ শুকনো। আরও অবাক করা ব্যাপার, মাঝে মাঝেই বৃদ্ধের চেহারা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছিল!
এভাবেই প্রায় এক ঘণ্টা কেটে যায়। এরপর হঠাৎই ভোর ৪টার আজানের শব্দ ভেসে আসতে না আসতেই বৃদ্ধটি এক মুহূর্তে গায়েব হয়ে যান!
লোকটি চারপাশে তাকিয়ে খোঁজার চেষ্টা করলেন, কিন্তু কোথাও বৃদ্ধের চিহ্নমাত্র নেই! সে রাতে তিনি আর এক মুহূর্তও গেস্ট রুমে থাকতে সাহস পাননি…