মদীনার এক পল্লী। তখন রাত। খলীফা উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু নাগরিকদের অবস্থা জানার জন্য মদীনার রাস্তায় ঘুরছিলেন। হঠাৎ এক বাড়িতে এক বৃদ্ধা ও তার কন্যার কথোপকথন শুনে দাঁড়ালেন। কান পাতলেন তিনি। বৃদ্ধা মেয়েকে বলছেন, “মা, দুধে পানি মিশিয়ে বিক্রি করলে হয়না? তাহলে আমাদের অবস্থা আরো সচ্ছল হয়”। কন্যা তার উত্তরে বললো,”তা কি করে হয়, মা। খলীফার হুকুম, কেউ দুধে পানি মিশাতে পারবে না”। বৃদ্ধা বলল,”হোক না খলীফার আদেশ, কেউ তো আর দেখছে না”।
কন্যা প্রতিবাদ করে বলল,”না মা তা হয়না। প্রত্যেক বিশ্বাসী মুসলমানের কর্তব্য খলীফার আদেশ মেনে চলা। খলীফা না দেখতে পান, কিন্তু আল্লাহ তো সর্বব্যাপী, তার চোখে ধুলো দেব কি করে?”
খলীফা উমার (রা) দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব কথা শুনলেন। তারপর বাড়িতে ফিরে এলেন। তিনি ঘটনাটা ভুলতে পারলেন না। ভাবলেন, অজানা ঐ মেয়েটিকে কি পুরষ্কার দেয়া যায়। অনেক ভেবে একটা সিদ্ধান্ত নিলেন।
পরদিন দরবারে এসে খলীফা সেই অজানা মেয়েটিকে ডাকলেন। ডাক পেয়ে মা ও মেয়ে ভীতত্রস্ত কম্পিত পদে খলীফার দরবারে উপস্থিত হল। তারা উপস্থিত হলে খলীফা তার পুত্রদের ডাকলেন। পুত্রদের নিকট গত রাতের সমস্ত বিবরণ দিয়ে তিনি তাদের আহবান করে বললেন, “কে রাযী হবে এই কন্যাকে গ্রহণ করতে? এর চেয়ে উপযুক্ত কন্যা আমি আর খুঁজে পাইনি।”
পুত্রদের একজন তৎক্ষণাৎ রাযী হলো। কন্যাও সম্মতি দিল। খলীফার ছেলের সাথে বিয়ে হয়ে গেলো মেয়েটির।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।