উপদেশ !

উপদেশ

একদা এক বাদশাহ তার উজিরকে বললেন, একটি কথা প্রসিদ্ধ যে, তিন ব্যক্তির আবদার রক্ষা করা খুব কঠিন: বাদশাহদের আবদার, নারীদের আবদার এবং শিশুদের আবদার। এদের মধ্যে বাদশাহ ও নারীদের আবদার কঠিন হওয়ার বিষয়টি মেনে নেওয়ার মতো। কারণ, তারা বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন। তারা এমন কোনো আবদার করতে পারে, যা রক্ষা করা সম্ভব নাও হতে পারে। কিন্তু শিশুদের আবদার রক্ষা করা কঠিন হওয়ার কী আছে?

উজির বললেন, “বাদশাহ জাঁহাপনা! এটাই তো সবচেয়ে কঠিন আবদার।”

বাদশাহ বললেন, “এটা আমার বুঝে আসছে না।”

উজির বললেন, “আচ্ছা, আমি শিশু হয়ে তাদের মতো আবদার করছি, আপনি আমার আবদার রক্ষা করুন!”

বাদশাহ বললেন, “ঠিক আছে, তা-ই হবে।”

তখন উজির কান্না শুরু করে দিলেন। তা দেখে বাদশাহ বললেন, “কী ব্যাপার, কান্না করছ কেন?”

উজির বললেন, “আমাকে একটি হাতি এনে দিন।”

বাদশাহ আস্তাবল থেকে একটি হাতি এনে দিলেন।

উজির আবার কান্না করতে লাগলেন।

বাদশাহ বললেন, “আবার কী চাও?”

উজির বললেন, “আমাকে একটি কলসি এনে দিন।”

বাদশাহ একটি কলসি এনে দিলেন।

উজির আবার কান্না করতে লাগলেন।

বাদশাহ বললেন, “আবার কী চাও?”

উজির বললেন, “হাতিটা কলসির ভেতরে ঢুকিয়ে দিন।”

এখন বাদশাহ চিন্তায় পড়ে গেলেন, এ আবদার কীভাবে রক্ষা করবেন? তখন বাদশাহ বললেন, “বুঝতে পেরেছি, শিশুদের আবদার রক্ষা করা আসলেই কঠিন।”

উপদেশ:
নাফরমানরা এ শিশুদের মতোই নির্বোধ। তারা অনবরত আল্লাহর নাফরমানি করে বেড়ায়, আবার বেহেশতেও যেতে চায়। আবার গলদ পথ অবলম্বন করে আল্লাহর সন্তুষ্টির আশা করে। এসবই আসলে ধোঁকা। সহীহ ঈমান ও সঠিক পন্থায় আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করা ছাড়া কখনো আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাতের আশা করা যাবে না।

সূত্র: আকবারুল আ‘মাল, পৃষ্ঠা : ১৭

ক্ষমা

ছেলেবেলার গল্প-টুনটুনি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *