একটী পাঁঠার গল্প

একলোকের একটি পাঁঠা ছিলো। পাঁঠা ছিলো অত্যন্ত চাপাবাজ আর ভিতু প্রকৃতির। পাঁঠা রোজ রোজ ঘাস খাওয়ার জন্য জঙ্গলে যেতো। জঙ্গলে ঘাস খাওয়া শেষ হলে সন্ধার আগেই আবার বাড়িতে ফিরে আসতো। কিন্তু বাড়িতে এসে চাপাবাজি করতো যে, সে কয়েকটা বাঘকে ঘায়েল করে এসেছে। : একদিনের ঘটনা। ঘাস খেতে খেতে বেলা ডুবে গেছে পাঁঠা তা টেরই পেলো না। ফলে সে অন্ধকারে পথ ভুলে হতভম্ব হয়ে গেলো। মনে মনে বাঘের খপ্পরে পড়ে প্রাণ হারানোর আশংকা করতে লাগলো।

দেখতে দেখতেই তার সামনে বিশালাকায় এক বাঘ এসে উপস্থিত হলো। ভয়ে পাঁঠার প্রাণ যায় যায় অবস্থা। কিন্তু সে নিজেকে বললো, এখন তোমাকে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করতে হবে। কোনো ভাবেই ঘাবড়ানো চলবে না। : বাঘ জিজ্ঞেস করলো, এ্যাই ক্যারে তুই? পাঁঠা নিজের দূর্বলতা গোপন করতে আরো জোর আওয়াজে বললো, আগে বল তুই কে? : আমি বনের রাজা। বাঘ।

আর তুই ? : আমি? আমি বনের শাহেনশাহ টা…ক! : আচ্ছা ! তুই যে টা..ক তার প্রমান কি? : আগে তোর প্রমাণ দেখা। বাঘ এবার সর্বশক্তি যোগ করে দিলো এক হুঁঙ্কার। হা..ল্……লু…..ম……. ভয়ে পাঁঠা বেহুঁস হয়ে গেলো। : বাঘ যখন দেখলো টা…কের কোনো নড়াচড়া নেই তখন ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে এলো। এসে কান ধরে বললো, কিরে ভয়ে মরে গেলি নাকি? কোনো আওয়াজ নেই কেনো? অনেক্ষণ পর পাঁঠার হুঁস ফিরে আসার পর মনের ভয়কে গোপন করে বললো, আরে নাহ ! তোর হুঁঙ্কারে ভয় পাবো ? তোর আওয়াজের অবস্থা দেখে আমি ঘুমিয়ে গেছিলাম।

( বাঘ মনে মনে আশ্চর্য হলো) : আচ্ছা ! এবার তাহলে তুই প্রমাণ দে ! ( পাঁঠা ভাবলো, আমার তো কোনো প্রমাণ নেই। এতোক্ষণ শুধু চাপার জোরেই টিকে আছি। এবার তাহলে কৌশলে পালাতে হবে) : ঠিক আছে দিচ্ছি । কাছে আয় ! বাঘ সামনে এলো। (ধমক দিয়ে) আরো কাছে আয় !! আরো কাছে এলো। এবার পাঁঠা নিজের পা উঁচু করে বাঘের চেহারায় পেশাব করে দিলো। পাঁঠার পেশাবের দূর্গন্ধে বাঘ অস্থির হয়ে গেলো। সেই সুযোগে পাঁঠা দে ছুট…………….

আরো পড়তে পারেন...

ইচ্ছাপূরণ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম পাঠ

সুবলচন্দ্রের ছেলেটির নাম সুশীলচন্দ্র । কিন্তু সকল সময়ে নামের মতো মানুষটি হয় না । সেইজন্যই…

ইচ্ছাপূরণ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-২য় পাঠ

সুশীল ভাবিয়াছিল, বাপের মতো স্বাধীন হইলে তাহার সমস্ত ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে সমস্তদিন ধরিয়া কেবলই ডুডু…

কৃপণের ধন

এক কৃপণ অনেক টাকাকড়ি জমিয়েছিল। পাছে চোর সন্ধান পেয়ে সব চুরি করে নিয়ে পালায়– এই…