প্রত্যেকটি মানুষ একটা না একটা স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকে। এতে থাকে তার জীবনকে সুন্দর করে সাজানোর একটি পথ। মানুষ বাঁচার পেছনে একটা স্বপ্ন থাকে। এই পথে হাঁটতে হাঁটতে আল্লাহর রহমতে সে সফল হবেই। চলুন দেখে আসি নীরবের জীবনটাকে।
নীরব ছোট শিশুটি। এক মধ্যবিত্ত পরিবারে তার জন্ম। তাদের পরিবারে তিন ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল মেজো। তার মা-বাবা তাকে খুব ভালবাসতেন। মা-বাবা তাকে ভালবেসে তার নাম রেখেছিলেন নীরব। অজানাকে জানার জন্য তার খুব আগ্রহ ছিল। তার স্বপ্ন ছিল একদিন অনেক বড় হবে, সে তার গ্রামের বা দেশের একজন হবে। যেহেতু পড়ালেখা করে বড় হতে হয়। তার বাবা ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। তার বাবা তাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। সে প্রতিদিন স্কুলে যায়।
যাওয়ার সময় সে তার বাবার কাছে বায়না ধরে টিফিনের জন্য টাকা দাও। তার বাবা তাকে প্রতিদিন ১০ টাকা কি পাঁচ টাকা দিতেন। সে টাকা নিয়ে ¯ু‹লে গিয়ে চিন্তা করে যে আমি যদি টাকা দিয়ে কোন কিছু কিনে খাবো, তাহলে এই টাকাটা চলে যাবে, আর ফিরে আসবে না। তাই সে মনে মনে ঠিক করল যে, একটি মাটির ব্যাংক কিনে আনবে বাজার থেকে। তারপর সে টাকা জমা করবে। সে প্রতিদিন স্কুলে যায় ও মাটির ব্যাংকে টাকা জমা করে। তারপর সে আস্তে আস্তে দুই টাকা, পাঁচ টাকার পয়সা জমা করে, সে একে একে দশটি মাটির ব্যাংক পয়সা দ্বারা ভর্তি করে।
নীরব জেএসসি পরীক্ষা দিলো। পরীক্ষায় জিপিএ-৩ পেয়ে পাস করে। তারপর স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। তার এ দশটি মাটির ব্যাংকে আট হাজার টাকা হয়। তখন সে ভাবে এই টাকা দিয়ে কী করবে। চিন্তা ভাবনা করার পর সে সিদ্ধান্ত ঠিক করল যে আমি ছোট একটি মুরগির খামার তৈরি করবো। আর সেই আট হাজার টাকা দিয়ে শুরু করল সেই খামার। এই খামার ঘিরেই তার স্বপ্ন। একটা সময় খামার অনেক বড় হয়। খামার থেকে অনেক আয় হয়। এই পরিশ্রমী আয় তার স্বপ্নকে আরো প্রসারিত করে।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।