
আজকে আপনাদের সাথে আমি যেই গল্পটি শেয়ার করব তা অনেক ভয়াবহ না হলেও আমার কাছে অনেক খারাপ লেগেছে। এটা আমার জীবনের ভয়াবহ ঘটে যাওয়া একটা গল্প। আমি আর আমার এক বন্ধু গ্রীষ্মকালীন ছুটির জন্য গ্রামে যাই। গ্রামে গিয়ে অনেক মজা করব ভেবে আমি ত অনেক খুশি। ত গ্রামে আসতে আমাদের অনেক দেরি হয়ে গেল, তাই গিয়ে ঘুম দিলাম একটা আরামে। তারপর সকাল এ ঘুম থেকে উঠে পুরো গ্রাম ঘুরলাম। ত অনেক আত্মীয়দের সাথে দেখা করলাম, কথা বললাম, অনেক মজা করলাম। তারপর গ্রামের কাচা রাস্তা দিয়ে হাঁটলাম, রাত তখন বাজে ১টা, আর আমাদের গ্রামের মানুষ ঘুমাই ৭টা না হয় ৮টাই।
আমরা দুজন রাস্তা একা একা হাঁটছিলাম, আর গল্প করছি। আমার ফ্রেন্ডটা আবার অনেক দুষ্ট। আমি আবার রাত এ তেমন একটা বাইরে হই না। আমার ফ্রেন্ডটা চিৎকার করতে লাগল, “ভূত, ভূত!” আমি ত ভয় পেয়ে পুরো অজ্ঞান হব হব কারণ ভূত জিনিস তাকে আমি আবার খুব ভয় পেতাম। তারপর আমার ফ্রেন্ড বলছে, “ছুপ থাক, বেটা, মজা করলাম!” আমি বললাম, “শালা, এখন মজা করার সময়ই নাকি! চল বাসায় যাই এখন।” ত আমার ফ্রেন্ড বলল, “ঠিক আছে, চল!” ত বাসার পথে ফিরতে লাগলাম। ঠিক তখনই দেখি আমাদের ঠিক বাম পাশে অনেকগুলো হুযুর দাড়িয়ে দাড়িয়ে কি জান বলছে। আমরা গুরুত্ব দিলাম না। তারপর আবার চিন্তা করলাম, এত রাতে হুযুররা কি করে এখানে আসলো? ত এইবার লাগল ভয় আমার। আমার ফ্রেন্ড ছিল অনেক সাহসী, তাই কিছু না বলে ও আমাকে বলতেছে, “ছুপ করে, সামনে তাকাই, বাসায় চল!” পিছনে তাকাবি না। আমি আর ভয় পেলাম। আমি বললাম, “কেন? পিছনে কি ভূত দাড়িয়ে আছে নাকি তোর জন্য?” কিছু বলছে না, ছুপ চাপ, আমরা হাঁটছি।
ঠিক তখনই পিছন থেকে আওয়াজ আসতেছে, “ভাই, ও ভাই, একটু দাঁড়ান, ভাই, আমাকে নিয়ে যান!” তখন আমি কৌতূহল বশত পিছনে তাকাই। দেখলাম, ওই হুযুরগুলো এক মানুষের লাশ মুখ দিয়ে কামড়াই ছিরে ছিরে খাচ্ছে। দেখে আমি ভয় পেয়ে দৌড় দিলাম, আর আমার ফ্রেন্ড আমার সাথে দৌড়াতে লাগলো। কিন্তু আমি আমার বাম পাশে তাকাই, দেখি অনেকগুলো কুকুর আমাদের সাথে দৌড়াচ্ছে, আমি আর ভয় পেলাম। আজব ব্যাপার যে, আমরা যত জোরে দৌড়াচ্ছি, ঠিক তত জোরে কুকুরগুলো আমাদের সাথে দৌড়াচ্ছে। আমি ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলাম।
ওহহো, আর একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, সেইদিন ছিল অমাবস্যার রাত, তাই সব স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। পরে আমি অজ্ঞান হবার পর আমি আমার নিজেকে একটা মসজিদের উঠানে আবিষ্কার করলাম, আর আমার ফ্রেন্ড আমার পাশে ছিল। আমি তাকে অনেক বার ডাকার চেষ্টা করলাম, কিন্তু সে উঠল না। পরে কিছুক্ষণ পর ফজরের আজান দেওয়ার জন্য এক হুযুর আসলো, দেখল আমার বন্ধু অজ্ঞান। জিজ্ঞেস করল কি হয়েছিল। আমি সব খুলে বললাম। তারপর আমার ফ্রেন্ডকে হুযুর মসজিদের ভিতরে নিয়ে গেল। তারপর হুযুর আযান দেওয়ার মাত্র, আমার ফ্রেন্ড তার জ্ঞান ফিরল।
তারপর আমার ফ্রেন্ডকে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছিল, সে বলল যে, “আমাদের সাথে যেই কুকুরগুলো তখন দৌড়াচ্ছিল, সেগুলো কুকুর ছিল না।” আমি জিজ্ঞেস করলাম, “তুই কিভাবে বুঝলি?” ও বলল, “তুই যখন অজ্ঞান হয়লি, ঠিক তখনই আমি কোনো রকমে তকে মসজিদের ভিতরে নিয়ে আসতে চেষ্টা করলাম। আর তখনই কুকুরগুলো মানুষ রূপ ধারণ করল আর থেমে গেল। আর আমি যখনই তকে মসজিদের ভিতরে নিয়ে আসার চেষ্টা করলাম, তখনই মসজিদের উঠানে আমি অজ্ঞান হয়ে পরে গেলাম।” হুযুর আমাদের পাশে ছিলেন। তিনি বললেন, “এই রকম ঘটনা আমাদের গ্রামে প্রায় হয়েই থাকে। তাই আমরা এত রাত এ বাহিরে বের হই না।”
এই ঘটনা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা। তারপর পরের দিন সকালে আমরা ঢাকায় চলে আসি। কিন্তু বাসার কাউকে এই ঘটনা জানাইনি। এর পরে আর গল্প শেয়ার করব, কিন্তু আপনাদের ফিডব্যাক না পেলে গল্প দেয়ার কোনো লাভ নাই। তাই আপনাদের কাছ থেকে যত লাইক পাব, ততই গল্প দেওয়ার আগ্রহ বাড়বে। লেখার অনেক বানান ভুল হয়েছে, প্লিজ ক্ষমা দৃষ্টিতে লেখাটি সবাই পড়বেন। আর পেজটা বড় করার জন্য সবার হেল্প দরকার। তাই নিয়মিত লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।