উত্তুরে বাতাস আর সূর্যের মধ্যে প্রবল তর্ক বেধে গেল – কার জোর বেশী তাই নিয়ে। সেই সময় রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল এক লোক। বাতাস আর সূর্য একমত হল যে, তাদের মধ্যে যে জন ঐ লোকের গা থেকে অন্যজনের আগে জামা-কাপড় খুলে ফেলাতে পারবে, তাকেই বেশী শক্তিমান বলে ধরা হবে। উত্তুরে বাতাস তার সমস্ত শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল। কিন্তু বাতাসের পরাক্রম যত বেড়ে উঠল, লোকটি তার পোষাকগুলোকে তত বেশী করে আঁকড়ে ধরল। একসময় বাতাস হাল ছেড়ে দিয়ে সূর্যকে ডাকল তার ক্ষমতার পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। সুর্য চড়চড় করে হঠাৎ একেবারে তীব্র গরম হয়ে উঠল। লোকটা সেই গরমে হাঁসফাঁস করতে করতে একটার পর একটা তার সমস্ত জামা-কাপড় খুলে ফেলতে থাকল। শেষে একসময় রোদের তাপে অস্থির হয়ে গায়ের সমস্ত পোষাক খুলে ফেলে সে পথের ধারের এক জলাশয়ে স্নানে নেমে পড়ল।
প্রাচীন বচনঃ বুঝিয়ে বলায় জোর করার থেকে বেশী কাজ পাওয়া যায়।
আমি বলিঃ হৃদয়ের উষ্ণতা খসিয়ে দেয় অবিশ্বাসের আবরণ। আর, এ ধারা ও ধারার দমন পীড়নে নেতৃত্বের শক্তি প্রদর্শন হয় বটে হুদো হুদো, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়না। মানুষ বরং তাতে আরো দূরে সরে যায়।