একজন মিয়াজির কবর আযাব ও একজন কাফন চোরের হাত পুড়ে যাওয়া ঘটনা
মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহঃ) তার রচিত হকুকুল ইবাদ নামক গ্রন্থে একজন মিয়াজির কাহিনী লিখেছেন। সেই মিয়াজি মক্তবে কয়েকজন ছেলেকে পড়াতো আর গ্রামে গ্রামে মক্তবের নামে চাঁদা তুলতো। সংগৃহীত টাকা একটি বদনায় ঢুকিয়ে মাটির নিচে গর্ত করে পুঁতে রাখতো।
ছাত্রদের পড়ানোর সময় সে প্রহার করতো এ কারণে ছাত্ররা ছিল তার উপর ক্ষেপা, এক দুষ্ট ছাত্র একদিন মিয়াজিকে মাটির নিচে কাঁচা টাকা লুকাতে দেখে ফেলে এবং মিয়াজি গ্রামে চাঁদা তুলতে যাওয়ার সুযোগে মিয়াজির গুপ্তধণ তুলে নেয়। তারপর সবাই মিলে নানা করম সুস্বাধু খাবারের আয়োজন করে খেতে থাকে।
মিয়াজি ফিরে এলে তাকেও খেতে দেয়। এতো স্বাধের খাবার কোথায় পেয়েছে মিয়াজির জিজ্ঞেসার জবাবে ছাত্ররা জানাই এসবই আপনার সদকায় পাওয়া। মিয়াজি কিছু বুঝতে পারে না। পরে ছাত্রদের হাসতে দেখে তার সন্দেহ হয়। ঘরে গিয়ে নিজের গুপ্তধন না পেয়ে মনে এতো আঘাত পায় যে সাথে সাথে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যায়। এ খবর ব্যাপক জানাজানি হয়। থানাভবনের মুফতী মাওলানা সাইদুল হক ফতোয়া দেন ছাত্রদের কাছে থেকে মিয়াজির জমানো টাকা আদায় করে কবরে তার লাশের উপর এ টাকা ছড়িয়ে দিতে হবে। তাই করা হল।
একদল কাফন চোর রাতে মিয়াজির কবর খুঁজে কাফন চুরির সিদ্ধান্ত নেয়। তারা মিয়াজির গায়ের উপর ছড়ানো টাকা অঙ্গারের মতো জ্বলতে দেখে। এ দৃশ্য দেখে সবাই ভয় পেয়ে যায়। একজন সাহসী কাফন চোর দুই একটি টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য হাত বাড়ায়। টাকার স্পর্শ তার আঙ্গুলে লাগতেই আঙ্গুল জ্বলতে থাকে। কাফন চোর চিৎকার দিয়ে বেরিয়ে আসে।
ঠান্ডা পানির পাত্রে আঙ্গুল চুবালে সে পানি গরম হয়ে যেতো। কিছুক্ষন পর অন্য পাত্রের ঠান্ডা পানিতে আঙ্গুল চুবাতো। পানিতে আঙ্গুল না চুবানো পর্যন্ত সে চিৎকার দিতে থাকতো। এভাবে অসহ্য যন্ত্রনায় এক সময় সে কাফন চোর মারা যায়। এ ঘটনা থেকে কবর আযাবের সত্যতার প্রামাণ পাওয়া যায়।