জনৈক ইহুদীর কাছে রাসূল (সা) এর কিছু ঋণ ছিল। লোকটি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ঋণ পরিশোধের জন্য তাড়া দিতে লাগলো। সে মদিনার এক রাস্তায় রাসূল (সা) এর মুখোমুখি হয়ে বললো, “তোমরা আব্দুল মুত্তালিবের বংশধরেরা সময়মত ঋণ পরিশোধ কর না।” হযরত ওমর (রা) তাঁর এই আচরণ
দেখে রেগে গিয়ে বললেন, “ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি অনুমতি দিন, ওর গর্দান কেটে ফেলি।” রাসূল (সা) বললেন, “হে ওমর, আমার এই ইহুদীর জন্য অন্য রকম আচরণের প্রয়োজন ছিল। তুমি বরং ওকে উত্তম পন্থায় ঋণ ফেরত চাইতে বল, আর আমাকে উত্তম পন্থায় ঋণ পরিশোধ করতে বল।”
অতঃপর তিনি ইহুদীর দিকে ফিরে বললেন, “তুমি কালকেই তোমার দেয়া ঋণ ফেরত পাবে।” এদিকে রাসূল(সা) এর ব্যবহারে ইহুদীর মনে ভাবান্তর দেখা দিল। সে এগিয়ে এসে বললোঃ “আমি আসলে আপনার প্রতিক্রিয়া দেখতে চেয়েছিলাম। তাওরাতে শেষ নবীর এ রকম আলামতই লেখা আছে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনিই আল্লাহর রাসূল।” এই বলে সে ইসলাম গ্রহণ করলো।
শিক্ষাঃ
-স্বচ্ছল ব্যক্তির কোনো অস্বচ্ছল ব্যক্তিকে ঋণ দেয়া খুবই সাওয়াবের কাজ। আর সময় মত ঋণ
পরিশোধে অক্ষম হলে তাকে সময় বাড়িয়ে দেয়া আরো মহৎ কাজ। তবে সময় হওয়ার আগে ঋণ
পরিশোধের জন্য তাড়া দেয়া ও কটূক্তি করায় ঋণ দেয়ার সাওয়াব কমে যায়। কারো আচরণে সহসা উত্তেজিত হওয়া উচিত নয়। ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতায় কখনো কখনো অকল্পনীয় সুফল পাওয়া যায়।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।